HOME DECOR IIDEAS Cover Image
HOME DECOR IIDEAS Profile Picture
HOME DECOR IIDEAS
@HomeDecorIdeas • 0 orang orang suka ini

পুরনো মানেই সুন্দর❤️❤️

imageimage
+5

imageimage

#ঘর #পর্দা
ঘরের পর্দা নির্বাচনে যা মনে রাখবেন-
ঘর বা আবাস আমরা যত্ন নিয়ে গড়ে তুলি। যান্ত্রিক শহরে নিজের মতো করে ঘর তৈরি করা বেশ কঠিন। মধ্যবিত্ত পরিবারে ঘরের সাজ অনেক সীমার মধ্যে রাখতে হয়। ঘরের সৌন্দর্য তৈরি করতে বা নতুন আঙ্গিক আনতে পর্দার জুড়ি নেই।রঙের সঙ্গে পর্দার ডিজাইন খুব জরুরি। পর্দা হতে হবে আপনার ঘরের ডেকোরেশন স্টাইল ও আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী।

সেই পর্দার গল্প-
একটা সময়ে পর্দা শুধু ঘরের সুরক্ষা আর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় ব্যবহৃত হতো। সেই গণ্ডি পেরিয়ে পর্দা এখন আপনার ঘর বা অ্যাপার্টমেন্টের বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনার ঘরের পর্দা আপনার ব্যক্তিত্ব ও রুচির পরিচয় দেয়।
শুধু তাই নয়, পর্দা আপনার মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পর্দা নির্বাচন করা সহজ কাজ নয়। পর্দা নির্বাচনের যেসব দিক মাথায় রাখবেন তা জেনে নিন।
পর্দা নির্বাচনের সময় পর্দার মানের দিকে খেয়াল রাখুন।

ভালো মানের ফেব্রিকের পর্দা ঘরের পরিবেশের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। কাপড়ের মানের ওপরে পরিষ্কার করার সুবিধা-অসুবিধা নির্ভর করে। খেয়াল রাখতে হবে, পর্দার কাপড়টি যেন খুব সহজে ধুলা****ি শোষণ না করে। সঙ্গে অবশ্যই চলতি সময়ে পর্দার স্টাইল এবং ডিজাইনও মাথায় রাখতে হবে।
পর্দা নির্বাচনে রং আর ডিজাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
ঘরের দেয়াল ও আসবাবের রঙের সঙ্গে মিল রেখে পর্দার রং নির্বাচন করা উচিত। ঘরের দেয়ালের রঙের মতো একই রং কিংবা গাঢ রঙের পর্দা বেশ মানানসই হতে পারে। আবার আসবাবের রঙের বিপরীতের রং ঘরের আবেদন বাড়াতে সাহায্য করবে।

রঙের সঙ্গে পর্দার ডিজাইন খুব জরুরি। পর্দা হতে হবে আপনার ঘরের ডেকোরেশন স্টাইল ও আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী। যদি ঘরের সাজসজ্জায় আধুনিকতা ও গাম্ভীর্য আনতে চান, তাহলে হালকা এক রঙের লাইন চেক বা জ্যামিতিক প্যাটার্ন ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি ক্লাসিক ও ইউরোপীয় ডেকোরেশন স্টাইল পছন্দ করেন, তাহলে ফ্লোরাল ডিজাইনের পর্দা ব্যবহার করা উচিত। যদি সরলসোজা বা মিনিমালিস্ট চিন্তধারার অনুসারী হন, তাহলে এক রঙের পর্দা আপনার জন্য মানানসই হবে। দেশি আঙ্গিকে ঘর সাজাতে চাইলে পর্দায় দেশি কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। দেশীয় বাটিক, ব্লক, তাঁতের কাপড় বা গামছার কাপড় খুব জনপ্রিয় এখন পর্দা হিসেবে। বাঁশের চাটাইকে পর্দা হিসেবে আধুনিক ট্রেন্ড হিসেবে ব্যবহারের চল এখন বেশ খেয়াল করা যায়।

পর্দা আপনার ঘরের প্রাইভেসি বজায় রেখে বাইরের আলোকে বাধা দেয়। আপনি যদি ঘরে প্রাকৃতিক আলো চান, তাহলে পর্দা হালকা রঙের আর পাতলা কাপড়ের হওয়া উচিত। ঘরের প্রাইভেসি গুরুত্বপূর্ণ হলে ভারি ও গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবে। যদি গোপনীয়তা ও আলো উভয়েই চান, তাহলে দুই লেয়ারের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।

পর্দার লেআউট ও স্টাইল নির্বাচন করার সময় ঘরের আয়তন, উচ্চতা, ব্যক্তিগত পছন্দ আর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা মনে রাখতে হবে। স্লাইডিং পর্দা, রোলডাউন কার্টেন, রোমান শেড, বাঁশের চাটাইসহ বিভিন্ন ধরনের পর্দা এখন জনপ্রিয়। যদি ঘরের পর্দায় নতুনত্ব আনতে চান, তাহলে একেবারে অপ্রচলিত কোনো উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন। প্রিয় অথবা অব্যবহৃত শাড়ি দিয়ে পর্দা তৈরি করতে পারেন। গামছা দিয়ে তৈরি করা যেতে পারে রোমান শেড। শীতল পাটি দিয়ে হতে পারে রোলডাউন কার্টেন। সব শেষে একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না- পর্দার স্থায়িত্ব ও ব্যবহারযোগ্যতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত বিরতিতে পর্দা ধুতে হবে আর কয়েক বছর পর পর বদলাতে হবে।

image

#ঘরের সৌন্দর্য বাড়াতে কালারফুল ট্রি
আমাদের ঘরকে চমৎকার করে তুলতে আমরা বাজার থেকে কত রকমের শোপিস কিনি। অথচ সামান্য কিছু জিনিস দিয়ে আমরা ঘরেই তৈরি করে নিতে পারি ঘর সাজানোর জন্য কালারফুল ট্রি। কি অবাক হচ্ছেন তো? না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। আজকেই আমরা শিখে যাবো কীভাবে অল্প কিছু জিনিস দিয়েই তৈরি করতে পারব ঘর সাজানোর জন্য কালারফুল ট্রি।
কালারফুল ট্রি তৈরিতে যা যা লাগছে:

১। স্ক্রেপবুক পেপার বা যে কোনো ধরনের কালারফুল পেপার। এজন্য আপনার কাছে যদি কালারফুল কোনো ক্যালেন্ডার থাকে তাতেও হবে।

২। থাই তার বা GI তার (ব্লক বাটিকের দোকানগুলোতে পেয়ে যাবেন) অথবা ক্র্যাফট সাপ্লাই ওয়্যার (অনলাইনে পেয়ে যাবেন)।

৩। গাছের শুকনো ডাল।

৪। ফুলদানি।

পদ্ধতি:

১। যেসব কালারফুল পেপার দিয়ে আপনি ট্রি বানাবেন তা একসাথে নিন।
২। ক্রাফট ওয়্যার গুলো পছন্দনুযায়ী বিভিন্ন দৈর্ঘ্যে কেটে নিন। আমি কাঁটার জন্য পুরোনো নেইল কাঁটার ব্যবহার করেছি।
৩। এখন কালারফুল পেপার থেকে নিজের পছন্দমত শেইপে দুইটা পাতা কেটে নিয়ে তার মাঝে তার রেখে গ্লু দিয়ে আটকে দিন। পেপার কাঁটার সময় সব এক শেইপে কাটার জন্য আগে আমি একটি মোটা কার্ডবোর্ড নির্দিষ্ট শেইপে কেটে সেটা পেপারের উপর রেখে চারপাশে পেন্সিলের দাগ দিই। তারপর কাঁচি দিয়ে কেটে নিই।
৪। তারপর পাতা নিয়ে শুকনো ডালে পেঁচিয়ে নিন। এখানে কোনো নিয়ম নেই। যেভাবে ভালো লাগে সেভাবেই ডালে পাতাগুলো সেট করে নিন। একভাবে ভালো না হলে ছুটিয়ে আবার অন্যভাবে করুন।

সবগুলো ডাল একসাথে ফুলদানিতে রাখুন। হয়ে গেলো আপনার কালারফুল ট্রি।
দেখুন আপনার ঘরের সৌন্দর্য কতটা বেড়ে গেছে।

imageimage

#গৃহসজ্জায় সঠিক কার্পেট বেছে নেওয়ার দারুণ টিপস-
ঘরে নিয়মিত ব্যবহারের কার্পেটটিও হতে পারে আপনার ইন্টেরিওরের একটি আর্টওয়ার্ক। কাঠ, কনক্রিট কিংবা টালি করা ফ্লোরে কার্পেট বা এরিয়া রাগ ব্যবহার আপনার স্পেসকে ফুটিয়ে তুলবে। ঘরকে পছন্দ অনুযায়ী সাজাতে এমন কার্পেট দিয়ে শুরু করুন, যা আপনার ঘরের সাথে মানিয়ে যায়। ঘরের ইন্টেরিওরে একঘেয়েমি দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন প্যাটার্নড বা নকশা করা কার্পেট। অথবা ঘরে ছিমছাম আবহ বজায় রাখতে ঘরের ইন্টেরিওর অনুযায়ী সিম্পল ধরনের কার্পেটও বেছে নিতে পারেন।
ঘরে ব্যবহার করা কার্পেটগুলো ঘরের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিতে পারে বহুগুণে, কিন্তু সঠিক প্যাটার্ন কিংবা আকার বেছে নিতে ভুল হলে ঘটতে পারে বিপত্তি। কিন্তু এতে ভয়ের কিছু নেই! আজকে এই ব্লগে আমরা জানব, কার্পেটের বিভিন্ন ধরন এবং এর ব্যবহারের দারুণ কিছু টিপস।

সঠিক মাপের কার্পেট বেছে নেওয়া
সঠিক মাপের একটি কার্পেট পুরো ঘরের আভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি কার্পেটটি এমন ভাবে সেট করতে পারেন যেন ঘরের আসবাবপত্র কার্পেটের ওপরে থাকে অথবা আপনি সোফা কিংবা আসবাবাপত্রের ফ্রন্ট লেগ বা সামনের দু’পা কার্পেটে সেট করতে পারেন। এটি আপনার ঘরকে তুলনামূলক বড় দেখাতে সাহায্য করবে।
সাধারণত বেশিরভাগ রুমের ক্ষেত্রে কার্পেট এবং দেয়ালের মাঝে ১০ থেকে ২০ ইঞ্চি পরিমাণ খালি জায়গা রাখা হয়। এছাড়া আরেকটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে যে, কার্পেটটির চারপাশ দেয়ালের প্রান্তগুলোর সাথে সমান ভাবে সেট করা থাকে।

সলিড রঙের কার্পেট বনাম প্যাটার্ন কার্পেট
প্যাটার্ন বা নকশা করা কার্পেট ব্যবহারের ব্যাপারে সবাই আগ্রহী হয়না। আপনার ঘরে যদি ভারী নকশার আসবাব হয়ে থাকে তাহলে সলিড ডিজাইনের কার্পেট ব্যবহার করাই শ্রেয়। অপরদিকে, আপনার দেয়াল যদি সলিড বা একরঙা হয়ে থাকে তাহলে রুমে বৈচিত্র আনতে প্যাটার্নড বা নকশা করা কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।

সঠিক ধরন বেছে নেওয়া
ঘরের অন্যান্য আসবাবপত্রের মতো কার্পেটরও বিভিন্ন ধরন রয়েছে। আপনার ঘরের জন্য হুট করে কার্পেট বেছে নেওয়ার আগে আপনার ঘরের আবহের সাথে যায়, এমন ধরনটি বাছাই করুন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে, আপনার পুরো ঘরের আনুসাঙ্গিক এবং আসবাবপত্রের সাথে আপনার কার্পেটটিও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।
অ্যাজটেক কার্পেটগুলো ঘরে একটি বোহেমিয়ান ভাব যোগ করে। ঘরের অন্দরসজ্জায় জন্য এগুলো অত্যন্ত দারুণ। এ ধরনের কার্পেটগুলো কালজয়ী কিছু নকশা এবং বিখ্যাত ডিজাইনের কারণে বিখ্যাত। হালকা ধরনের ফার্নিচারের সাথে এ কার্পেটগুলো খুব সুন্দর মানিয়ে যায় এবং সকলের নজর কাড়ে। আপনি যদি সিম্পল বা ছিমছাম ভাবে ঘরকে ফুটিয়ে তুলতে চান, তাহলে হাল্কা ধূসর, বেইজ কিংবা সাদা রঙের মতো কিছু নিউট্রাল রঙ বেছে নিতে পারেন।
এছাড়া আপনার ফার্নিচার এবং কফি টেবিলকে আরও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন একটি স্টাইলিশ কার্পেট দিয়েই। নিউট্রাল রঙের মাঝে জ্যামিতিক নকশা করা কার্পেট আপনার ঘরে এনে দিতে পারি একটি শান্তিপূর্ণ আবহের ছোঁয়া। ঘরের জন্য মানানসই একটি কার্পেট আপনার ঘরে এনে দেয় স্বাচ্ছন্দ্যম অনুভূতি। ছিমছাম উপায়ে গর্জিয়াস ভাবে ঘরের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার জন্য এটি একটি দারুণ উপায়।

সঠিক শেপ বেছে নেওয়া
আমরা সাধারণত যে আয়তকার ধাঁচের কার্পেটগুলো ব্যবহার করে থাকি, এর থেকে বের হয়ে নতুন কিছু শেপ বেছে নিতে হবে। আপনার ঘরের শেপ এবং আসবাব অনুযায়ী সঠিক কোনটি হবে তা বুঝে কার্পেট নির্বাচন করতে হবে। হয়তো চারকোণা একটি কার্পেট আপনার ইন্টেরিওরকে কমপ্লিমেন্ট করবে দারুণভাবে অথবা গোলাকৃতি কিংবা অভাল শেপ এর কার্পেট মানিয়ে যাবে আপনার ইন্টেরিওরের সাথে।
বৃত্তাকার কার্পেট ঘরের পরিবেশে নতুনত্ব নিয়ে আসে। এটি ব্যবহারে ঘরের ছোট স্পেসকেও আরও বড় দেখায়। এটি ঘরে যেকোন জায়গায় ব্যবহারের চেয়ে ঘরের মাঝে রাখার জন্য বেশি উপযোগী। পাটের বৃত্তাকার কার্পেটগুলো ঘরে একটি আরামদায়ক কিংবা রিল্যাক্সিং পরিবেশ তৈরি করে।
আপনার ঘরের ইন্টেরিওরে নতুনত্ব নিয়ে আসতে পারে আপনার ডাইনিং টেবিল এর নিচে একটি অসম আকৃতির কার্পে্ট রাখার মাধ্যমেই। এর ব্যবহার খুব বেশি প্রচলিত না হলেও ইন্টেরিওরের জন্য এটি নতুন একটি ধারা। কার্পেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু শেপ বা আকার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে এবং আপনার ঘরের ইন্টেরিওরের ধরন অনুযায়ী শেপ নির্ধারণ করতে হবে।
আরামদায়ক কার্পেট বেছে নেওয়া
সারাদিনের ব্যস্ততা আর ক্লান্তির পর কখনো কি মনে হয়েছে নরম কিংবা ফ্লাফি কোন বসার জায়গার গা এলিয়ে দিতে? এক্ষেত্রে আপনার ঘরের কার্পেট একটি বড় ভুমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বেছে নিতে পারেন কটন কিংবা উলের তৈরি তুলতুলে ধরনের পশমি কার্পেট, যা আপনাকে দিবে শান্তি। অত্যন্ত আরামদায়ক হওয়ার পাশপাশি এটি এগুলো অত্যন্ত বাজেট ফ্রেন্ডলি।
আরামদায়ক কার্পেটের কথা ভাবতেই নির্দ্বিধায় মাথায় আসে পশমি কার্পেটগুলোর কথাই। এগুলো খুবই আরামদায়ক এবং বর্তমানে ইন্টেরিওরের সাথে ভীষণ ট্****! আর এটির আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এ কার্পেটগুলো ঘরে একটি বিলাসবহুল কিংবা লাক্সারি ইন্টেরিওর লুক পেতে সাহায্য করে।
কটন কার্পেট ঘরে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে আরামদায়ক। এগুলো খুব সহজেই ধোয়া যায়, এমনকি ওয়াশিং মেশিনেও এগুলো পরিষ্কার করা যায়। এ ধরনের কার্পেটগুলো আপনার বিছানার পাশে সেট করুন, যা আপনাকে দিবে স্বস্তি এবং ফ্লোরের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করবে।

image