গরমে র‌্যাশ বা চুলকানিতে করণীয় কী?

করণীয়

১। ত্বকে চামড়ার ভাঁজে এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই আপনাকে যেটি নিশ্চিত করতে হবে তা হলো শরীরকে শুকনো রাখা। গোসলের পর কিংবা কোনো কারণে ঘামে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত তা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।

২। নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখুন। জীবাণু সংক্রমণ এড়াতে কাপড় ধোয়ার পর ডেটল পানিতে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। ত্বকের সুরক্ষায় কাপড়ে প্রাধান্য দিন সুতি বস্ত্রকে।

৩। পোশাকের সঙ্গে চামড়ার অধিক ঘর্ষণের ফলে অনেক সময় ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরার পরিবর্তে বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাককে।

৪। একই প্রসাধনী, চিরুনি, তোয়ালে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন।

৫। ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানি এড়াতে নিয়মিত হাত পায়ের নখ ছোট রাখুন। কেন না বড় নখে জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। কোনো স্থানে চুলকানি বা জ্****াপোড়া দেখা দিলে সেখানে হাত স্পর্শ বা ঘষাঘষি না করে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে পারেন।

৬। ত্বকের যেকোনো সংক্রমণে ত্বকে ক্রিম, লোশন বা যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে নিতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ।

image

অ্যালোভেরার উপকারিতা

ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে-

ছোটখাটো কাটা-পোড়া, অ্যালার্জি, ত্বকের সমস্যা ইত্যাদি সারাতে অ্যালোভেরা খুব কার্যকর। অ্যালোভেরা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। আর আর্দ্র ত্বকে যে বলিরেখা পড়ে না, সে তো সবাই জানেন। সরাসরি পাতা থেকে জেলটা নিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।অ্যালোভেরা জেল, মধু, দুধ, হলুদ অথবা সামান্য দুধের সর মিশিয়ে মুখে মাস্কের মতো লাগালে ব্রণ তাড়াতেও দারুণ কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বকে অ্যালোভেরা, শসার রস আর দইয়ের মিশ্রণ লাগালে ত্বকের উপকার হয়।

ওজন কমাতে অ্যালোভেরা-

দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে অ্যালোভেরা। এর মধ্যে প্রচুর ভিটামিন আর মিনারেল থাকে। থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এনজাইম আর স্টেরল। তাই নিয়মিত অ্যালোভেরা জুস খেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
অ্যালোভেরার জুস খানিকটা তিতা। তাই ব্লেন্ডারে শাঁস, পানি, বরফ দিয়ে জুস করে সামান্য মধু আর লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া যায়।

চুল পড়া কমাতে-

অ্যালোভেরার জুসে প্রোটিয়োলাইটিক এনজাইমস নামে এক ধরনের উৎসেচক থাকে, যা তালুর ত্বকের কোষগুলোর স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশেষভাবে কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহার করলে বাড়বে চুলের দৈর্ঘ্য, কমে যাবে খুশকি, মাথার তালুর ইনফেকশন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করবে এবং চুল থাকবে নরম ও মোলায়েম।

রক্তে শর্করার পরিমাণ কমায়-
বহু যুগ ধরে ডায়াবেটিসের প্রাকৃতিক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়েছে অ্যালোভেরার জুস। বলা হয়, এই পানীয় নিয়মিত সেবন করলে ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়ে, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করাটা সহজ হয়ে আসে।

কোষ্ঠকাঠিন্যতে উপকার করে-
অ্যালোভেরার পাতার নিচের দিকে চটচটে হলুদ রঙের আঠালো একটি পদার্থ মেলে, এই উপাদানটি কোষ্ঠকাঠিন্যের ওষুধ হিসেবে দারুণ কার্যকর। তবে পাচনতন্ত্রের অন্য কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারবে না এটা। তাই এই সমস্যায় অ্যালোভেরা নিশ্চিন্তে খেতে পারেন।

image

ফুট স্ক্রাবের উপকারিতা:

*পায়ের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে, যার ফলে ত্বক মসৃণ ও নরম হয়
*ম্যাসাজ পায়ে রক্ত প্রবাহকে উদ্দীপিত করে; তাই এটি ফোলাভাব কমাতে, ক্লান্তি দূর করতে দারুণ কার্যকরী
*DIY ফুট স্ক্রাবগুলো ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে
*শুষ্কতা কমিয়ে পায়ের ত্বক কোমল করে তোলে
*পায়ের অপ্রীতিকর গন্ধ কমিয়ে আনতে সহায়তা করে
*৩টি হোমমেইড DIY ফুট স্ক্রাব
*কিছুদিন পরপর পার্লারে যেয়ে পেডিকিওর করাটা খরচের ব্যাপার। ঘরে বসে সাধারণ কিছু উপকরণ দিয়ে পায়ের যত্ন নেওয়া যায়। আজ আমরা কিছু ফুট স্ক্রাবের রেসিপি জেনে নেই চলুন-

১. ব্রাউন সুগার স্ক্রাব যা যা লাগবে:
*২ চা চামচ ব্রাউন সুগার
*৩ চা চামচ মধু
*২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল

পদ্ধতি
একটি পাত্রে ব্রাউন সুগার, মধু ও অলিভ অয়েল নিন। ভালোভাবে মিক্স করে ফেলুন এবং পায়ে স্ক্রাবটি অ্যাপ্লাই করে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। প্রয়োজন মনে হলে পানি যোগ করতে পারেন। ১ মিনিট ম্যাসাজ করে নিন এবং এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পছন্দের বডি লোশন অ্যাপ্লাই করে নিন। মধুর ময়েশ্চারাইজিং প্রোপারটিজ পায়ের ত্বককে কোমল রাখতে সাহায্য করে। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রোপারটিজ, যা পায়ের ত্বকে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে এবং দুর্গন্ধ ও সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে আনে। ব্রাউন সুগার ডেড সেলস রিমুভ করে। অলিভ অয়েল রুক্ষ-শুষ্ক ত্বককে প্রাণবন্ত করে তোলে।

২. কফি ও আমন্ড অয়েল যা যা লাগবে:
*১/২ কাপ কফি
*৩ টেবিল চামচ বাদাম তেল বা আমন্ড অয়েল

পদ্ধতি
একটি ছোট পাত্রে কফি ও বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। পা, গোড়ালি, পায়ের পাতা সব জায়গাতে স্ক্রাব করুন এক মিনিট। এবার ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন এবং এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পা ভালোভাবে মুছে নিয়ে পছন্দের লোশন অ্যাপ্লাই করে ফেলুন। কফিতে আছে প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটিং প্রোপারটিজ। আমন্ড অয়েল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে দারুণ কার্যকরী। যাদের পায়ের ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ, তারা সপ্তাহে ২ বার এই ফুট স্ক্রাব ব্যবহার করে দেখতে পারেন, ভালো ফলাফল পাবেন আশা করি।

৩. ওটস ও টক দই যা যা লাগবে
*১/২ কাপ ওটস পাউডার
*২ টেবিল চামচ টক দই
*১ টেবিল চামচ মধু

পদ্ধতি
একটি পাত্রে ওটস পাউডার, টক দই ও মধু ভালোভাবে মিক্স করে নিন। পায়ে স্ক্রাবটি লাগিয়ে আলতো হাতে এক মিনিট ম্যাসাজ করুন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং বডি লোশন অ্যাপ্লাই করে নিন। ওটস প্রাকৃতিক ক্লেনজার হিসেবে কাজ করে। এটি পায়ের ত্বকের ময়লা, ঘাম, পল্যুশন, অতিরিক্ত তেল দূর করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা ত্বককে জেন্টলি এক্সফোলিয়েট করে। সেই সাথে ত্বকের মলিনতা দূর করে। এই স্ক্রাবটি শুষ্ক ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী।

রুক্ষ-শুষ্ক পায়ের কোমলতা ফিরিয়ে আনতে DIY ফুট স্ক্রাব কীভাবে তৈরি করা যায়, তা আমাদের জানা হয়ে গেলো। পা আমাদের সারা শরীরের ভার বহন করে। তবুও অন্যান্য অঙ্গের তুলনায় পা সবচেয়ে উপেক্ষিত। আর তাই বেশিরভাগ সময় পায়ে ব্যথা, পা ফাটা, রুক্ষ- শুষ্ক হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনার যা দরকার তা হলো একটি রিল্যাক্সিং ফুট স্ক্রাব। এর মাধ্যমে পা পরিষ্কার থাকবে, রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পাবে, আপনি আরামবোধও করবেন। সেলফ প্যাম্পার কিন্তু নিজেকে ভালোবাসারই একটি অংশ। যারা ব্যস্ততার কারণে DIY প্যাক তৈরি করতে পারছেন না, তারা যেকোনো বডি স্ক্রাব দিয়েই কিন্তু কাজটি সেরে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ, সপ্তাহে ১/২ বারের বেশি স্ক্রাবিং করার প্রয়োজন নেই। আজ এই পর্যন্তই, ভালো থাকবেন।

imageimage

#warm #waterhealthbenefits: সকালে গরম জল পান করলেই ম্যাজিক! কী কী উপাকার পাবেন শুনলে বিশ্বাস করতে পারবেন না

*1/5 উষ্ণ জলের প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। রোজ খেলে কিছু চমৎকার উপকার মেলে। যেমন উষ্ণ জল খেলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়। উষ্ণ জল রক্ত প্রবাহ বাড়ায় যাতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন শরীরের অঙ্গগুলিতে পৌঁছয়। পর্যাপ্ত অক্সিজেন পেলে হার্ট, ত্বক ও অন্যান্য অক্সিজেনজনিত রোগের ঝুঁকি কমে।

*2/5 গরম জল পেট পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। ত্বক সুস্থ রাখে: গরম পানি শরীর থেকে দ্রুত টক্সিন দূর করে, যা ব্রণ ও অন্যান্য সংক্রমণ কমায়, রক্ত প্রবাহ উন্নত করে এবং ত্বক পরিষ্কার করে।

*3/5 বমি বমি ভাব হলে এক কাপ উষ্ণ চা বা জল পান করা যায়। এর ফলে পেটে তরলের পরিমাণের ভারসাম্য বজায় থাকে এবং শরীর তাৎক্ষনিক ভাবে হাইড্রেটেড থাকে। তাই গা গুলিয়ে উঠলে উষ্ণ জল পান করতে হবে।

#haircaretips: এই ৮ টি উপায় মেনে চললেই ঝকঝকে সিল্কি চুল পাওয়া সম্ভব,

দূষণ থেকে শুরু করে নানা কারণেই ঝরে যায় চুল। চুলের নানান সমস্যা দেখা দেয়। চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া থেকে হাজারো সমস্যা দেখা যায়। তাই চুলের যত্ন নেবেন কীভাবে?

১) গরম জল দিয়ে চুল পরিষ্কার করবেন। এতে উজ্জ্বলতা থাকবে। অতিরিক্ত গরম পানি চুলের গোড়ায় থাকা প্রাকৃতিক তেলের ক্ষতি করে। এতে চুল হয়ে পড়ে নিষ্প্রাণ। সে কারণে আবার অতিমাত্রায় ঠান্ডা জল ঢালতে যাবেন না। হালকা গরম জল দিয়ে শ্যাম্পু করুন। শ্যাম্পু করার সময় আঙুল দিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন।

২) প্রোটিন দিয়ে সারিয়ে তুলুন চুলের ফেটে যাওয়া আগা। ঘন ঘন চুলে ব্লিচ বা রঙ করলে চুলের বাইরের আবরণ নষ্ট হয়ে যায়। আগাতেও ফাটল ধরে। বেছে নিতে হবে প্রোটিনযুক্ত কন্ডিশনার।

৩) খুশকি দূর করতে তেল কোনও কাজে আসে না। কারণ খুশকি চর্মরোগের কারণে হয়। এক্ষেত্রে তেল চুলের গোড়ায় ঘসলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ জাতীয় শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। শ্যাম্পু লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রেখে দিন। এরপর খানিকটা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

৪) দূষণের এই দিনে অনেকেরই অভিযোগ চুল পাতলা ও উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে। কন্ডিশনার চুলকে শুধু নরমই করে। এর বাইরে কিছু নয়। এক্ষেত্রে সিলিকনযুক্ত কিছু পণ্য ব্যবহার করুন। ওই সব পণ্যে থাকা ডাইমেথিকন বা সাইক্লোমেথিকন-এর প্রলেপ চুলকে আরও চকচকে করবে।

৫) চুল আঁচড়ানো ভাল। তাই বলে ঘন ঘন আঁচড়ানো যাবে না। একবার কিংবা দু’বার আঁচড়ান। তবে কখনোই ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। ভাল মানের চিরুনি ব্যবহার করুন, ব্রাশ নয়।

৬) চুলে ব্লো-ড্রাই করা থেকে বিরত থাকুন। ব্লো-ড্রাই করলে অতিরিক্ত তাপে চুল প্রাণ হারাতে পারে। যদি ব্লো-ড্রাই করতেই হয়, হেয়ার ড্রায়ারের তাপমাত্রা ন্যূনতম রাখুন।

৭) সুইমিং পুলে সাঁতার কাটলে ক্যাপ পরে নিন। নামার আগেই চুল সাধারণ জল দিয়ে ভিজিয়ে নিন। এটা করলে পুলের ক্লোরিনযুক্ত জল চুল বেশি শুষে নিতে পারে না।

৮)নামি দামি ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আগে বুঝে নিন চুলের ধরন। এমনকি রঙ করা চুলের জন্যও রয়েছে আলাদা শ্যাম্পু।

image
সম্পর্কিত

Discover the secrets to nurturing both your inner and outer beauty with our curated collection of beauty and health tips. From glowing skin to vibrant energy, we've gathered expert advice to help you look and feel your best every day.