আম খাওয়ার আগে কি কি খাওয়া যাবে না-
পানি: কথায় আছে ফল খেয়ে জল খাওয়া যাবে না। আমেও ক্ষেত্রেও এটি শতভাগ সত্যি। আম খাওয়ার পর পানি পান করলে ভুগতে পারেন অ্যাসিডিটির সমস্যায়। হতে পারে পেট ব্যথাও। তাই আম খাওয়ার অন্তত আধঘণ্টা পর পানি পান করা উচিত।

দই: আমের সাথে ভুলেও দই মিশিয়ে খাবেন না। কারণ দই আর আম এক সাথে শরীরে ফেলতে পারে বিরূপ প্রভাব। এতে চামড়ায় অ্যালার্জি হতে পারে। হতে পারে হজমে সমস্যা, এমনকি পাকস্থলীতে বিষক্রিয়াও।

কোমল পানীয়: আম খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোমল পানীয় খেলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আম আর কোমল পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা থাকে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ বিপদের কারণ হতে পারে।

করলা: আম খাওয়ার পর করলা খেলে বমিভাব হতে পারে। অনেকের বমিও হতে পারে। হতে পারে শ্বাসকষ্টও।

ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার: আম খাওয়ার সাথে সাথে ঝাল কিংবা মসলাযুক্ত খাবার খেলে হজমে সসম্যা দেখে দিতে পারে। ভুগতে পারেন অ্যালার্জিতেও।

image

গরমে অতিরিক্ত চা খাচ্ছেন,
এই গরমে অতিরিক্ত চা শরীরে জন্য একেবারেই ভালো নয়। শরীরে নানারকম ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে চা পান করলে।

১. চায়ে ট্যানিন নামক এক ধরনের উপাদান রয়েছে। এই উপাদান শরীরে বেশি পরিমাণে পৌঁছে গেলে আয়রন শোষণে সমস্যা হয়। এ কারণে অতিরিক্ত চা খেলে আয়রন ঘাটতি হয়ে শরীরে অ্যানিমিয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

২. গরমে অতিরিক্ত পরিমাণে চা পান করলে দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা বাড়ে। কারণ চায়ে রয়েছে ক্যাফিন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান শরীরে বেশি পরিমাণে পৌঁছে গেলেই মানসিক অস্থিরতা কয়েকগুণ বাড়ে। এর সঙ্গে যোগ হয় দুশ্চিন্তা, উৎকণ্ঠা।

৩. গরমে এমনিতেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে তারপর আবার চা খেলে তো কথাই নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ে থাকা ক্যাফিন ঘুম কাটাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে রাতে চায়ের কাপে চুমুক দিলে ঘুম না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ কারণে ঘুমের সমস্যা থাকলে দিনে দুই-তিনবারে বেশি চা খাওয়া ঠিক নয়।

৪. চায়ে থাকা ট্যানিন বেশি পরিমাণে শরীরে পৌঁছে গেলে পাকস্থলী এবং অন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে বমি বমি ভাব থেকে শুরু করে পেটেব্যথাসহ একাধিক জটিল সমস্যার আশঙ্কা বাড়ে।

৫. অতিরিক্ত পরিমাণে চা খেলে বুক জ্****া, মুখে টক ওঠা সহ একাধিক সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই গরমের দিনে পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে দিনে ২-৩ কাপ লিকার চা খান।

image

সকালের খাবারে শস্য, বাদাম এবং ফলজাতীয় খাবার শরীরের জন্য উপকারী। এই ধরনের খাবারে খারাপ ফ্যাটের পরিমাণ কম। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও অনেকটাই কম থাকে। পাশাপাশি এতে এনার্জির পরিমাণ বেশি বলে সারাদিন চাঙ্গা থাকা যায়।

বাদাম : সকালের খাবারে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ থাকা জরুরি। বাদামের মধ্যে এই সবকটি উপাদানই কিছুটা করে পাওয়া যায়। এ ছাড়াও, বাদাম যেমন কাজুবাদাম, আমন্ড, আখরোটে রয়েছে ভালো ফ্যাট। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। পাশাপাশি কোলেস্টেরলও জমতে দেয় না।

ডিম : সকালে হাতের কাছে পুষ্টিকর খাবার বলতে যদি কিছু হয়, তা হলো ডিম। ডিমের মধ্যে একাধিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শরীরের স্ট্রেসকে দূর করে। পাশাপাশি সারাদিন কাজ করার জন্য চাঙ্গাও রাখে। তাই সকালের খাবারে অবশ্যই ডিম রাখতে হবে।

image

জীবন বাঁচানো খাবার স্যালাইন পরিণত হচ্ছে প্রাণঘাতকে, কীভাবে? |

স্যালাইনকে শরবত বা জুস ভাবা বন্ধ করুন এবং অবশ্যই ঔষধ মনে করুন।আজকে সোনাগাজীতে ২১ বছর বয়সের একজন ছেলের রক্তে সোডিয়াম লবণ পেয়েছি ১৬০ (স্বাভাবিক হল ১৩৫ -১৪৫ )। তার ইতিহাস থেকে জানলাম পড়শু দিন গরম বেশি লাগায় সে ৩ টি স্যালাইন একসাথে মিশিয়ে এক গ্লাসে খেয়েছে। এরপর থেকে তার অস্থিরতা , মাংস ব্যথা ,মাথা ঘুরানো এবং তীব্র বমি ভাব হচ্ছে।
জটিলতায় চরম পর্যায়ে ব্রেইন কোমায় যেতে পারে, তারপর হতে পারে শেষ নিঃ*শ্বাস ত্যাগের কারন, ঠিক কি কারণে এমন হবে কেউ জানতেও পারবে না!
কি করতে হবে ?
স্যালাইন খেতে হলে অবশ্যই ৫০০ মিলি পানিতে একটি স্যালাইন মিশিয়ে খেতে হবে।
-ডাঃ তানভীর মাহমুদ তৌহিদ

image