Md Tawhidul Islam Shawon changed his profile picture
1 y

image

শুভ জন্মদিন ভাইজান ❤️

image

#সফলতা

image

image

"মন খুলে হাসতে হলে নিজের ,যন্ত্রণা গুলোর সাথে খেলতে হয়"
মন খুলে হাসতে পারলে, যন্ত্রণাকে পরাজিত করা যায়।

image

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় এবং এক্ষেত্রে মা-বাবার করণীয় কী?
বাচ্চাদের খুব কমন একটি সমস্যা ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’। বাচ্চাকে নিয়ে এই সমস্যায় পড়েনি এমন মা-বাবা খুঁজে পাওয়া কঠিন। সপ্তাহে তিনবারের বেশি টয়লেট না হওয়া বা টয়লেট করার সময় শিশু যদি ব্যথা পায় ও কষ্ট অনুভব করে, তাহলে শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এর থেকে ছোট শিশুদেরও এই সমস্যা হতে পারে। চলুন একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে জেনে নেই বাচ্চাদের কন্সটিপেশনের সমস্যা কেন হয় এবং এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের করণীয় কী।

১.খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না হওয়াঃ-
শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ালে এবং তা সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করতে না পারলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে মায়েরা শিশুকে খুব পাতলা করে দুধ তৈরি করে খাওয়ান। কিন্তু দুধ পাতলা করে তৈরি করলে তাতে পর্যাপ্ত খাদ্যসার থাকে না, ফলে শিশুর মল তৈরি হতে পারে না। এছাড়া যেসব শিশু দুধ ছাড়া অন্যান্য খাবার খাওয়া শুরু করেছে, তাদের খাবারে আঁশের (ফাইবার) পরিমাণ পর্যাপ্ত না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। শাকসবজি, ফলমূল এসব খাবার কম খাওয়া বা একদমই না খাওয়ার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

২. কম পানি খাওয়াঃ-
শিশুকে পরিমাণের তুলনায় পানি কম খাওয়ালে সে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগবে। পানি কম খেলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।

৩. অভ্যাস না করানোঃ-
শিশুকে সময়মতো প্রতিদিন টয়লেটের অভ্যাস করানো ভালো। কেননা অনিয়মিতভাবে পটি করালে বা অভ্যাস না করালে সহজেই শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৪. ভীতিঃ-
একবার কোনো শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে টয়লেট করার ব্যাপারে তার মনে এক ধরনের ভীতির জন্ম নেয়। সে ভাবে, পটি করতে গেলে বুঝি আবার কষ্ট হবে। এটা চিন্তা করে সে মল চেপে রাখার চেষ্টা করে। এর ফলে কন্সটিপেশন হয়ে যায়।

৫. অসুখ-বিসুখঃ-
কিছু কিছু অসুখ-বিসুখের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

মলদ্বারে ফিশার বা ক্ষত
মলদ্বারের বা মলনালীর অস্বাভাবিক গঠন
অন্ত্রের আবদ্ধতা
হার্সপ্রাং ডিজিজ
থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা হ্রাস প্রভৃতি

৬. ওষুধপত্রঃ-
কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যেমন- অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, পেটব্যথার ওষুধ প্রভৃতি। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশুকে বারবার পারগেটিভ জাতীয় ওষুধ দিয়ে টয়লেট করালে শিশু এর প্রতি স্বাভাবিকভাবেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন কোষ্ঠকাঠিন্য লেগেই থাকে।

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য এর লক্ষণঃ-

পটি করার সময় কষ্ট অনুভূত হওয়া
কান্নাকাটি করা
শক্ত বা অল্প পরিমাণে মলত্যাগ হওয়া
পেটে ব্যথা বা পেট ফুলে থাকা
বমি বমি ভাব
রক্ত যাওয়া
খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া

করণীয়ঃ-
জন্মের পর পূর্ণ ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে
যদি ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ান, তাহলে সঠিক প্রণালীতে তৈরি করে খাওয়াতে হবে
ছয় মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চার পরিপূরক খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
এক বছর বয়সের পর থেকে বাচ্চাকে সকালে খালি পেটে পানি দিতে হবে ও নাস্তার আগে অবশ্যই পটি ট্রেনিং করাতে হবে

বাচ্চার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পানি আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
বাচ্চাদের অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে
ঘরোয়া ব্যায়াম ও নিজের কাজ গোছানোর মতো বিষয়গুলোতেও অভ্যাস করানো জরুরি, এতে কায়িক পরিশ্রম হবে, হজমশক্তি বাড়বে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে
বাইরের জাংক ফুড ও বেশি পরিমাণে রেড মিট না খাওয়ানোই ভালো
সেই সাথে শিশুর মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে হবে

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য গুরুতর হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মা-বাবা একটু সচেতন হলেই শিশুর এই অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

image

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় এবং এক্ষেত্রে মা-বাবার করণীয় কী?
বাচ্চাদের খুব কমন একটি সমস্যা ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’। বাচ্চাকে নিয়ে এই সমস্যায় পড়েনি এমন মা-বাবা খুঁজে পাওয়া কঠিন। সপ্তাহে তিনবারের বেশি টয়লেট না হওয়া বা টয়লেট করার সময় শিশু যদি ব্যথা পায় ও কষ্ট অনুভব করে, তাহলে শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এর থেকে ছোট শিশুদেরও এই সমস্যা হতে পারে। চলুন একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে জেনে নেই বাচ্চাদের কন্সটিপেশনের সমস্যা কেন হয় এবং এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের করণীয় কী।

১.খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না হওয়াঃ-
শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ালে এবং তা সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করতে না পারলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে মায়েরা শিশুকে খুব পাতলা করে দুধ তৈরি করে খাওয়ান। কিন্তু দুধ পাতলা করে তৈরি করলে তাতে পর্যাপ্ত খাদ্যসার থাকে না, ফলে শিশুর মল তৈরি হতে পারে না। এছাড়া যেসব শিশু দুধ ছাড়া অন্যান্য খাবার খাওয়া শুরু করেছে, তাদের খাবারে আঁশের (ফাইবার) পরিমাণ পর্যাপ্ত না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। শাকসবজি, ফলমূল এসব খাবার কম খাওয়া বা একদমই না খাওয়ার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

২. কম পানি খাওয়াঃ-
শিশুকে পরিমাণের তুলনায় পানি কম খাওয়ালে সে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগবে। পানি কম খেলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।

৩. অভ্যাস না করানোঃ-
শিশুকে সময়মতো প্রতিদিন টয়লেটের অভ্যাস করানো ভালো। কেননা অনিয়মিতভাবে পটি করালে বা অভ্যাস না করালে সহজেই শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৪. ভীতিঃ-
একবার কোনো শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে টয়লেট করার ব্যাপারে তার মনে এক ধরনের ভীতির জন্ম নেয়। সে ভাবে, পটি করতে গেলে বুঝি আবার কষ্ট হবে। এটা চিন্তা করে সে মল চেপে রাখার চেষ্টা করে। এর ফলে কন্সটিপেশন হয়ে যায়।

৫. অসুখ-বিসুখঃ-
কিছু কিছু অসুখ-বিসুখের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

মলদ্বারে ফিশার বা ক্ষত
মলদ্বারের বা মলনালীর অস্বাভাবিক গঠন
অন্ত্রের আবদ্ধতা
হার্সপ্রাং ডিজিজ
থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা হ্রাস প্রভৃতি

৬. ওষুধপত্রঃ-
কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যেমন- অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, পেটব্যথার ওষুধ প্রভৃতি। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশুকে বারবার পারগেটিভ জাতীয় ওষুধ দিয়ে টয়লেট করালে শিশু এর প্রতি স্বাভাবিকভাবেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন কোষ্ঠকাঠিন্য লেগেই থাকে।

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য এর লক্ষণঃ-

পটি করার সময় কষ্ট অনুভূত হওয়া
কান্নাকাটি করা
শক্ত বা অল্প পরিমাণে মলত্যাগ হওয়া
পেটে ব্যথা বা পেট ফুলে থাকা
বমি বমি ভাব
রক্ত যাওয়া
খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া

করণীয়ঃ-
জন্মের পর পূর্ণ ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে
যদি ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ান, তাহলে সঠিক প্রণালীতে তৈরি করে খাওয়াতে হবে
ছয় মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চার পরিপূরক খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
এক বছর বয়সের পর থেকে বাচ্চাকে সকালে খালি পেটে পানি দিতে হবে ও নাস্তার আগে অবশ্যই পটি ট্রেনিং করাতে হবে

বাচ্চার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পানি আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
বাচ্চাদের অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে
ঘরোয়া ব্যায়াম ও নিজের কাজ গোছানোর মতো বিষয়গুলোতেও অভ্যাস করানো জরুরি, এতে কায়িক পরিশ্রম হবে, হজমশক্তি বাড়বে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে
বাইরের জাংক ফুড ও বেশি পরিমাণে রেড মিট না খাওয়ানোই ভালো
সেই সাথে শিশুর মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে হবে

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য গুরুতর হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মা-বাবা একটু সচেতন হলেই শিশুর এই অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

image

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য কেন হয় এবং এক্ষেত্রে মা-বাবার করণীয় কী?
বাচ্চাদের খুব কমন একটি সমস্যা ‘কোষ্ঠকাঠিন্য’। বাচ্চাকে নিয়ে এই সমস্যায় পড়েনি এমন মা-বাবা খুঁজে পাওয়া কঠিন। সপ্তাহে তিনবারের বেশি টয়লেট না হওয়া বা টয়লেট করার সময় শিশু যদি ব্যথা পায় ও কষ্ট অনুভব করে, তাহলে শিশুটি কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে বলে ধরে নেওয়া হয়। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হতে বেশি দেখা যায়। কিন্তু এর থেকে ছোট শিশুদেরও এই সমস্যা হতে পারে। চলুন একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ এর কাছ থেকে জেনে নেই বাচ্চাদের কন্সটিপেশনের সমস্যা কেন হয় এবং এক্ষেত্রে বাবা-মায়ের করণীয় কী।

১.খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো না হওয়াঃ-
শিশুকে কৌটার দুধ খাওয়ালে এবং তা সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করতে না পারলে শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। অনেক ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাবে মায়েরা শিশুকে খুব পাতলা করে দুধ তৈরি করে খাওয়ান। কিন্তু দুধ পাতলা করে তৈরি করলে তাতে পর্যাপ্ত খাদ্যসার থাকে না, ফলে শিশুর মল তৈরি হতে পারে না। এছাড়া যেসব শিশু দুধ ছাড়া অন্যান্য খাবার খাওয়া শুরু করেছে, তাদের খাবারে আঁশের (ফাইবার) পরিমাণ পর্যাপ্ত না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে। শাকসবজি, ফলমূল এসব খাবার কম খাওয়া বা একদমই না খাওয়ার কারণেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

২. কম পানি খাওয়াঃ-
শিশুকে পরিমাণের তুলনায় পানি কম খাওয়ালে সে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগবে। পানি কম খেলে শরীর পানিশূন্য হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক।

৩. অভ্যাস না করানোঃ-
শিশুকে সময়মতো প্রতিদিন টয়লেটের অভ্যাস করানো ভালো। কেননা অনিয়মিতভাবে পটি করালে বা অভ্যাস না করালে সহজেই শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।

৪. ভীতিঃ-
একবার কোনো শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে টয়লেট করার ব্যাপারে তার মনে এক ধরনের ভীতির জন্ম নেয়। সে ভাবে, পটি করতে গেলে বুঝি আবার কষ্ট হবে। এটা চিন্তা করে সে মল চেপে রাখার চেষ্টা করে। এর ফলে কন্সটিপেশন হয়ে যায়।

৫. অসুখ-বিসুখঃ-
কিছু কিছু অসুখ-বিসুখের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-

মলদ্বারে ফিশার বা ক্ষত
মলদ্বারের বা মলনালীর অস্বাভাবিক গঠন
অন্ত্রের আবদ্ধতা
হার্সপ্রাং ডিজিজ
থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা হ্রাস প্রভৃতি

৬. ওষুধপত্রঃ-
কিছু কিছু ওষুধ ব্যবহারের ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। যেমন- অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ, পেটব্যথার ওষুধ প্রভৃতি। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য শিশুকে বারবার পারগেটিভ জাতীয় ওষুধ দিয়ে টয়লেট করালে শিশু এর প্রতি স্বাভাবিকভাবেই নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। তখন কোষ্ঠকাঠিন্য লেগেই থাকে।

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য এর লক্ষণঃ-

পটি করার সময় কষ্ট অনুভূত হওয়া
কান্নাকাটি করা
শক্ত বা অল্প পরিমাণে মলত্যাগ হওয়া
পেটে ব্যথা বা পেট ফুলে থাকা
বমি বমি ভাব
রক্ত যাওয়া
খাওয়ার রুচি কমে যাওয়া

করণীয়ঃ-
জন্মের পর পূর্ণ ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শিশুকে শুধু মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে
যদি ফর্মুলা মিল্ক খাওয়ান, তাহলে সঠিক প্রণালীতে তৈরি করে খাওয়াতে হবে
ছয় মাস পর বুকের দুধের পাশাপাশি বাচ্চার পরিপূরক খাবারে পর্যাপ্ত ফাইবার ও পানি যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
এক বছর বয়সের পর থেকে বাচ্চাকে সকালে খালি পেটে পানি দিতে হবে ও নাস্তার আগে অবশ্যই পটি ট্রেনিং করাতে হবে

বাচ্চার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পানি আছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
বাচ্চাদের অবশ্যই প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা খেলাধুলার ব্যবস্থা করে দিতে হবে
ঘরোয়া ব্যায়াম ও নিজের কাজ গোছানোর মতো বিষয়গুলোতেও অভ্যাস করানো জরুরি, এতে কায়িক পরিশ্রম হবে, হজমশক্তি বাড়বে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে
বাইরের জাংক ফুড ও বেশি পরিমাণে রেড মিট না খাওয়ানোই ভালো
সেই সাথে শিশুর মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে হবে

শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য গুরুতর হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। মা-বাবা একটু সচেতন হলেই শিশুর এই অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। সবাই ভালো থাকবেন।

imageimage

প্লেইন কেক ও ফ্রুট কেক বানাতে পারবেন খুব সহজেই

প্রয়োজনীয় উপকরণ:
ডিম – ২টি
ময়দা – ১/২ কাপ
চিনি – ১/২ কাপ
ভ্যানিলা – ১/২ চা চামচ
গুড়া দুধ – ১ টে. চামচ
বেকিং পাউডার – ১/২ চা চামচ
মাখন অথবা তেল – ১/২ কাপ

প্রস্তুত প্রণালীঃ
ডিমের সাদা অংশ ভাল করে বিট করে ফোম করতে হবে। এমন ভাবে ফোম করতে হবে যেন পাত্র ওল্টালে ফোম নিচে না পড়ে যায়। তার মধ্যে চিনি, ভ্যানিলা ও তেল বা মাখন দিয়ে ৫ – ৬ মিনিট ভাল করে বিট করতে হবে। এরপর কুসুম দিয়ে ২ – ৩ মিনিট আবার বিট করতে হবে। এবার দুধ, ময়দা ও বেকিং পাউডার অল্প অল্প করে দিয়ে বিট করতে হবে। বেকিং ট্রে-তে তেল ব্রাশ করে ময়দা মেখে মিশ্রণটি ঢেলে দিতে হবে। ওভেনে ১৬০ ডিগ্রিতে ৩০ – ৩৫ মিনিট বেক করতে হবে।

image

গৃহিণীদের ফিট এবং সুস্থ থাকার পদ্ধতি -
ডায়েট প্ল্যানের প্রয়োজনীয়তা
যেকোন গৃহিণীরই উচিত নিজেদের সুস্থ ভালো রাখার দিকটিতে খুব বেশি লক্ষ্য রাখা। কেননা একজন গৃহিণীকে অনন্ত দায়-দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাছাড়া সংসার সামলিয়ে নিজের যত্ন নেওয়া ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য। কিন্তু একজন গৃহিণীর সঠিক ডায়েট ও পুষ্টি খুবই প্রয়োজনীয়। চলুন জেনে নেই কিছু সহজ পদ্ধতি যার সাহায্যে একজন গৃহিণী পেতে পারেন ঝরঝরে ও মেদহিন একটি শরীর।

১) প্রতিবেলা খাবারের পরিকল্পনা
প্রতিবেলার খাবার দিনের প্রথমেই প্ল্যান করে ফেলুন। সারাদিনের খাবারের ক্ষেত্রে ব্যালেন্স রাখতে চেষ্টা করুন। সকালে ভারি খাবার খেলে দুপুরে তার থেকে একটু কম রাতে একেবারেই কম খাবেন। আপনাকে নিজের ঠিক করে নিতে হবে সারাদিন কত ক্যালোরি খাবেন। সেই অনুযায়ী সকালে, দুপুরে এবং রাতের ক্যালোরি এবং ডায়েট চার্ট গুছিয়ে নিবেন। খুব সতর্কতার সাথে খাবার গ্রহণ করবেন যেন ওজন বৃদ্ধি না পায়।

২) পরিমাণমতো ক্যালোরি গ্রহণ
শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যালোরি খাবেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীর মুটিয়ে ফেলবে।তাই ক্যালোরি খাওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যালেন্স রাখার চেষ্টা করবেন।

৩) বেশি বেশি পানি পান করা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সকালে নাস্তা করার আগেই দুই গ্লাস পানি পান করুন। দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের পরও পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন। তেষ্টা পেলেই পানি বেশি করে পান করবেন। এতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারবেন। তবে ঘুমানোর আধা ঘন্টা আগে থেকে কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। সে সময় পানি পান থেকেও বিরত থাকার চেষ্টা করুন।

৪) একঘেঁয়েমি কাটাতে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ করবেন না
বাসায় সারাদিন একা থেকে অনেকেই একঘেঁয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে আর এই কারণে প্রচুর পরিমাণে খাবার খেতে থাকে। গৃহিণীদের ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ এটি। এই অভ্যেস দূর করতে হবে। ক্ষুধা লাগলে সবজি, ফলমূল কিংবা চর্বিহীন প্রোটিনযুক্ত খাবার খেতে পারেন।

৫) শরীরচর্চা করুন
সারাদিন বাসায় থাকার কারণে শরীর তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে। কিন্তু আপনি চাইলেই ঘরে বসে কিছু ক্যালোরি পোড়াতে পারেন। আপনি বাড়িতে বসেই ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ কিংবা ইয়োগা করতে পারেন। এছাড়াও চাইলে আপনি গান লাগিয়ে নাচের মতো করেও শরীরচর্চা করতে পারেন। বিকেলে একটু পার্কে হেঁটে আসুন। দুপুরে না ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। খাওয়ার পর হালকা একটু বিশ্রাম নিতে পারেন।

৬) রান্নার তালিকায় রাখুন নিজের পছন্দের খাবার
গৃহিণীরা সাধারণত স্বামি, সন্তান কিংবা পরিবারের অন্যদের পছন্দের খাবারই রান্নার তালিকায় রেখে থাকেন। তারা কখনোই নিজেদের পছন্দ কিংবা অপছন্দের ব্যাপারে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য গৃহিণীদের নিজেদের জন্যও রান্না করতে হবে। এতে করে নিজের যত্ন নেওয়াও হবে।

৭) পর্যাপ্ত ঘুম
একজন গৃহিণীর সুস্থতা বজায় রাখতে দরকার পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুম ঠিকভাবে না হলেও ওজন বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিনের ঘুম যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে হয় সেদিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন।

ব্যস এই কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করলেই গৃহিণীদের ফিট এবং সুস্থ থাকা সম্ভব। গৃহিণীদের নিজের প্রতি হতে হবে যত্নশীল। পরিবারের পাশাপাশি নিজেকেও রাখুন সুন্দর এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।

ছবি- সংগৃহীত: সাটারস্টক

image