গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাতে ভাত নাকি রুটি খাবেন?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১২০ গ্রাম ভাতে ১৪০ ক্যালরি রয়েছে। অন্যদিকে, দুটি রুটিতে রয়েছে ১৫০ ক্যালরি।
যদি সোডিয়ামের হিসাব করা হয় তবে দেখা যায়, সমপরিমাণ ভাতে ১২০ গ্রাম এবং রুটিতে ১৯০ গ্রাম সোডিয়াম রয়েছে। এছাড়া দুটি খাবারেই রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা যায়, ভারতের জনপ্রিয় ডায়েটেশিয়ান লাভলিন কোর বলছেন, ভাত এবং রুটি দুটি খাবারই সমান উপকারী। তবে যারা রাতে হালকা খাবার খেতে আগ্রহী তারা রুটির পরিবর্তে ভাতকেই বেছে নিন।

লাভলিন কোরের মতে, গরমের এ সময় রাতে রুটি খাওয়ার পর অস্বস্তিবোধ বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, রুটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। অন্যদিকে, ভাত শরীরে দ্রুত হজম হয়। যদি পেটে গ্যাস কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তবে রাতের খাবারে রুটি নয় বরং ভাতকেই প্রাধান্য দিতে বলছেন তিনি।

image

দ্রুত ওজন কমাতে চান? এই কয়েকটি ডায়েট টিপস মানতে পারলে উপকার পাবেন

একদিনের প্রচেষ্টায় কিন্তু মোটেও ওজন কমানো ( Weight loss)যায় না। ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন সময় এবং ধৈর্য্যের। সেই সঙ্গে জীবনযাত্রায় (Lifestyle) আনতে হবে পরিবর্তন। নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। সময়ে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। ওজন কমানোর জন্য এখন সকলেই ব্যস্ত। কথায় কথায় প্রায় সকলের থেকেই শোনা যায় যে তিনি ডায়েট ( Diet plan) করছেন। কিন্তু আদতে কোন ডায়েট করছেন তা কিন্তু স্পষ্ট করে কেউই বলেন না।

#উদ্ভিজ প্রোটিন খাওয়া- ওজন কমাতে গেলে প্রোটিন খেতেই হবে। আর প্রাণীজ প্রোটিনের তুলনায় উদ্ভিজ পেরোটিনের দিকেই বিশেষ নজর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে কিন্তু শরীর সুস্থ থাকে। আজকাল অনেকেই তাই নিরামিষ খাবারের উরর বিশেষ জোর দেন। এই সব খাবারের মধ্যে শাকসবজি, বাদাম, শস্যদানা, বিভিন্ন বীজ রাখার কথা বলা হচ্ছে। রাখুন দুগ্ধজাত খাবারও। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এসব কিন্তু আসে এই সব প্রোটিন থেকেই।

#কার্বোহাইড্রেট কম খান- শরীর সুস্থ রাখতে গেলে বরাবরই কার্বোহাইড্রেট কম খাওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনা কমে। ওজনও কমে তাড়াতাড়ি। কার্বোহাইড্রেট কম খেলে বিপাক ভাল হয়। ফলে ওজন কমানো কিন্তু অনেকটা সহজ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পেশির গঠন ভাল হয়, চর্বিও কমে তাড়াতাড়ি। কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার বেশি খেলে ওবেসিটি, হৃদরোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। এর পাশাপাশি কিন্তু সমানতালে শরীরচর্চাও জরুরি। এ বিষয়ে একবার অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

#প্যালিও ডায়েট- এই ডায়েট কিন্তু শুধুমাত্র মাংস প্রেমীদের জন্য। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যাঁরা মাংস ছাড়া খাবারের কথা ভাবতেই পারেন না। এই ডায়েট মানলে কিন্তু তাঁদেরও ওজন কমবে। এই ডায়েটে একেবারে চর্বিহীন মাংস, বিভিন্ন বীজ, বাদাম, শাকসবজি এসব খাবার কথা বলা হয়। সেই সঙ্গে দুগ্ধজাত খাবারও অবশ্যই রাখবেন। বাদাম, মাংস, বিভিন্ন বীজ এসব কিন্তু দীর্ঘক্ষণ আমাদের পেটে থাকে। ফলে খিদেও পায় কম। আর এতেই কিন্তু ওজন ঝরে তাড়াতাড়ি।

image

#ওজন কমাতে খেতে পারেন যেসব মাছ-


ওজন কমানোর চেষ্টা সবাই করেন। তবে ওজন কমানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। শরীর চর্চার পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও বিশেষ নজর দিতে হয়। এমন বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।

তবে, ওজন কমাতে গেলে মাটনের মতো ফ্যাট জাতীয় খাবার একদম চলে না।
আপনি চিকেন, মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন। মাছ ও ভাতে বাঙালি যদি মাছ খেয়ে ওজন কমাতে পারে, তাহলে আর অন্য কোনো খাবারের উপর কেন নির্ভর করে থাকবেন। কিন্তু সমস্যা হল, ওজন কমানোর জন্য ঠিক কোন মাছটা বেশি করে খাবেন?

মৌরলা, শিং, মাগুর থেকে শুরু করে রুই, কাতলা, ইলিশসহ সব ধরনের মাছ পাওয়া যায় বাজারে। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য আদৌ কোনটি কিনবেন? বেশ কিছু গবেষণার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, মাছ খেলে ওজন কমে এবং বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সপ্তাহে ২-৪ চারদিন মাছ খেলে আপনি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে পারবেন।

মাছ হলো এমন একটি খাবার যা প্রোটিনের সমৃদ্ধ উৎস। তাই মাছ খেলে পেট দীর্ঘক্ষণ ভর্তি থাকে, এতে উল্লেখযোগ্যভাবে ওজন কমে। চিকেন কিংবা মাটনের মতো খাবারের তুলনায় অনেক কম ক্যালরি রয়েছে মাছে। ফ্যাটের পরিমাণও সীমিত। সুতরাং, মাছ খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। বরং মাছ খেলে আপনার শরীর থাকবে সতেজ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাছের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্টি শরীরে প্রদাহ কমায়, হার্টের স্বাস্থ্য বজায় রাখে, উজ্জ্বল ত্বক প্রদান করে এবং ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। টুনা, রাভা, সার্ডিন, ম্যাকরেল, বাঙদার মতো মাছগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়া শামুক, ঝিনুক, চিংড়ি, ক্যাটফিশের মতো সামুদ্রিক খাবারও খেতে পারেন। তবে এগুলো সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত, কারণ এতে বেশ উচ্চ পরিমাণে মারকিউরি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ওজন কমাতে সাহায্য করে ইলিশ, পমফ্রেটের মতো মাছ।

image

গৃহিণীদের ফিট এবং সুস্থ থাকার পদ্ধতি -
ডায়েট প্ল্যানের প্রয়োজনীয়তা
যেকোন গৃহিণীরই উচিত নিজেদের সুস্থ ভালো রাখার দিকটিতে খুব বেশি লক্ষ্য রাখা। কেননা একজন গৃহিণীকে অনন্ত দায়-দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাছাড়া সংসার সামলিয়ে নিজের যত্ন নেওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু একজন গৃহিণীর সঠিক ডায়েট ও পুষ্টি খুবই প্রয়োজনীয়। চলুন জেনে নেই কিছু সহজ পদ্ধতি যার সাহায্যে একজন গৃহিণী পেতে পারেন ঝরঝরে ও মেদহিন একটি শরীর।

১) প্রতিবেলা খাবারের পরিকল্পনা
প্রতিবেলার খাবার দিনের প্রথমেই প্ল্যান করে ফেলুন। সারাদিনের খাবারের ক্ষেত্রে ব্যালেন্স রাখতে চেষ্টা করুন। সকালে ভারি খাবার খেলে দুপুরে তার থেকে একটু কম রাতে একেবারেই কম খাবেন। আপনাকে নিজের ঠিক করে নিতে হবে সারাদিন কত ক্যালোরি খাবেন। সেই অনুযায়ী সকালে, দুপুরে এবং রাতের ক্যালোরি এবং ডায়েট চার্ট গুছিয়ে নিবেন। খুব সতর্কতার সাথে খাবার গ্রহণ করবেন যেন ওজন বৃদ্ধি না পায়।

২) পরিমাণমতো ক্যালোরি গ্রহণ
শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালোরি খাবেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীর মুটিয়ে ফেলবে।তাই ক্যালোরি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করবেন।

৩) বেশি বেশি পানি পান করা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সকালে নাস্তা করার আগেই দুই গ্লাস পানি পান করুন। দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের পরও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। তেষ্টা পেলেই পানি বেশি করে পান করবেন। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। তবে ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে থেকে কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সে সময় পানি পান থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৪) একঘেঁয়েমি কাটাতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করবেন না
বাসায় সারাদিন একা থেকে অনেকেই একঘেঁয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে আর এই কারণে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতে থাকে। গৃহিণীদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ এটি। এই অভ্যেস দূর করতে হবে। ক্ষুধা লাগলে সবজি, ফলমূল কিংবা চর্বিহীন প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন।

৫) শরীরচর্চা করুন
সারাদিন বাসায় থাকার কারণে শরীর তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। কিন্তু আপনি চাইলেই ঘরে বসে কিছু ক্যালোরি পোড়াতে পারেন। আপনি বাড়িতে বসেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ কিংবা ইয়োগা করতে পারেন। এছাড়াও চাইলে আপনি গান লাগিয়ে নাচের মতো করেও শরীরচর্চা করতে পারেন। বিকেলে একটু পার্কে হেঁটে আসুন। দুপুরে না ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। খাওয়ার পর হালকা একটু বিশ্রাম নিতে পারেন।

৬) রান্নার তালিকায় রাখুন নিজের পছন্দের খাবার
গৃহিণীরা সাধারণত স্বামি, সন্তান কিংবা পরিবারের অন্যদের পছন্দের খাবারই রান্নার তালিকায় রেখে থাকেন। তারা কখনোই নিজেদের পছন্দ কিংবা অপছন্দের ব্যাপারে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য গৃহিণীদের নিজেদের জন্যও রান্না করতে হবে। এতে করে নিজের যত্ন নেওয়াও হবে।

৭) পর্যাপ্ত ঘুম
একজন গৃহিণীর সুস্থতা বজায় রাখতে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুম ঠিকভাবে না হলেও ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের ঘুম যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

ব্যস এই কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করলেই গৃহিণীদের ফিট এবং সুস্থ থাকা সম্ভব। গৃহিণীদের নিজের প্রতি হতে হবে যত্নশীল। পরিবারের পাশাপাশি নিজেকেও রাখুন সুন্দর এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ছবি- সংগৃহীত: সাটারস্টক

image