সাধ্যের মধ্যেই সাজুক আপনার শান্তির নীড়
ঘরটাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ মিলবে না সহজে। অলস, অগোছালো মানুষটাও নিজের জন্য সুন্দর করে সাজানো একখানা ঘর পেলে খুশিই হবেন। কিন্তু ঘর সাজানোর বিশাল আয়োজন করতে গেলে তা যে বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, কারো সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন? স্বল্প আয়োজনেই আপনার ঘর সাজানো যাবে না, তেমন কোন কথা কিন্তু কেউ বলছে না। গৃহসজ্জা মানেই একগাদা কেনাকাটা করা, চোখ ধাঁধানো অনুষঙ্গ সব বাজার থেকে তুলে এনে ঘর ভরিয়ে ফেলা, দামী কার্পেট, ঝালরকাটা পর্দা এসব নয়। আপনার সাধ্যের ভেতরেই বদলে ফেলতে পারেন ঘরের সাজ, হোম ডেকোরের এমন কিছু চমৎকার ধারণা পেয়ে যাবেন এই লেখায়।

#দেয়ালে রঙ করা-
রঙ নিয়ে এক দফা কাজকর্ম হয়ে যাক ঘরে। দেয়ালের মলিন হয়ে আসা পুরনো রঙকে বিদায় দিন নতুন রঙের ছোঁয়ায়। এক ঘরে রঙের দুই শেড ব্যবহার করে বৈচিত্র্যতা আনুন, দেখতে তো ভালো লাগবেই ঘরের চেহারার একঘেয়েমিও কেটে যাবে।
ঘর ইচ্ছে মতন রঙ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, বিশেষ করে বাড়ি যাদের নিজেদের নয়। তেমন হলে দেয়ালের বদলে আসবাবপত্র রঙ করার কথা ভাবা যায়। অনেকগুলো দিন একই চেহারা নিয়ে থাকা আসবাবের গায়ে নতুন করে রঙের আঁচড় কেটে তার ভোল পাল্টে দিলে ঘরেও কিন্তু দিব্যি নতুন নতুন ভাব আসবে।

#আসবাবের বদল-
আসবাবের জায়গা বদল করুন মাঝেসাঝে। তাই বলে আবার খুব ঘনঘন নয়! মাস দুই/তিনেক আসবাবপত্র একই জায়গায় ঝিমাচ্ছে তো তাদের খানিক নাড়াচাড়া করুন। তাদের সাথে আপনার ঘরের ঝিমধরা ভাবটাও কেটে যাবে। খুব বেশি আসবাব ঘরে থেকে থাকলে অপ্রয়োজনীয় কিছু আসবাব সরিয়ে ফেলুন ঘর থেকে। জিনিসের মায়া করে অনেক কিছুই ছাড়তে চায় না মানুষ, কিন্তু ঘরের বোঝা হয়ে কিছু থাকলে তা কিন্তু সমস্যা বটে। বদ্ধ ঘরটাকে যখন আসবাবপত্র কমিয়ে একটু খোলা জায়গা ছেড়ে দেবেন, তাতেই কিন্ত তার রূপ বাড়বে।
বসার ঘরে সাবেকী সোফা সেট আপনার। নতুন সোফা তো আর চট করেই কেনা যায় না। তাহলে বরং কুশনের সেটটা পাল্টে ফেলুন। আগেকার গোলগাল কুশনগুলি বস্তাবন্দী করে ফেলে চারকোনা নতুন কুশন সেট নিয়ে আসুন। হতে পারে এর উল্টোটাও, বাক্স মতন দেখতে কুশনের বদলে ঘরে আনুন গোল দেখতে কুশন সেট। কুশনকভার হোক একদম অন্য নকশায়, অন্য কোন রঙে। আর তারপরে তাকিয়ে দেখুন, পুরনো সোফার মনমরা ভাব কই হারিয়ে গেছে!

#আয়না ঝোলানো-
আয়না দিয়ে সাজিয়ে তুলুন ঘর। তাতে ঘরে আলোর আনাগোনাও ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। আলোর বিপরীতে আয়না রাখুন, ঘরের ভেতরটা ঝলমলে এবং বেশ খোলামেলা দেখাবে। করিডরেও একটি বড় আয়না কিংবা দুই/তিনটি ছোট আয়না ঝুলিয়ে দেয়া যায়। দেয়ালের গায়ে সাজ হিসেবেও আয়নারা মন্দ নয়।

#দেয়ালে স্টিকার লাগানো-
দেয়ালে স্টিকার বসিয়ে চট করেই ঘরের চেহারা পাল্টে ফেলা সম্ভব। একেক ঘরে একেক রকম ওয়াল স্টিকার ব্যবহার করুন । অবশ্যই স্টিকার কোন ঘরে ব্যবহার করছেন এবং সেই ঘরে দেয়ালের কী রঙ, তার উপর নির্ভর করবে।

#পছন্দসই ছবির ব্যবহার-
ছবি এমন আরেক জিনিস যা ঘর সাজাতে দারুণ ভূমিকা রাখে। নিজেদের ছবির পাশাপাশি নানা রকম দেয়ালচিত্র ঝুলিয়ে দেয়া যায় ঘরের চারিদিকে। ঘরটা দেখতে হাসিখুশি লাগবে। দেয়ালে কোন নির্দিষ্ট ধরণ বা প্যাটার্ন অনুসরণ করে কতোগুলি ছবি রাখতে পারেন, আবার এলোমেলো ভাবেও রাখতে পারেন। মন্দ লাগবে না কোনটাই।

#দেশজ মোটিফের উপস্থিতি-
ঘর সাজাতে বেছে নিতে পারেন নানা রকম দেশজ মোটিফ। নকশি পাখা, শীতল পাটি, ডালা, হাড়ি, মাটির পুতুল আরো কতো কিছু রয়েছে আমাদের! এইসব জিনিসের উপস্থিতি আপনার গৃহসজ্জায় প্রাণবন্ত ভাব ফুটিয়ে তুলবে। এগুলোর কোনটাতেই রাজ্যের আয়োজন নেই, নেই খরচের ভারিক্কি। কিন্তু আপনার ঘর সাজাতে কম যাবে না কোনটাই। আবার কখনো ঘরের সাজে মন দেয়ার আগে তাই এই বিষয়গুলি মনে করে নেবেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়েই সাজবে আপনার শান্তির নীড়।

image

সাধ্যের মধ্যেই সাজুক আপনার শান্তির নীড়
ঘরটাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ মিলবে না সহজে। অলস, অগোছালো মানুষটাও নিজের জন্য সুন্দর করে সাজানো একখানা ঘর পেলে খুশিই হবেন। কিন্তু ঘর সাজানোর বিশাল আয়োজন করতে গেলে তা যে বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, কারো সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন? স্বল্প আয়োজনেই আপনার ঘর সাজানো যাবে না, তেমন কোন কথা কিন্তু কেউ বলছে না। গৃহসজ্জা মানেই একগাদা কেনাকাটা করা, চোখ ধাঁধানো অনুষঙ্গ সব বাজার থেকে তুলে এনে ঘর ভরিয়ে ফেলা, দামী কার্পেট, ঝালরকাটা পর্দা এসব নয়। আপনার সাধ্যের ভেতরেই বদলে ফেলতে পারেন ঘরের সাজ, হোম ডেকোরের এমন কিছু চমৎকার ধারণা পেয়ে যাবেন এই লেখায়।

#দেয়ালে রঙ করা-
রঙ নিয়ে এক দফা কাজকর্ম হয়ে যাক ঘরে। দেয়ালের মলিন হয়ে আসা পুরনো রঙকে বিদায় দিন নতুন রঙের ছোঁয়ায়। এক ঘরে রঙের দুই শেড ব্যবহার করে বৈচিত্র্যতা আনুন, দেখতে তো ভালো লাগবেই ঘরের চেহারার একঘেয়েমিও কেটে যাবে।
ঘর ইচ্ছে মতন রঙ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, বিশেষ করে বাড়ি যাদের নিজেদের নয়। তেমন হলে দেয়ালের বদলে আসবাবপত্র রঙ করার কথা ভাবা যায়। অনেকগুলো দিন একই চেহারা নিয়ে থাকা আসবাবের গায়ে নতুন করে রঙের আঁচড় কেটে তার ভোল পাল্টে দিলে ঘরেও কিন্তু দিব্যি নতুন নতুন ভাব আসবে।

#আসবাবের বদল-
আসবাবের জায়গা বদল করুন মাঝেসাঝে। তাই বলে আবার খুব ঘনঘন নয়! মাস দুই/তিনেক আসবাবপত্র একই জায়গায় ঝিমাচ্ছে তো তাদের খানিক নাড়াচাড়া করুন। তাদের সাথে আপনার ঘরের ঝিমধরা ভাবটাও কেটে যাবে। খুব বেশি আসবাব ঘরে থেকে থাকলে অপ্রয়োজনীয় কিছু আসবাব সরিয়ে ফেলুন ঘর থেকে। জিনিসের মায়া করে অনেক কিছুই ছাড়তে চায় না মানুষ, কিন্তু ঘরের বোঝা হয়ে কিছু থাকলে তা কিন্তু সমস্যা বটে। বদ্ধ ঘরটাকে যখন আসবাবপত্র কমিয়ে একটু খোলা জায়গা ছেড়ে দেবেন, তাতেই কিন্ত তার রূপ বাড়বে।
বসার ঘরে সাবেকী সোফা সেট আপনার। নতুন সোফা তো আর চট করেই কেনা যায় না। তাহলে বরং কুশনের সেটটা পাল্টে ফেলুন। আগেকার গোলগাল কুশনগুলি বস্তাবন্দী করে ফেলে চারকোনা নতুন কুশন সেট নিয়ে আসুন। হতে পারে এর উল্টোটাও, বাক্স মতন দেখতে কুশনের বদলে ঘরে আনুন গোল দেখতে কুশন সেট। কুশনকভার হোক একদম অন্য নকশায়, অন্য কোন রঙে। আর তারপরে তাকিয়ে দেখুন, পুরনো সোফার মনমরা ভাব কই হারিয়ে গেছে!

#আয়না ঝোলানো-
আয়না দিয়ে সাজিয়ে তুলুন ঘর। তাতে ঘরে আলোর আনাগোনাও ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। আলোর বিপরীতে আয়না রাখুন, ঘরের ভেতরটা ঝলমলে এবং বেশ খোলামেলা দেখাবে। করিডরেও একটি বড় আয়না কিংবা দুই/তিনটি ছোট আয়না ঝুলিয়ে দেয়া যায়। দেয়ালের গায়ে সাজ হিসেবেও আয়নারা মন্দ নয়।

#দেয়ালে স্টিকার লাগানো-
দেয়ালে স্টিকার বসিয়ে চট করেই ঘরের চেহারা পাল্টে ফেলা সম্ভব। একেক ঘরে একেক রকম ওয়াল স্টিকার ব্যবহার করুন । অবশ্যই স্টিকার কোন ঘরে ব্যবহার করছেন এবং সেই ঘরে দেয়ালের কী রঙ, তার উপর নির্ভর করবে।

#পছন্দসই ছবির ব্যবহার-
ছবি এমন আরেক জিনিস যা ঘর সাজাতে দারুণ ভূমিকা রাখে। নিজেদের ছবির পাশাপাশি নানা রকম দেয়ালচিত্র ঝুলিয়ে দেয়া যায় ঘরের চারিদিকে। ঘরটা দেখতে হাসিখুশি লাগবে। দেয়ালে কোন নির্দিষ্ট ধরণ বা প্যাটার্ন অনুসরণ করে কতোগুলি ছবি রাখতে পারেন, আবার এলোমেলো ভাবেও রাখতে পারেন। মন্দ লাগবে না কোনটাই।

#দেশজ মোটিফের উপস্থিতি-
ঘর সাজাতে বেছে নিতে পারেন নানা রকম দেশজ মোটিফ। নকশি পাখা, শীতল পাটি, ডালা, হাড়ি, মাটির পুতুল আরো কতো কিছু রয়েছে আমাদের! এইসব জিনিসের উপস্থিতি আপনার গৃহসজ্জায় প্রাণবন্ত ভাব ফুটিয়ে তুলবে। এগুলোর কোনটাতেই রাজ্যের আয়োজন নেই, নেই খরচের ভারিক্কি। কিন্তু আপনার ঘর সাজাতে কম যাবে না কোনটাই। আবার কখনো ঘরের সাজে মন দেয়ার আগে তাই এই বিষয়গুলি মনে করে নেবেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়েই সাজবে আপনার শান্তির নীড়।

image

সাধ্যের মধ্যেই সাজুক আপনার শান্তির নীড়
ঘরটাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ মিলবে না সহজে। অলস, অগোছালো মানুষটাও নিজের জন্য সুন্দর করে সাজানো একখানা ঘর পেলে খুশিই হবেন। কিন্তু ঘর সাজানোর বিশাল আয়োজন করতে গেলে তা যে বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, কারো সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন? স্বল্প আয়োজনেই আপনার ঘর সাজানো যাবে না, তেমন কোন কথা কিন্তু কেউ বলছে না। গৃহসজ্জা মানেই একগাদা কেনাকাটা করা, চোখ ধাঁধানো অনুষঙ্গ সব বাজার থেকে তুলে এনে ঘর ভরিয়ে ফেলা, দামী কার্পেট, ঝালরকাটা পর্দা এসব নয়। আপনার সাধ্যের ভেতরেই বদলে ফেলতে পারেন ঘরের সাজ, হোম ডেকোরের এমন কিছু চমৎকার ধারণা পেয়ে যাবেন এই লেখায়।

#দেয়ালে রঙ করা-
রঙ নিয়ে এক দফা কাজকর্ম হয়ে যাক ঘরে। দেয়ালের মলিন হয়ে আসা পুরনো রঙকে বিদায় দিন নতুন রঙের ছোঁয়ায়। এক ঘরে রঙের দুই শেড ব্যবহার করে বৈচিত্র্যতা আনুন, দেখতে তো ভালো লাগবেই ঘরের চেহারার একঘেয়েমিও কেটে যাবে।
ঘর ইচ্ছে মতন রঙ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, বিশেষ করে বাড়ি যাদের নিজেদের নয়। তেমন হলে দেয়ালের বদলে আসবাবপত্র রঙ করার কথা ভাবা যায়। অনেকগুলো দিন একই চেহারা নিয়ে থাকা আসবাবের গায়ে নতুন করে রঙের আঁচড় কেটে তার ভোল পাল্টে দিলে ঘরেও কিন্তু দিব্যি নতুন নতুন ভাব আসবে।

#আসবাবের বদল-
আসবাবের জায়গা বদল করুন মাঝেসাঝে। তাই বলে আবার খুব ঘনঘন নয়! মাস দুই/তিনেক আসবাবপত্র একই জায়গায় ঝিমাচ্ছে তো তাদের খানিক নাড়াচাড়া করুন। তাদের সাথে আপনার ঘরের ঝিমধরা ভাবটাও কেটে যাবে। খুব বেশি আসবাব ঘরে থেকে থাকলে অপ্রয়োজনীয় কিছু আসবাব সরিয়ে ফেলুন ঘর থেকে। জিনিসের মায়া করে অনেক কিছুই ছাড়তে চায় না মানুষ, কিন্তু ঘরের বোঝা হয়ে কিছু থাকলে তা কিন্তু সমস্যা বটে। বদ্ধ ঘরটাকে যখন আসবাবপত্র কমিয়ে একটু খোলা জায়গা ছেড়ে দেবেন, তাতেই কিন্ত তার রূপ বাড়বে।
বসার ঘরে সাবেকী সোফা সেট আপনার। নতুন সোফা তো আর চট করেই কেনা যায় না। তাহলে বরং কুশনের সেটটা পাল্টে ফেলুন। আগেকার গোলগাল কুশনগুলি বস্তাবন্দী করে ফেলে চারকোনা নতুন কুশন সেট নিয়ে আসুন। হতে পারে এর উল্টোটাও, বাক্স মতন দেখতে কুশনের বদলে ঘরে আনুন গোল দেখতে কুশন সেট। কুশনকভার হোক একদম অন্য নকশায়, অন্য কোন রঙে। আর তারপরে তাকিয়ে দেখুন, পুরনো সোফার মনমরা ভাব কই হারিয়ে গেছে!

#আয়না ঝোলানো-
আয়না দিয়ে সাজিয়ে তুলুন ঘর। তাতে ঘরে আলোর আনাগোনাও ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। আলোর বিপরীতে আয়না রাখুন, ঘরের ভেতরটা ঝলমলে এবং বেশ খোলামেলা দেখাবে। করিডরেও একটি বড় আয়না কিংবা দুই/তিনটি ছোট আয়না ঝুলিয়ে দেয়া যায়। দেয়ালের গায়ে সাজ হিসেবেও আয়নারা মন্দ নয়।

#দেয়ালে স্টিকার লাগানো-
দেয়ালে স্টিকার বসিয়ে চট করেই ঘরের চেহারা পাল্টে ফেলা সম্ভব। একেক ঘরে একেক রকম ওয়াল স্টিকার ব্যবহার করুন । অবশ্যই স্টিকার কোন ঘরে ব্যবহার করছেন এবং সেই ঘরে দেয়ালের কী রঙ, তার উপর নির্ভর করবে।

#পছন্দসই ছবির ব্যবহার-
ছবি এমন আরেক জিনিস যা ঘর সাজাতে দারুণ ভূমিকা রাখে। নিজেদের ছবির পাশাপাশি নানা রকম দেয়ালচিত্র ঝুলিয়ে দেয়া যায় ঘরের চারিদিকে। ঘরটা দেখতে হাসিখুশি লাগবে। দেয়ালে কোন নির্দিষ্ট ধরণ বা প্যাটার্ন অনুসরণ করে কতোগুলি ছবি রাখতে পারেন, আবার এলোমেলো ভাবেও রাখতে পারেন। মন্দ লাগবে না কোনটাই।

#দেশজ মোটিফের উপস্থিতি-
ঘর সাজাতে বেছে নিতে পারেন নানা রকম দেশজ মোটিফ। নকশি পাখা, শীতল পাটি, ডালা, হাড়ি, মাটির পুতুল আরো কতো কিছু রয়েছে আমাদের! এইসব জিনিসের উপস্থিতি আপনার গৃহসজ্জায় প্রাণবন্ত ভাব ফুটিয়ে তুলবে। এগুলোর কোনটাতেই রাজ্যের আয়োজন নেই, নেই খরচের ভারিক্কি। কিন্তু আপনার ঘর সাজাতে কম যাবে না কোনটাই। আবার কখনো ঘরের সাজে মন দেয়ার আগে তাই এই বিষয়গুলি মনে করে নেবেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়েই সাজবে আপনার শান্তির নীড়।

image

সাধ্যের মধ্যেই সাজুক আপনার শান্তির নীড়
ঘরটাকে একটু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসেন না, এমন মানুষ মিলবে না সহজে। অলস, অগোছালো মানুষটাও নিজের জন্য সুন্দর করে সাজানো একখানা ঘর পেলে খুশিই হবেন। কিন্তু ঘর সাজানোর বিশাল আয়োজন করতে গেলে তা যে বেশ ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে, কারো সাধ্যের বাইরে চলে যায়, তখন? স্বল্প আয়োজনেই আপনার ঘর সাজানো যাবে না, তেমন কোন কথা কিন্তু কেউ বলছে না। গৃহসজ্জা মানেই একগাদা কেনাকাটা করা, চোখ ধাঁধানো অনুষঙ্গ সব বাজার থেকে তুলে এনে ঘর ভরিয়ে ফেলা, দামী কার্পেট, ঝালরকাটা পর্দা এসব নয়। আপনার সাধ্যের ভেতরেই বদলে ফেলতে পারেন ঘরের সাজ, হোম ডেকোরের এমন কিছু চমৎকার ধারণা পেয়ে যাবেন এই লেখায়।

#দেয়ালে রঙ করা-
রঙ নিয়ে এক দফা কাজকর্ম হয়ে যাক ঘরে। দেয়ালের মলিন হয়ে আসা পুরনো রঙকে বিদায় দিন নতুন রঙের ছোঁয়ায়। এক ঘরে রঙের দুই শেড ব্যবহার করে বৈচিত্র্যতা আনুন, দেখতে তো ভালো লাগবেই ঘরের চেহারার একঘেয়েমিও কেটে যাবে।
ঘর ইচ্ছে মতন রঙ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না, বিশেষ করে বাড়ি যাদের নিজেদের নয়। তেমন হলে দেয়ালের বদলে আসবাবপত্র রঙ করার কথা ভাবা যায়। অনেকগুলো দিন একই চেহারা নিয়ে থাকা আসবাবের গায়ে নতুন করে রঙের আঁচড় কেটে তার ভোল পাল্টে দিলে ঘরেও কিন্তু দিব্যি নতুন নতুন ভাব আসবে।

#আসবাবের বদল-
আসবাবের জায়গা বদল করুন মাঝেসাঝে। তাই বলে আবার খুব ঘনঘন নয়! মাস দুই/তিনেক আসবাবপত্র একই জায়গায় ঝিমাচ্ছে তো তাদের খানিক নাড়াচাড়া করুন। তাদের সাথে আপনার ঘরের ঝিমধরা ভাবটাও কেটে যাবে। খুব বেশি আসবাব ঘরে থেকে থাকলে অপ্রয়োজনীয় কিছু আসবাব সরিয়ে ফেলুন ঘর থেকে। জিনিসের মায়া করে অনেক কিছুই ছাড়তে চায় না মানুষ, কিন্তু ঘরের বোঝা হয়ে কিছু থাকলে তা কিন্তু সমস্যা বটে। বদ্ধ ঘরটাকে যখন আসবাবপত্র কমিয়ে একটু খোলা জায়গা ছেড়ে দেবেন, তাতেই কিন্ত তার রূপ বাড়বে।
বসার ঘরে সাবেকী সোফা সেট আপনার। নতুন সোফা তো আর চট করেই কেনা যায় না। তাহলে বরং কুশনের সেটটা পাল্টে ফেলুন। আগেকার গোলগাল কুশনগুলি বস্তাবন্দী করে ফেলে চারকোনা নতুন কুশন সেট নিয়ে আসুন। হতে পারে এর উল্টোটাও, বাক্স মতন দেখতে কুশনের বদলে ঘরে আনুন গোল দেখতে কুশন সেট। কুশনকভার হোক একদম অন্য নকশায়, অন্য কোন রঙে। আর তারপরে তাকিয়ে দেখুন, পুরনো সোফার মনমরা ভাব কই হারিয়ে গেছে!

#আয়না ঝোলানো-
আয়না দিয়ে সাজিয়ে তুলুন ঘর। তাতে ঘরে আলোর আনাগোনাও ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে। আলোর বিপরীতে আয়না রাখুন, ঘরের ভেতরটা ঝলমলে এবং বেশ খোলামেলা দেখাবে। করিডরেও একটি বড় আয়না কিংবা দুই/তিনটি ছোট আয়না ঝুলিয়ে দেয়া যায়। দেয়ালের গায়ে সাজ হিসেবেও আয়নারা মন্দ নয়।

#দেয়ালে স্টিকার লাগানো-
দেয়ালে স্টিকার বসিয়ে চট করেই ঘরের চেহারা পাল্টে ফেলা সম্ভব। একেক ঘরে একেক রকম ওয়াল স্টিকার ব্যবহার করুন । অবশ্যই স্টিকার কোন ঘরে ব্যবহার করছেন এবং সেই ঘরে দেয়ালের কী রঙ, তার উপর নির্ভর করবে।

#পছন্দসই ছবির ব্যবহার-
ছবি এমন আরেক জিনিস যা ঘর সাজাতে দারুণ ভূমিকা রাখে। নিজেদের ছবির পাশাপাশি নানা রকম দেয়ালচিত্র ঝুলিয়ে দেয়া যায় ঘরের চারিদিকে। ঘরটা দেখতে হাসিখুশি লাগবে। দেয়ালে কোন নির্দিষ্ট ধরণ বা প্যাটার্ন অনুসরণ করে কতোগুলি ছবি রাখতে পারেন, আবার এলোমেলো ভাবেও রাখতে পারেন। মন্দ লাগবে না কোনটাই।

#দেশজ মোটিফের উপস্থিতি-
ঘর সাজাতে বেছে নিতে পারেন নানা রকম দেশজ মোটিফ। নকশি পাখা, শীতল পাটি, ডালা, হাড়ি, মাটির পুতুল আরো কতো কিছু রয়েছে আমাদের! এইসব জিনিসের উপস্থিতি আপনার গৃহসজ্জায় প্রাণবন্ত ভাব ফুটিয়ে তুলবে। এগুলোর কোনটাতেই রাজ্যের আয়োজন নেই, নেই খরচের ভারিক্কি। কিন্তু আপনার ঘর সাজাতে কম যাবে না কোনটাই। আবার কখনো ঘরের সাজে মন দেয়ার আগে তাই এই বিষয়গুলি মনে করে নেবেন। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়েই সাজবে আপনার শান্তির নীড়।

image
image
image
image

#রেড ভেলভেট কেক
ডেজার্ট হিসেবে অনেকেরই প্রথম পছন্দ রেড ভেলভেট কেক। অনেকে হয়তো এই একটি আইটেম টেস্ট করতে ছুটেন রেস্টুরেন্টে। তবে একটু ইচ্ছা আর ধৈর্য্য থাকলে আপনি নিজেই বাসায় এই দারুণ সুন্দর এবং লোভনীয় রেড ভেলভেট কেক তৈরি করতে পারবেন। তবে চলুন দেখে নেই এর পুরো প্রণালী।
রেড ভেলভেট কেক তৈরির জন্য ক্রিম তৈরির পদ্ধতিঃ-

১)চীজ ক্রিম তৈরীঃ-
ক্রিম চীজ- ২ কাপ
গুড়া চিনি- ৩/৪ কাপ
মাখন- ১.৫ কাপ
ভেনিলা- ১ চা চামচ
দুধ– ১/৪ কাপ
সবকিছু একসাথে দিয়ে ভালো করে বীট করে নিবেন…এক টুকরা বরফ দিয়ে বীট করে এরপর ফ্রীজে রেখে দিবেন।

অথবা,
ময়দা- ৫০ গ্রাম
দুধ- ৫০০ গ্রাম
চিনি- ৪০০ গ্রাম
মাখন- ৪৫০ গ্রাম
ভেনিলা- ২ চা চামচ
ময়দা আর দুধ একসাথে চুলায় দিয়ে জাল দিয়ে একটু ঘন করে ঠান্ডা করার পর সব কিছু একসাথে দিয়ে ভালো করে বিট করে নিবেন। এক টুকরা বরফ দিয়ে বিট করে এরপর ফ্রীজে রেখে দিবেন।

রেড ভেলভেট কেক তৈরির উপকরণঃ-
ময়দা- ৪৪০ গ্রাম
মাখন- ১৭০ গ্রাম
চিনি- ৪৫০ গ্রাম
কোকো পাউডার- ২০ গ্রাম
ভেনিলা অ্যাসেন্স- ২ চা চামচ
লবণ- ১ চা চামচ
লাল ফুড কালার- ৪ টেবিল চামচ
দই- ৩৭০ গ্রাম
ভিনেগার– ১.৫ চামচ
বেকিং সোডা- ১.৫ চা চামচ
ডিম– ৩টা

প্রস্তুত প্রণালীঃ-
১) প্রথমে চিনি, মাখন, লবণ একসাথে ভালোভাবে বিট করে নিতে হবে।

২) এরপর অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কোকো পাউডার একসাথে মিশিয়ে চালনা দিয়ে চেলে নিতে হবে যেন কোনো দানা না থাকে।

৩) বিট করা চিনি, মাখন, লবণের সাথে ভেনিলা অ্যাসেন্স, লাল ফুড কালার আর ডিম একএক করে দিয়ে বার বার বিট করে নিতে হবে।

৪) এরপর দই অল্প একটু পানি দিয়ে ফেটে নিতে হবে। দই এবং ময়দা ৩ বার আলাদা করে আগের মিশ্রনের সাথে বিট করতে হবে। তাহলে মিশ্রণটি ভালোভাবে বিট করা যাবে।

৫) সবশেষে বেকিং সোডার সাথে ভিনেগার মিশিয়ে মিশ্রনটির সাথে মিশাতে হবে।

৬) এরপর ১৮০° তাপমাত্রায় ৩০ মিনিট বেক করতে হবে।

৭) কেক হয়ে যাবার পর ফ্রীজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা হয়ে যাবার পর ফ্রীজ থেকে ক্রিম নামিয়ে আবার বিট করে মনমতো কেক সাজিয়ে নিতে পারেন আপনার রেড ভেলভেট কেক।

image

#মেকআপ
নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুক যেভাবে ক্রিয়েট করবেন?
প্রতিদিন বাইরে যাওয়ার আগে ফেইস দেখতে টায়ার্ড ফ্রি ও রেডিয়েন্ট লাগুক এমনটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে ভালোভাবে মেকআপ না করলে দেখতেও ভালো লাগে না, আবার তাড়াহুড়ায় ইচ্ছাও করে না সাজতে। ফলে ফেইস দেখতে একদম ডাল লাগে। আবার পারফেক্ট মেকআপ লুকের জন্য ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই না করলেও ভালো লাগে না। তবে সময়ের কথাই বলুন অথবা ইচ্ছার- প্রতিদিন ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করে মেকআপ করা আর হয়ে ওঠে না। তাই আজ আপনাদের জানাবো খুব সহজেই ফ্ললেস নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার সহজ কয়েকটি টিপস। এই টিপস ফলো করলে ফাউন্ডেশনও লাগবে না, আবার মেকআপ লুকও কমপ্লিট হবে।

নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুকঃ-
নিশ্চয়ই ভাবছেন, ফাউন্ডেশন ছাড়া কীভাবে আবার মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা যায়? যতটা কঠিন ভাবছেন, ব্যাপারটি আসলে মোটেও ততটা কঠিন কিছু না। স্টেপ বাই স্টেপ বললেই তা বুঝতে পারবেন। চলুন তাহলে দেরি না করে স্টেপগুলো জেনে নেয়া যাক-

১) স্কিন প্রিপেয়ার করে নেয়াঃ-
ফ্ললেস নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার জন্য প্রথম শর্ত হচ্ছে স্কিনকে প্রিপেয়ার করে নেয়া। ফ্রেশ ও হাইড্রেটেড স্কিন ইনার রেডিয়েন্স এনহ্যান্স করে এবং মেকআপ লুককে ন্যাচারাল করে তোলে। সবার আগে আপনার স্কিনের জন্য স্যুইটেবল একটি ক্লেনজার দিয়ে ফেইস ভালোভাবে ক্লিন করে নিন। এরপর চুজ করুন স্কিন টাইপ অনুযায়ী টোনার ও ময়েশ্চারাইজার। স্কিন টাইপ যেমনই হোক না কেন, স্কিন হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড রাখার জন্য একটি লাইট ওয়েট ও নন গ্রিজি ময়েশ্চারাইজার সিলেক্ট করতে হবে। এতে মেকআপ শুরুর আগে স্কিনে একটি স্মুথ ক্যানভাস ক্রিয়েট হবে।

২) প্রাইমার অ্যাপ্লাই করাঃ-
ফাউন্ডেশন দিয়ে হয়তো গ্ল্যামারাস লুক ক্রিয়েট করতে চাচ্ছেন না, তার মানে এই নয় যে প্রাইমার স্কিপ করবেন। নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুক ক্রিয়েট করার আগে স্কিনের জন্য বেছে নিন লাইটওয়েট ও পোর মিনিমাইজিং প্রাইমার। এটি পোরস ব্লার করতে এবং সফট ফোকাস ম্যাট ফিনিশ পেতে হেল্প করবে।

৩) কনসিলার অ্যাপ্লাই করাঃ-
আপনি ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করতে চাচ্ছেন না, অথচ ফেইসের কিছু স্কিন কনসার্ন কভার করা প্রয়োজন। এমন হলে কনসিলার হতে পারে গেইম চেঞ্জার। যদি আপনার ফেইসে হাইপারপিগমেন্টেশন, ব্লেমিশ, ডার্ক আন্ডার আই, একনে স্পটস বা রেডনেস থাকে তাহলে কনসিলার ইজ মাস্ট! তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
যেমন-
*ফাউন্ডেশন শেইডের সাথে ম্যাচ করে অথবা এক শেইড লাইটার কনসিলার চুজ করুন।

* হাইড্রেটিং ফর্মুলা যুক্ত কনসিলার চুজ করুন। আপনার স্কিন যদি ড্রাই বা ডিহাইড্রেটেড হয় সেক্ষেত্রে ম্যাট কনসিলার অ্যাভয়েড করুন। নইলে স্কিন ড্রাই হয়ে যেতে পারে। আবার যদি স্কিন অয়েলি হয়, তখন ম্যাট কনসিলার চুজ করতে পারেন। তাই কনসিলার চুজ করার আগে স্কিন টাইপ বোঝা খুব জরুরি।

* আপনি চাইলে ফুল কভারেজের কনসিলারও চুজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে খুবই অল্প পরিমাণ প্রোডাক্ট নিয়ে স্পঞ্জ অথবা ফিঙ্গারের সাহায্যে ব্লেন্ড করতে হবে।

*কনসিলার অ্যাপ্লাইয়ের পর জোরে জোরে রাব না করে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ধীরে ধীরে ব্লেন্ড করে নিন।

৪) ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে সেট করে নেয়াঃ-
কনসিলার অ্যাপ্লাই করার পর এবার ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার দিয়ে সেট করে নেয়ার পালা। যে সব এরিয়ায় কনসিলার অ্যাপ্লাই করেছেন সেই এরিয়াগুলোসহ টি-জোনে পাউডার অ্যাপ্লাই করে নিন। এতে স্কিনের এক্সেস অয়েল অ্যাবজর্ব হয়ে যাবে।

৫) ক্রিমি ফর্মুলা চুজ করাঃ-
আপনি যখন নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে চাচ্ছেন, তখন পাউডারের বদলে ক্রিম ব্লাশ, ক্রিম ব্রোঞ্জার, ক্রিম হাইলাইটার চুজ করাই বেটার। পাউডার যে একদমই ব্যবহার করা যাবে না মোটেও তা নয়। তবে এক্ষেত্রে ক্রিম স্কিনের সাথে দ্রুত মেল্ট হয়ে যায়। সেই সাথে পাওয়া যায় ন্যাচারাল লুকিং গ্লো। ক্রিমি ফর্মুলা ডিউয়ি লুক ক্রিয়েট করতে হেল্প করে।

৬) মিনিমাল আই মেকআপঃ-
ফাউন্ডেশন যেহেতু অ্যাপ্লাই করা হচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আই লিড মিনিমাল বা বেয়ার রাখাই ভালো। সিম্পলি আই লিডে আই লাইনার অ্যাপ্লাই করতে পারেন। এক্ষেত্রে ওয়াটারপ্রুফ ও স্ম্যাজপ্রুফ আইলাইনার চুজ করুন। অবশ্য আপনি চাইলে ক্রিম আইশ্যাডো অ্যাপ্লাই করতে পারেন। আই ইনার কর্ণারে লাইট শেইডের শিমারি অ্যাইশ্যাডো দিলেও আইলুকটা এনহ্যান্স করবে। মাশকারা দিয়ে ল্যাশ কোট করে নিতে পারেন। আর হ্যাঁ, আই মেকআপের শুরুতে আইব্রো শেইপ ডিফাইন করে নিতে ভুলবেন না যেন!

৭) লিপস্টিক অ্যাপ্লাইঃ-
মেকআপের শুরুতেই লিপ বাম দিয়ে ঠোঁট ময়েশ্চারাইজ করে নিন। এবার সবশেষে অ্যাপ্লাই করে নিন লিপস্টিক। যেহেতু ফাউন্ডেশন ছাড়া মেকআপ এবং আই লুকটাও মিনিমাল রাখা হয়েছে, সেক্ষেত্রে এমন লিপস্টিক চুজ করতে হবে সেটি আপনার ন্যাচারাল স্কিনটোনকে কমপ্লিমেন্ট করবে। টিনেজে আপনি লিপস্টিক শেইড নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন। তবে আপনি যদি মিডল এইজের হন, সেক্ষেত্রে ন্যুড, পিচি বা পিংকিশ টোনের লিপস্টিক চুজ করতে পারেন। লিপস্টিক শেইড চুজ করার সময় বয়স, আউটফিট ও অকেশন খেয়াল রাখা জরুরি।

আরও একটি বিষয়, যে লিপস্টিকটাই চুজ করেন না কেন খেয়াল রাখবেন সেটি যেন লং লাস্টিং হয়। লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করার পর যেন স্ম্যাজ না হয় সেজন্য একটা ছোট্ট টিপস বলে দেই। লিপস্টিক দেয়া শেষে একটি টিস্যু পেপার নিয়ে আপার ও লোয়ার লিপসের মাঝে চাপ দিয়ে ধরুন। এতে এক্সেস লিপস্টিকটুকু উঠে আসবে। তাই লিপস্টিক সহজে স্ম্যাজ হবে না, আবার দাঁতেও লেগে যাবে না।

দেখলেন তো, নো ফাউন্ডেশন মেকআপ লুক ক্রিয়েট করা একদম কঠিন কিছু নয়। যারা এতদিন ভাবতেন ফাউন্ডেশন ছাড়া ফ্ললেস লুক পাওয়া পসিবল না, তাদের কনফিউশন নিশ্চয়ই আজ ক্লিয়ার হয়েছে।

image

#মাটন #শাহি #কোর্মা
মাটন শাহি কোর্মা যেভাবে তৈরি ক্রবেনঃ-
খাশির মাংস বা মাটন দিয়ে ঝোল তো অনেক খেয়েছেন। এবার নতুন এক পদ রেঁধে ফেলুন- মাটন শাহি কোর্মা। নিম্নে রইল রেসিপি।

উপকরণঃ-

খাশির মাংস: ৫০০ গ্রাম

পেঁয়াজ বাটা: ৫ টেবিল চামচ

পেঁয়াজ কুচি: আধ কাপ

রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ

আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ

কাঁচা লঙ্কা বাটা: ২ টেবিল চামচ

টমেটো: ১ টি

টক দই: আধ কাপ

চারমগজ: ২ টেবিল চামচ

পোস্ত: ১ টেবিল চামচ

খোয়া ক্ষীর: আধ কাপ

চিনি: আধ চা চামচ

কাজু: ১০ টা

ফ্রেশ ক্রিম: ২ টেবিল চামচ

গরম মশলা গুঁড়ো: আধ চা চামচ

সাদা তেল: ৪-৫ টেবিল চামচ

ঘি: পরিমাণ মতো

কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ

মিঠা আতর: ২ ফোঁটা

ধনেপাতা কুচি: সাজানোর জন্যঃ

প্রস্তুত প্রণালীঃ-

লবণ, হলুদ, লঙ্কা বাটা, টক দই, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে ভাল করে পাঁঠার মাংস মাখিয়ে রাখুন।

কাজুবাদাম, চারমগজ ও পোস্ত একসঙ্গে বেটে নিন। এবার কড়াইতে তেল ও ঘি সমপরিমাণে নিয়ে কুচোনো পেঁয়াজ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। পেঁয়াজ সোনালি হয়ে এলে পেঁয়াজ বাটা আর টমেটো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। এর মধ্যেই ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। কষতে থাকুন বেশ কিছু ক্ষণ। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে কাজুবাদাম-পোস্ত ও চারমগজ বাটা দিয়েদিয়ে ফের কিছু ক্ষণ কষুন। পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে চাপা দিন। গ্যাস কমিয়ে রাখুন এবার। মাঝেমাঝে দেখে নেবেন, পানি শুকিয়ে এল কি না। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ফ্রেশ ক্রিম, গরম মশলা গুঁড়ো, খোয়া ক্ষীর, মিঠা আতর আর ধনেপাতা কুচি দিয়ে গ্যাসের আঁচ বন্ধ করে দিন। রুটি কিংবা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন খাশির মাংসের শাহি কোর্মা বা মাটন শাহি কোর্মা।

image

#সাহরিতে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে চলবেন জানা আছে তো?

দেখতে দেখতে চলে এলো পবিত্র রমজান মাস। এই রমজান মাসের গুরুত্ব মুসলিমদের জন্য অনেক বেশি। এই মাসটা ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়ে দেন।
ভোররাতে উঠে সাহরি খেয়ে রোজা শুরু করেন তারা। এরপর মাগরিবের আজানের সঙ্গে রোজা ভেঙে ফেলেন ইফতারি খেয়ে। এ সময় খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ খেয়াল নিতে হবে। যেহেতু সাহরি দিনের প্রথম খাবার, তাই কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখা জরুরি।না হলে সারা দিন রোজা রাখায় অসুবিধা হতে পারে।

সাহরিতে যা খাওয়া উচিতঃ
• শর্করাযুক্ত খাবার দেহে শক্তির জোগান দেয়। বিশেষ করে দানাদার শস্যের তৈরি খাবার, যেমন―ওটস, ব্রাউন রাইস, বার্লি ইত্যাদি খাবার অনেকটা সময়ের জন্য দেহে শক্তির জোগান দেয়। তাই এজাতীয় খাবার সাহরিতে খাওয়া উচিত।
এতে দেহে সারা দিনের শক্তি সঞ্চয় হবে।

• ফলমূল ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ ও আঁশ। এ ছাড়াও দেহের পানির স্বল্পতা দূর করতেও অবদান রাখে। বিশেষ করে তরমুজ, কমলার মতো ফল এবং শসা, টমেটোর মতো সবজি দেহের পানির ঘাটতি দূর করে। তাই সাহরিতে সালাদ হিসেবে বা এমনিও খেতে পারেন এসব ফল ও সবজি।
• প্রোটিনযুক্ত খাবার দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ বোধ করতে সাহায্য করে। রোজা রেখে দৈনন্দিন কাজকর্মে সক্রিয় থাকার জন্য সাহরিতে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে দুগ্ধজাত খাবার, ডিম, চর্বিহীন মাংস, মাছ এবং উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের মাঝে মটরশুঁটি, মসুর ডাল, ছোলা, বাদাম এসব খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

• কিছু চর্বিযুক্ত খাবার আছে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সেগুলো সাহরিতে যুক্ত করতে পারেন। যেমন অ্যাভোকাডো, বাদাম, জলপাইয়ের তেল এবং স্যালমনের মতো স্বল্প চর্বিযুক্ত মাছ―এসব চাইলে খেতে পারেন সাহরিতে।

• রোজায় পানিশূন্যতার মতো সমস্যা অনেকেরই দেখা দেয়। এ জন্য প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। এ ছাড়াও চিনিমুক্ত ফলের রস, ডাবের পানি বা ভেষজ চা-ও খেতে পারেন।

#সাহরিতে যা খাবেন নাঃ-
• অতিরিক্ত তেল বা অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার অস্বস্তির কারণ হতে পারে। সারা দিন রোজা রেখে শারীরিক অস্বস্তির সৃষ্টি যেন না হয় সে জন্যই সাহরিতে এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

• অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবারও এড়িয়ে চলাই ভালো। কারণ এতে শর্করার মাত্রা ওঠা-নামা করতে পারে, যার ফলে শক্তি সঞ্চিত থাকতে সমস্যা হতে পারে। চেষ্টা করবেন সাদা চিনি এড়িয়ে চলার জন্য। এর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন গুড়, মধু বা এজাতীয় খাবার।
• লবণাক্ত খাবার বেশি খেলে পানির তৃষ্ণা বাড়তে পারে। সাহরিতে এ রকম খাবার এ জন্য এড়িয়ে চলাই ভালো।

• ঝাল মসলাযুক্ত খাবার খালি পেটে খেলে অস্বস্তি ও অম্বল হতে পারে। যদি সাহরিতে এজাতীয় খাবার খান তাহলে সারা দিন অস্বস্তিতে ভুগতে পারেন। তাই এগুলো না খাওয়াই ভালো। অনেকেই আছেন ভাতের সঙ্গে কাঁচা মরিচ খেতে পছন্দ করেন, সাহরিতে সেটিও এড়িয়ে চলা উচিত।

• ক্যাফেইনযুক্ত পানীয়, যেমন―চা, কফি এগুলো অতিরিক্ত পান করলে পানি পান করার তৃষ্ণা বেড়ে যায়। তাই চা-কফিপ্রেমীদের সাহরিতে এগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। একান্ত না পারলে ভেষজ চা খেতে পারেন। কারণ সেগুলো ক্যাফেইনমুক্ত।

image

Beautiful

image