#পূর্ণগ্রাস #সূর্যগ্রহণ
বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে আগামী মাসে। গ্রহণ দীর্ঘ ক্ষণ স্থায়ী হবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ৮ এপ্রিল যে গ্রহণ হবে, তা গত ৫০ বছরে দীর্ঘতম। বেশ খানিকটা সময়ের জন্য সূর্য পুরোপুরি ঢাকা থাকবে চাঁদের ছায়ায়।

পৃথিবী, চাঁদ এবং সূর্য যখন এক সারিতে চলে আসে, যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝে চাঁদ অবস্থান করে, তখন গ্রহণ হয়। চাঁদের অবস্থান অনুযায়ী গ্রহণের ধরন নির্ভর করে। চাঁদের ছায়ায় সূর্য পুরোপুরি ঢেকে গেলে তাকে পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বলা হয়। আগামী ৮ এপ্রিল সেই পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে। সে দিন আকাশে চাঁদের আকারও অন্যান্য দিনের তুলনায় বড় হবে।

চাঁদের আকার সূর্যের চেয়ে অনেক ছোট হলেও চাঁদ পৃথিবীর অনেক কাছাকাছি রয়েছে। তাই তার ছায়া পৃথিবীর দৃশ্যপট থেকে সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে দেবে। বিজ্ঞানীদের দাবি, ৮ তারিখ টানা সাড়ে সাত মিনিট সূর্য দেখা যাবে না। চাঁদের ছায়ায় সূর্য ঢেকে থাকবে ওই সময়ে। তার পর ধীরে ধীরে গ্রহণ কাটবে।
পূর্ণগ্রাস গ্রহণ বিরল নয়। তবে বছরের প্রথম গ্রহণটিকে আর পাঁচটা গ্রহণের চেয়ে আলাদা মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ, গ্রহণ সাধারণত এত দীর্ঘ সময় ধরে চলে না। দু’এক মিনিটের জন্য চাঁদ সূর্যকে আড়াল করে। তার পরেই আবার সূর্য দেখা যায় আকাশে। সাড়ে সাত মিনিটের গ্রহণ নিয়ে তাই নতুন করে কৌতূহল তৈরি হয়েছে আগ্রহীদের মধ্যে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শেষ বার এই দীর্ঘ পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হয়েছিল ১৯৭৩ সালে। আফ্রিকা থেকে সেই গ্রহণ দেখা গিয়েছিল। ৮ এপ্রিলের গ্রহণ আমেরিকা, মেক্সিকো-সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলি থেকে দেখা যেতে পারে।

image

যে কারণে ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন, সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে এ উষ্ণতা বৃদ্ধির হার দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখা না গেলে, বিশ্বে এমন ওলট–পালট শুরু হবে, যা আর সহজে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। বিজ্ঞানীদের এ সমস্ত সতর্কতার মধ্যেই গবেষেণায় উঠে এসেছে আরও কিছু বিষয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ধীর হয়ে আসছে পৃথিবীর ঘূর্ণন, যা প্রভাব ফেলতে পারে পৃথিবীর সময় গণনার হিসাব নিকাশে। গবেষণাটি প্রকাশ করেছেন গবেষক ডানকান এগ্নিউ। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত একজন ভৌতবিজ্ঞানী।

এগ্নিউ বলেন, মেরুতে বরফ গলে যাওয়া পৃথিবীর ভরের ঘনত্বকে পরিবর্তন করে, যার ফলে এর কৌণিক বেগ প্রভাবিত হয়।
এগ্নিউ বরফের উপর ঘুরতে থাকা একজন স্কেটারের সঙ্গে তুলনা করে পৃথিবীর ঘূর্ণন ধীর হয়ে আসার বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, একজন স্কেটার যখন বরফের ওপর স্কেটিং করে তখন তার হাত প্রসারিত থাকলে সে দ্রুত ঘুরতে পারে। আর হাত ভেতরের দিকে নামিয়ে আনলে তার গতি ধীর হয়ে আসে। পৃথিবীর ঘূর্ণনের ব্যাপারটাও এমনই।

ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অ্যান্ড টেকনোলজির ভৌতবিজ্ঞানী থমাস হেরিং বলেন, অ্যান্টার্কটিকা এবং গ্রিনল্যান্ড থেকে বরফ গলে গ্রহের অন্যান্য অংশে পরিবাহিত হচ্ছে। গলে যাওয়া বরফ বিষুবরেখার দিকে প্রবাহিত হচ্ছে।

গবেষক এগ্নিউ পৃথিবীর এই পরিবর্তনের জন্য মানুষকেই দায়ী করেছেন। ব্যাঙ্গাত্মক উপস্থাপনায় তিনি বলেন, আমরা মানুষেরা এমন একটি অবিশ্বাস্য কাজ করে ফেলেছি যে পৃথিবীর গতিই পরিবর্তন করে দিয়েছি।

নেচার জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণা অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গত কয়েক দশকে পৃথিবীর ঘূর্ণন দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। যে কারণে বিজ্ঞানীরা ২০২৬ সালের মধ্যে সময় গণনায় ঘড়িতে একটি নেতিবাচক লিপ সেকেন্ড মুছে ফেলার কথা ভাবছেন। মেরু অঞ্চলের বরফ গলায় এই সম্ভাবনা তিন বছর ধরে স্থগিত রয়েছে। কিন্তু এ ধরনের সংস্কার গোটা কম্পিউটিং সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে।

image

#নাসার নতুন উদ্ভাবন
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এমন এক এআই মডেল বানিয়েছে, যা পৃথিবীতে আসন্ন কোনো সৌরঝড়ের সম্ভাব্য আঘাত হানার জায়গা সম্পর্কে অগ্রিম ভবিষ্যদ্বাণী দেবে। নতুন এ ব্যবস্থা সম্ভাব্য সৌরঝড় সম্পর্কে ‘৩০ মিনিটের আগাম সতর্কবার্তা’ দিতে পারে। নাসার ‘গদার স্পেস সেন্টারের’ গবেষকরা বলছেন, মহাকাশের বিপজ্জনক আবহাওয়া সম্পর্কে সতর্কতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এআই মডেলটি নাসার বিভিন্ন স্যাটেলাইট ডেটা বিশ্লেষণ করে থাকে। এ সতর্কবার্তার ফলে বিভিন্ন দেশ নিজস্ব পাওয়ার গ্রিড ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে ঝড়ের মারাত্মক প্রভাব থেকে বাঁচাতে দরকারি সময় পাবে। নাসার তৈরি করা এ কম্পিউটার মডেলের নাম ‘ড্যাগার’। গবেষকরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভূচৌম্বকীয় ব্যাঘাত ঘটার ‘৩০ মিনিট আগে’ সেগুলোর দ্রুত ও সঠিক পূর্বাভাস দিতে পারে এটি।

image

#চন্দ্রগ্রহণ
বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ আজ, দেখা যাবে কোথা থেকে?
চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হতে যাচ্ছে মার্চ মাসে। আজ ২৫ মার্চেই দেখা যাবে এই বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ২০২৪ সালের প্রথম চন্দ্রগ্রহণ সোমবার সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে শুরু হবে। আর দুপুর ৩টা ২ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
চন্দ্রগ্রহণ পৃথিবীর বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে দেখা যাবে। তবে সেই তালিকায় ভারত ও বাংলাদেশ নেই। মূলত পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধ থেকে সোমবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

চলতি বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণের সাক্ষী থাকবে এশিয়ার উত্তর ও পূর্ব অংশ। এছাড়াও চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় আর্কটিক ও আন্টার্টিকার বহু অংশ দেখতে পাবে গ্রহণ।
সোমবারের চন্দ্রগ্রহণের একটি বিশেষত্ব রয়েছে। এটি চাঁদের পূর্ণ বা আংশিক গ্রহণ নয়। একে বলে ‘পেনম্ব্রাল’ চন্দ্রগ্রহণ। গ্রহণের সময়ে সাধারণত সূর্য, পৃথিবী এবং চাঁদ একই সরলরেখায় অবস্থান করে। ফলে সূর্যের আলো পৃথিবীর উপরে পড়ে এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে ঢেকে দেয়। ‘পেনম্ব্রাল’ গ্রহণের ক্ষেত্রে তা হবে না। এই পর্যায়ে পৃথিবী, সূর্যের আলো পুরোপুরি ভাবে আড়াল করতে পারে না। বরং চাঁদের ঔজ্জ্বল্য খানিক হ্রাস পায়। একে আংশিক গ্রহণও বলা যায় না।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা নাসার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সোমবারের পর বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণটি হবে সেপ্টেম্বর মাসে। ১৮ সেপ্টেম্বর চাঁদের আংশিক গ্রহণ হওয়ার কথা। তা দেখা যাবে আফ্রিকা, আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন অংশ থেকে।

এদিকে, আগামী ৮ এপ্রিল বিরল এক সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হতে চলেছে বিশ্ব। তবে সব সূর্যগ্রহণের মতো একই সাথে পৃথিবীর সব অঞ্চল থেকে দেখা যাবে না এটি। সম্প্রতি এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০২৪ সালের প্রথম এ সূর্যগ্রহণ হবে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।

নাসা বলছে, এই সূর্যগ্রহণ খুবই বিশেষ। কারণ এই ঘটনা ঘটছে ৫৪ বছর পর। এর আগে ১৯৭০ সালে এই সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। এর পরে এটি ২০৭৮ সালে ঘটবে।

imageimage

#মহাকাশ #ক্যানসার #গবেষণা
#মহাকাশে ক্যানসার গবেষণা
ক্যানসার প্রতিরোধী ওষুধ তৈরির গবেষণা চলছে মহাকাশেও। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই গবেষণা করছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মহাকাশের ওজনহীন পরিবেশে ক্যানসার গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন।

ওই অনুষ্ঠানে নাসার নভোচারী ফ্র্যাঙ্ক রুবি বলেছেন, গবেষণার জন্য অনন্য একটি জায়গা হচ্ছে মহাকাশ।
পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার ওপরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অবস্থিত। সাম্প্রতিক এক মিশনে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা চালান ৪৮ বছর বয়সী পদার্থবিদ ও সাবেক সামরিক হেলিকপ্টার চালক ফ্র্যাঙ্ক।

মহাকাশের সেখানকার ওজনহীন পরিবেশে দ্রুত কোষের বয়স বাড়ে। এতে গবেষণার গতিও বাড়ে। ফলে কোষের খাঁটি গঠন কাঠামোও বিশ্লেষণ করতে পারেন গবেষকেরা।

image