#সাহরিতে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে চলবেন জানা আছে তো?

দেখতে দেখতে চলে এলো পবিত্র রমজান মাস। এই রমজান মাসের গুরুত্ব মুসলিমদের জন্য অনেক বেশি। এই মাসটা ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন।
ভোররাতে উঠে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করেন তারা। এরপর মাগরিবের আজানের সঙ্গে রোজা ভেঙে ফেলেন ইফতারি খেয়ে। এ সময় খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল নিতে হবে। যেহেতু সাহরি দিনের প্রথম খাবার, তাই কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখা জরুরি।না হলে সারা দিন রোজা রাখায় অসুবিধা হতে পারে।

সাহরিতে যা খাওয়া উচিতঃ
• শর্করাযুক্ত খাবার দেহে শক্তির জোগান দেয়। বিশেষ করে দানাদার শস্যের তৈরি খাবার, যেমন―ওটস, ব্রাউন রাইস, বার্লি ইত্যাদি খাবার অনেকটা সময়ের জন্য দেহে শক্তির জোগান দেয়। তাই এজাতীয় খাবার সাহরিতে খাওয়া উচিত।
এতে দেহে সারা দিনের শক্তি সঞ্চয় হবে।

• ফলমূল ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ। এ ছাড়াও দেহের পানির স্বল্পতা দূর করতেও অবদান রাখে। বিশেষ করে তরমুজ, কমলার মতো ফল এবং শসা, টমেটোর মতো সবজি দেহের পানির ঘাটতি দূর করে। তাই সাহরিতে সালাদ হিসেবে বা এমনিও খেতে পারেন এসব ফল ও সবজি।
• প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে। রোজা রেখে দৈনন্দিন কাজকর্মে সক্রিয় থাকার জন্য সাহরিতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মাঝে মটরশুঁটি, মসুর ডাল, ছোলা, বাদাম এসব খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

• কিছু চর্বিযুক্ত খাবার আছে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সেগুলো সাহরিতে যুক্ত করতে পারেন। যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, জলপাইয়ের তেল এবং স্যালমনের মতো স্বল্প চর্বিযুক্ত মাছ―এসব চাইলে খেতে পারেন সাহরিতে।

• রোজায় পানিশূন্যতার মতো সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এ ছাড়াও চিনিমুক্ত ফলের রস, ডাবের পানি বা ভেষজ চা-ও খেতে পারেন।

#সাহরিতে যা খাবেন নাঃ-
• অতিরিক্ত তেল বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সারা দিন রোজা রেখে শারীরিক অস্বস্তির সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্যই সাহরিতে এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

• অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এতে শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে, যার ফলে শক্তি সঞ্চিত থাকতে সমস্যা হতে পারে। চেষ্টা করবেন সাদা চিনি এড়িয়ে চলার জন্য। এর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন গুড়, মধু বা এজাতীয় খাবার।
• লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে পানির তৃষ্ণা বাড়তে পারে। সাহরিতে এ রকম খাবার এ জন্য এড়িয়ে চলাই ভালো।

• ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খালি পেটে খেলে অস্বস্তি ও অম্বল হতে পারে। যদি সাহরিতে এজাতীয় খাবার খান তাহলে সারা দিন অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন। তাই এগুলো না খাওয়াই ভালো। অনেকেই আছেন ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেতে পছন্দ করেন, সাহরিতে সেটিও এড়িয়ে চলা উচিত।

• ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন―চা, কফি এগুলো অতিরিক্ত পান করলে পানি পান করার তৃষ্ণা বেড়ে যায়। তাই চা-কফিপ্রেমীদের সাহরিতে এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। একান্ত না পারলে ভেষজ চা খেতে পারেন। কারণ সেগুলো ক্যাফেইনমুক্ত।

image