발견하다 게시물Discover 페이지에서 매력적인 콘텐츠와 다양한 관점을 살펴보세요. 신선한 아이디어를 발견하고 의미 있는 대화에 참여하세요.
#ডেজার্ট পান্না কোটা
ইতালিয়ান ডেজার্ট আইটেম পান্না কোটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা রয়েছে। বেশ সুস্বাদু এ ডেজার্ট। গরম আবহাওয়ায় ফ্রিজ থেকে বের করে আনা একটুখানি পান্না কোটা কেবল স্বাদই বিলাবে না বরং মনের প্রশান্তি আনতেও এটি সক্ষম। জেনে নিন বাড়িতেই পান্না কোটা তৈরি করবেন যেভাবে-
প্রয়জনীয় উপকরণঃ
হাফ এন্ড হাফ ১ কাপ
হ্যাভি ক্রিম ১/২ কাপ
চিনি ৩ টেবিল চামচ
ভ্যানিলা এসেন্স ১ ১/২ চা চামচ
আনফ্লেভারড জেলাটিন ২ ১/২ চা চামচ
ঠাণ্ডা পানি ৩ টেবিল চামচ
অরেঞ্জ জেলো (প্যাকেটের ৩ ভাগের ১ ভাগ)
তৈরি করবেন যেভাবে -
প্রথমে ৩ টেবিল চামচ ঠাণ্ডা পানির সাথে জেলাটিন মিশিয়ে রাখুন। ১ থেকে ২ মিনিটের মধ্যে জেলাটিন নরম হয়ে যাবে।
এবার আলাদা একটি পাত্রে হাফ অ্যান্ড হাফ, হ্যাভি ক্রিম এবং চিনি মিশিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে নিন।
মিশ্রণটি বলক পর্যন্ত অপেক্ষা করবেননা। বলক আসার আগেই চুলা বন্ধ করে দিন।
এখন এর সাথে পানিতে মিশিয়ে রাখা জেলাটিন ঢেলে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এরপর পুরো মিশ্রণটি ছাঁকনিতে ছেকে নিয়ে ছোট ছোট স্বচ্ছ কাঁচের গ্লাসে ঢেলে ফ্রিজে ৬ ঘণ্টার জন্য সেট হতে রেখে দিন।
৬ ঘণ্টা হয়ে গেলে টপিং এর জন্য প্যাকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী অরেঞ্জ জেলো তৈরি করে নিন।
এখন জেলো সামান্য ঠাণ্ডা হয়ে এলে ফ্রিজ থেকে পান্না কোটা গ্লাসগুলো বের করে চামচে অল্প অল্প জেলো নিয়ে সাবধানে পান্না কোটার উপরে ঢালুন। সব জেলো ঢালা হয়ে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন ২ ঘণ্টার জন্য।
২ ঘণ্টা পর জেলো জমে গেলে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন মজাদার পান্না কোটা।
মনে রাখবেন-
পান্না কোটা কেবল দুধ দিয়ে তৈরি করা যায়না।
এটি তৈরির জন্য হাফ এন্ড হাফ এবং হ্যাভি ক্রিমই লাগবে।
অনেকে জেলাটিনের স্ট্রং ফ্লেভার পছন্দ করেননা। সেক্ষেত্রে ক্রিম জ্বাল দেয়ার সময় ছোট এক টুকরা লেবুর খোসা দিয়ে দিবেন। শুধু লেবুর খোসা দিবেন, কোনভাবেই লেবুর টক কোন অংশ যেন না থাকে।
পান্না কোটা সেট হতে ৬-৭ ঘণ্টা লাগবেই। এর কম সময় হলে সেট হবেনা।
রেসিপি - তাহমিনা জামান
#ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে পেঁপে অবদান
সারা বছর পাওয়া যায় আবার বেশ সহজলভ্য ফল হিসেবে পেঁপের জুড়ি মেলা ভার। এ ফলে রয়েছে নানা রকম পুষ্টি উপাদান, যা কেবল শরীরের জন্যই ভালো তা নয় বরং এর পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতেও পেঁপে চটকে ত্বকে ব্যবহার করেন অনেকেই। পেঁপেতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা ত্বক হাইড্রেট রাখে এবং ত্বক শুষ্ক হওয়া রোধ করে। এ ছাড়া পেঁপে ত্বককে ক্ষতিকর র্যাডিক্যালসের হাত থেকেও রক্ষা করে, ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও এ ফল বেশ ভালো কাজ করে।
জেনে নিন পেঁপে দিয়ে তৈরি তিনটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে, যা ত্বককে সুন্দর, মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তুলতে সক্ষম।
১।পেঁপে ও কমলায় সৌন্দর্য-
বাজারে এখনো কমলার সহজলভ্যতা রয়েছে। তবে কমলালেবু না পেলে কেবল লেবু দিয়েও তৈরি করা যাবে ফেসপ্যাকটি।
আর পেঁপে ও কমলালেবুর যূথবদ্ধতায় ত্বকের জন্য বেশ উপকারী ফেসপ্যাক তৈরি করে ফেলতে পারেন বাড়িতেই। এ জন্য প্রয়োজন কয়েক টুকরা পাকা পেঁপে আর পাঁচ-ছয় টুকরা কমলা বা লেবু। এবার উপাদানগুলো ভালোভাবে চটকে নিন। ভালোভাবে মিশে গেলে প্যাকটি মুখে, ঘাড়ে, গলায় ব্যবহার করুন।
১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করুন। কমলার রসে ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এ ছাড়া পেঁপের পুষ্টি উপাদান ইনফ্লেমেশন রোধ করে। শুধু তা-ই নয়, এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২.পেঁপে, হলুদের ফেসপ্যাক-
সৌন্দর্যচর্চায় প্রাচীনকাল থেকেই কাঁচা হলুদের ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্লামমেটরি উপাদান। এ ছাড়া এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তাই এ দুই উপাদান দিয়েই সেরে ফেলুন ঘরোয়া রূপচর্চা। ১/২ কাপ পাকা পেঁপে আর আধা চা চামচ কাঁচা হলুদ একসঙ্গে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি ত্বকে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার ব্যবহার করতে পারেন এ প্যাকটি। এতে ত্বক হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে পাবে।
3. পেঁপে, টমেটোতে উজ্জ্বলতা-
টমেটোর রস রোদে পোড়া ত্বক সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে, এ কথা কমবেশি সবারই জানা। কেবল তা-ই নয়, এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে এবং ত্বকের পোরস হ্রাস করতে সাহায্য করে। আর পেঁপের গুণগান নিয়ে তো নতুন করে বলার কিছুই নেই। ত্বক উজ্জ্বল করে তুলতে এই দুই উপাদানই বেশ কার্যকর। এ ক্ষেত্রে টমেটোর পেস্ট আর পেঁপের টুকরা ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। প্রয়োজনে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এবার সে মিশ্রণ মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুই-তিনবার ব্যবহার করতে পারেন।
#কফিতে ঘি ব্যবহারের স্বাস্থ্য উপকারিতা#
অনেকেই আছেন যারা এককাপ কফি দিয়ে নিজেদের দিন শুরু করেন। এমনিতেই কফি-র বিভিন্ন ধরণের হয়। স্বাস্থ্য সচেতনরা বেশিরভাগ চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি পান করেন। শীতকালে এমনিতেই কফি খাওয়ার পরিমাণ খানিকটা বাড়ে। কিন্তু আবার অনেকেই কফি খেয়ে গ্যাস, অ্যাসিডিটির সম্মুখীন হন। নিজের স্বাস্থ্যের জন্য গেম চেঞ্জার হিসাবে ব্য়বহার করুন ঘি। শুনতে খটকা লাগলেও কফির মধ্যে ঘি মেশালে নানান দিক দিয়ে সুবিধা পাবেন।
স্বাস্থ্য উপকারিতা:
১.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ঘি, ভিটামিন এ, ই এবং খনিজে সমৃদ্ধ। যা আপনার ইমিউন সিস্টেমের ঢাল হিসাবে কাজ করে। এছাড়া যেকোনও ধরণের রোগ এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়াতে ঘি মিশিয়ে কফি খান।
২.হজমে সহায়তা করে:ঘিতে থাকে বুট্রিক অ্যাসিড। যা অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। ফলে পেট ফুলে যাওয়া এবং বদহজমের মতো হজমের অস্বস্তি কমতে সাহায্য করে। সকালের কাপে ঘি মিশিয়ে খেলে পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
৩.মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে: ঘিতে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি। ফলে জ্ঞানীয় কার্যকারিতা, স্মৃতিশক্তি এবং ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে কফিতে ঘি মেশাতে ভুলবেন না।
৪.এর্নাজি বাড়ায়:এনার্জি লেভেল বাড়াতে এবং সারাদিন কাজে মনোযোগ দিতে কফিতে ঘি মিশিয়ে খান।
৫.ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে:ঘিয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং বেশি খাওয়ার প্রবণতা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।
৬.কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য: ঘি-তে হার্ট ফ্রেন্ডলি ফ্যাট থাকে। যা প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়, ফলে কার্ডিওভাসকুলার সুস্থতা বৃদ্ধি পায়।
৭.হেলদি ত্বক: উজ্জ্বল ত্বক কেই না পছন্দ করে। ত্বকের ভিতর পুষ্টি জোগাতে কফিতে ঘি মেশান।
৮.প্রদাহ কমায়: আর্থ্রাইটিস এবং জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তিতে ঘি দুর্দান্ত কার্যকরী। তাই কফিতে ঘি মিশিয়ে খেলে খুবই উপকার পাবেন।
প্রতিদিন সকালে এক কাপ ঘি মিশ্রিত কফি পানে এই স্বাস্থ্য-উপকারিতাগুলো পাবেন।