STORIES Cover Image
STORIES Profile Picture
STORIES
@Stories • 0 像这样的人

পুলিশ একদিন বল্টুর বাবাকে খুঁজতে বল্টুদের বাড়ি গিয়ে বল্টুকে বলল.

পুলিশ : তোমার বাবা কোথায়!

বল্টু : বাবা বাড়িতে নেই।🫣🫣

পুলিশ : কোথায় গেছেন!

বল্টু : বলব না।🥲🥲

পুলিশ : বলো কোন সমস্যা নেই । আমরা তোমার বাবার সাথে শুধু একটু কথা বলব।

বল্টু : না। আমার বাবা আপনাদের সাথে কথা বলতে চান না।

পুলিশ : আচ্ছা ঠিক আছে , তোমার বাবা কোথায় গেছেন বলার দরকার নেই। যাওয়ার আগে কি বলে গেছেন সেটা অন্তত বলো।

বল্টু : বাবা বলেছেন আমি সামনের দোকানে চা খেতে যাচ্ছি। পুলিশ আসলে বলবি না আমি কোথায় গেছি
🤣🤣🤣🤣🤣🤣

লোকে যতই বলুক,
যে গাছের ফুল শুধু গাছেই সুন্দর দেখতে লাগে!
আমি কিন্তু তাতে মোটেও সহমত নই!

কেন?
তাহলে শোনো,,,,,

ফুল হাতে দেখতেও কিন্তু বেশ লাগে!
একজন পাগলপ্রায় প্রেমিক যখন তার প্রেয়সীর
সহিত সাক্ষাতের আকাঙ্ক্ষায় একগুচ্ছ ফুল হাতে, অপেক্ষার পায়চারি করতে থাকে- রাস্তার পাশ ঘেঁষে, তখন সেই দৃশ্যরূপ দেখাটা যে কত মোহনীয় লাগে!

কিংবা যখন এক বঙ্গনারী তার জীবনের শুদ্ধ পুরুষটির জন্য ফুলে ফুলে নিজেকে সজ্জিত করে, নববধূ সেজে বসে থাকে, হাজারো ফুলে শোভিত- ফুলশয্যার সেই মধ্যভাগে; তখনকার সেই প্রণয়াবেদন-কে কিন্তু হেলায় ফেলার জো নেই....

আবার সদ্য বাবা-মা হওয়ার আনন্দ ভাগাভাগি করতে যখন এক স্বামী তার স্ত্রী-এর শিয়রে সযত্নে ফুলের তোড়া নিবেদন করে কপালে চুম্বন এঁকে দিয়ে বলে-- "আমাকে একটি জীবন্ত ফুল উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!" তখন সেই বাক্যে প্রকাশ করা আবেগে যেই তৃপ্তি থাকে, তা অনেক প্রাপ্তির চেয়েও সুন্দর।

ওদিকে বিবাহের সুবর্ণ জয়ন্তী পূর্তিতে এক বৃদ্ধ তার বৃদ্ধার চুলের খোঁপায় ফুল গুঁজে দিতে দিতে বলে-- "গিন্নী, মনে আছে? প্রথম প্রথম একবার লুকিয়ে তোমার জন্য বেলীফুল এনে মায়ের কাছে কী ধরাটাই না খেয়েছিলাম?" গিন্নী আজও লাজুক হেসে বলে-- "সে আর বলতে? অত লোকের একান্নবর্তী বাড়িতে কী আর ওসব চলে না-কি!"
তাদের ধরা খাওয়ার সেই স্মৃতিতেও ফুল সুন্দর!!

তাই আমার কাছে--
ফুল সবেতেই সুন্দর। হোক তা গাছের ডালে'তে, অথবা চাতক প্রেমিকের হাতে; কিংবা নববধূর সাথে কাটানো সে বিশেষ রাতে!!
আবার বাবা-মা হতে পারার আনন্দ প্রভাতে, কিংবা বৃদ্ধ দম্পতির একান্নবর্তী বাড়িতে কাটানো যৌবন স্মৃতিতে!!❤️❤️

কচ্ছপ আর খরগোশের গল্পটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু মজার বিষয় হল আমরা গল্পের শুধু প্রথম অংশটাই পড়েছি।

আপনি কি জানতেন যে, এই গল্পের আরো ৩ টি অধ্যায় আছে! যা হয়তো আমরা কেউ কেউ পড়েছি বা শুনেছি, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই পড়িনি।

গল্পের বাকি অংশটুকু এবার জেনে নিন🥰🥰

🔰১ম অংশ:
এই অংশটা আমরা ছোটবেলায় বইয়ে পড়ছি। এখানে খরগোশ ঘুমিয়ে যায়, আর কচ্ছপ জিতে যায়। প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর খরগোশ বিশ্লেষণ করে দেখল তার পরাজয়ের মূল কারণ 'অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস।' তারমানে অতি আত্মবিশ্বাস যে কারো জন্যই ক্ষতিকর। আর কচ্ছপ বুঝল, লেগে থাকলে সাফল্য আসবেই!

🔰২য় অংশ:
হেরে যাওয়ার পর এবার খরগোশ আবারো কচ্ছপকে দৌড় প্রতিযোগিতায় চ্যালেঞ্জ করল আর কচ্ছপও রাজী হল।

এবার খরগোশ না ঘুমিয়ে দৌড় শেষ করল এবং জয়ী হল। খরগোশ বুঝল, মন দিয়ে নিজের সামর্থের পুরোটা দিয়ে কাজ করলে দ্রুত সফল হওয়া যায়।

আর কচ্ছপ বুঝল, ধীর স্থির ভাবে চলা ভালো, তবে কাজে উপযুক্ত গতি না থাকলে প্রতিযোগীতা মূলক পরিবেশে জয়ী হওয়া অসম্ভব!

🔰৩য় অংশ:
কচ্ছপ এবার খরগোশকে আরেকবার দৌড় প্রতিযোগিতার আমন্ত্রন জানালো। খরগোশও নির্দিধায় রাজী হয়ে গেল। তখন কচ্ছপ বলল, "একই রাস্তায় আমারা ২ বার দৌড়েছি, এবার অন্য রাস্তায় হোক।" খরগোশও রাজী। অতএব নতুন রাস্তায় দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল।

যথারীতি খরগোশ জোরে দৌড় শুরু করে দিল। কচ্ছপও তার পিছন পিছন আসতে শুরু করল। কচ্ছপ যখন খরগোশ এর কাছে পৌঁছাল, দেখল খরগোশ দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু দৌড়ের শেষ সীমানায় যেতে পারেনি।

কারণ দৌড়ের শেষ সীমানার আগে একটি খাল আছে। কচ্ছপ খরগোশ এর দিকে একবার তাকালো, তারপর তার সামনে দিয়ে পানিতে নেমে খাল পার হয়ে দৌড়ের শেষ সীমানায় পৌছে প্রতিযোগিতা জিতে গেল।

খরগোশ বুঝল, শুধু নিজের শক্তির উপর নির্ভর করলেই হবে না, পরিস্থিতি আর বাস্তবতা অনুধাবন করাও ভীষণ প্রয়োজনীয়! আর কচ্ছপ বুঝল, প্রথমে প্রতিযোগীর দূর্বলতা খুজে বের করতে হবে, তারপর সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে হবে।

গল্প কিন্তু এখানেই শেষ নয়‼️

🔰চতুর্থ অংশ: এবার তারা ঠিক করল, প্রতিযোগী হিসেবে নয়, বরং এবারের দৌড়টা তারা দৌড়াবে সহযোগী হিসেবে!

শুরু হল প্রতিযোগিতা। খরগোশ কচ্ছপকে পিঠে তুলে দৌড়ে খালের সামনে গিয়ে থামলো। এবার কচ্ছপ খরগোশকে পিঠে করে খাল পার হলো আর ২ জন ই জয়ী হল।

সত্যি অবাক লাগে কত তাড়াতাড়ি যে
ছোটোবেলা টা কেটে গেলো .... 😔! 💝
এই মিষ্টি স্মৃতি গুলো.... কার কার
মনে পড়ে হাত তোলো 😍✋

imageimage
+11

#থিংকআউট অফ দ্যা বক্স
গল্পটি শত বছর পুর্বে ইতালির একটি ছোট শহরের একজন ব্যাবসায়ীর মেয়ের বুদ্ধিদীপ্ত কাজের।
একজন বৃদ্ধ ব্যাবসায়ী তার ব্যাবসার জন্য শহরের একজন রক্তচোষা মহাজনের থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ।কিন্তু কিন্তু কয়েক বার টানা লোকসান হওয়ায় এবং মহাজনের সুদের টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে বেরে যাওয়ায় ব্যাবসায়ীর জন্য টাকা পরিশোধ করা কঠিন হয়ে যায়। সে সময় মতো টাকা পরিশোধ করতে পারছিলো না। এমন সময় মহাজন বললো সে এক শর্তে সকল কর্জ মাফ করে দিবে, যদি ব্যাবসায়ী তার মেয়েকে মহাজনের সাথে বিয়ে দেয়। মহাজন মানুষ হিসেবে ভাল ছিল না তাই ব্যাবসায়ীর প্রস্তাবটি পছন্দ হয়নি। তখন মহাজন বললো ঠিক আছে তাহলে চলুন আমরা আপনার বাগানে থাকা সাদা এবং কালো নুড়ি পাথর দিয়ে একটি ভাগ্য পরীক্ষা করি। আমি এই বাগানের পাথুরে রাস্তা থেকে একটি সাদা এবং একটি কালো পাথর নিয়ে একটি ব্যাগে রাখবো। সেখান থেকে আপনার মেয়ে একটি পাথর তুলবে। যদি সে কালো পাথরটি তোলে তবে সে আমাকে বিয়ে করবে এবং আপনার সব ঋণ আমি ছেড়ে দিবো এবং সে যদি সাদা পাথরটি তোলে সে ক্ষেত্রেও আমি আপনার ঋণ মওকুফ করে দিবো কিন্তু আপনার মেয়ের আমাকে বিয়ে করতে হবেনা। এমন সময় মহাজন যখন বাগানের রাস্তাটি থেকে নুড়ি পাথর থলেতে রাখার জন্য তুলছিল তখন মেয়েটি দেখে ফেলে যে, মহাজন একটি সাদা এবং একটি কালো পাথরে বদলে দুইটিই কালো পাথর নিয়ে ব্যাগে রেখেছিল ।

এই অবস্থায় মেয়েটির সামনে তিনটি পথ ছিলঃ-

১. ব্যাগ থেকে পাথর বাছাই করতে অস্বীকার করা।

২. ব্যাগ থেকে উভয় নুড়ি পাথর বের করে নিয়ে মহাজনের ষড়যন্ত্র প্রকাশ করে ফেলা।

৩. ব্যাগ দুইটিই কালো পাথর আছে জেনেও একটি পাথর তুলে বাবার স্বাধীনতার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করা।

কিন্তু এই প্রতিটি পদক্ষেপেই তার এবং তার বাবার জন্য বিপদ ডেকে আনতো। কিন্তু মেয়েটি যা করলো তাতে মহাজন বোকা বনে গেল।

মেয়েটি ব্যাগ থেকে একটি পাথর বের করে সেটি দেখার আগেই অজ্ঞতাবশত হাত থেকে পাথুরে রাস্তায় ফেল দিলো। এবং এমন ভান করলো যে পাথরটি দুর্ঘটনাক্রমে নিচে পরে গেছে এবং রংটি দেখার সুযোগ হয়নি। সে মহাজনকে বললো যে, “দেখুন তো, কি বোকার মতো কাজ করলাম, পাথরের রংটি দেখার আগেই হাত থেকে পরে গেলো। আমি কি রং এর পাথরটি তুলেছিলাম যাচাই করতে ব্যাগটি চেক করুন।“ ব্যাগে যেহেতু ২য়টিও কালো পাথরই ছিল, তাই মহাজনের শর্ত মোতাবেক পরে যাওয়া পাথরটি সাদা হওয়ার কথা। এভাবেই মেয়টি এবং তার বাবা মহাজনের ছল চাতুরী থেকে রেহাই পেল।

গল্পের নৈতিক শিক্ষাঃ

সব সময় কঠিন পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার উপায় থাকে । শুধু মাথা ঠান্ডা করে একটু আউট অফ দ্যা বক্স চিন্তা করতে হয়। আমাদের যে বিকল্প গুলো দেয়া হয়েছে এর বাইরেও বিকল্প পদ্ধতি থাকতে পারে।

image