#স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড সিলেক্ট করবেন কীভাবে?
মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ করেই একটা পিংক শেইডের ব্লাশের দিকে চোখ আটকে যায় রুবাইদার। পিংক খুব পছন্দের কালার হওয়ায় রুবাইয়া সাথে সাথেই ব্লাশটা কিনে ফেলে। কিন্তু মেকআপ করতে গিয়ে দেখা গেলো, তার স্কিনটোনের সাথে ব্লাশের কালারটা একেবারেই ম্যাচ করছে না। রুবাইয়ার মতো সিচুয়েশন নিশ্চয়ই আরো অনেকেই ফেইস করেছেন। আসলে ফাউন্ডেশন বা কনসিলারের মতো ব্লাশও যে স্কিনটোন বুঝে কেনা উচিত তা বেশিরভাগই জানেন না। আবার জানলেও কোন স্কিনটোনে কী কালারের ব্লাশ পারফেক্ট হবে, তা নিয়ে থাকে আলাদা কনফিউশন। আজ আপনাদের জানাবো কীভাবে আপনারা নিজেদের স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড চুজ করতে পারেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত।

নিজের স্কিনটোন ও আন্ডারটোন বুঝতে হবে সবার আগে-

ব্লাশ ছাড়া মেকআপ লুক যেন একদমই ইনকমপ্লিট থেকে যায়। যদি অন্য কোনো প্রোডাক্ট ইউজ না করে শুধুমাত্র ব্লাশ দিয়ে মেকআপ করা হয়, তাহলেও দেখতে খুব সুন্দর ও স্নিগ্ধ লাগে। একটা সময়ে ব্লাশের কালার বলতে শুধুমাত্র পিংককে বোঝানো হলেও এখন মার্কেটে সব স্কিনটোনের জন্যই ডিফারেন্ট শেইডের ব্লাশ অ্যাভেইলেবল রয়েছে। যদি আপনারা নিজের স্কিনটোনের সাথে মানানসই ব্লাশ খুঁজে পেতে চান, তাহলে সবার আগে নিজের স্কিনটোন ও আন্ডারটোন আইডেন্টিফাই করতে হবে।

যেভাবে আইডেন্টিফাই করবেন নিজের স্কিনটোন ও আন্ডারটোন-

সাধারণত এশিয়ান নারীদের স্কিনটোন তিন ধরনের হয়ে থাকে, ফেয়ার, মিডিয়াম ও ডিপ। এখন স্কিনটোন বোঝার খুব ইজি একটা ট্রিক শেয়ার করি। আমাদের চোয়াল বা জ’লাইনে ডিসকালারেশন সবচেয়ে কম থাকে। তাই ভালোভাবে ফেইস ক্লিন করে ন্যাচারাল লাইটে চোয়ালের দিকে লক্ষ করলেই আপনারা খুব ইজিলি নিজের স্কিনটোন আইডেন্টিফাই করতে পারবেন।

এবার আসি আন্ডারটোনে। আন্ডারটোন হলো আমাদের ফেইসের সারফেসের নিচের কালার। যারা এখনও নিজেদের আন্ডারটোন জানেন না, তাদের জন্য ছোট্ট একটা হ্যাক শেয়ার করছি। ন্যাচারাল লাইটে আপনার হাতের রিস্ট তুলে ধরে ভেইনের কালার খেয়াল করুন। যদি ভেইনের কালার গ্রিন হয়, তাহলে ওয়ার্ম আন্ডারটোন, যদি ব্লু বা পারপেল হয়, তাহলে কুল আন্ডারটোন এবং যদি গ্রিন ও ব্লু এর মাঝামাঝি কালার হয়, তাহলে নিউট্রাল আন্ডারটোন।
স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড যেগুলো হবে

চলুন এবার দেরি না করে জেনে নেয়া যাক কোন স্কিনটোনের সাথে কেমন শেইডের ব্লাশ পারফেক্টলি স্যুট করে সে সম্পর্কে।

ফেয়ার স্কিনটোনঃ
সাধারণত আমাদের দেশে ফেয়ার স্কিনটোনে নিউট্রাল বা ওয়ার্ম আন্ডারটোন বেশি থাকে। যেকোনো হালকা কালারের ব্লাশ ফেয়ার স্কিনটোনে খুব ভালো মানায়। বিশেষ করে এই স্কিনটোনে লাইট পিংক, লাইট পিচ, কোরাল বা লাইট বেরি শেইডের ব্লাশ খুব ভালো কমপ্লিমেন্ট করে।

মিডিয়াম স্কিনটোনঃ
মিডিয়াম স্কিনটোন ট্যানিংয়ের কারণে ওয়ার্ম আন্ডারটোনের হয়ে থাকে। এই স্কিনটোনে রোজি পিংক, মভ, মিডিয়াম পিচ টোনের পাউডার বা ক্রিম ব্লাশ চোখ বন্ধ করে বেছে নিতে পারেন।

ডিপ স্কিনটোনঃ
ডাস্কি ও ডিপ স্কিনটোনে ওয়ার্ম আন্ডারটোন থাকে। একটু ডার্ক কালারের যেকোনো ব্লাশ এই স্কিনটোনে অ্যামেজিং লাগে। চাইলে আপনারা হট কোরাল, ডার্ক অরেঞ্জ, ব্রিক রেড বা ডিপ বেরি শেইডের ব্লাশ চুজ করতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে অ্যাপ্লাইয়ের সময় একটু কেয়ারফুল থাকতে হবে। কারণ ডার্ক কালারের ব্লাশগুলোর পিগমেন্টেশন কিছুটা বেশি হয়। তাই অসাবধান হয়ে একবারে বেশি অ্যাপ্লাই করে ফেললে পরে ব্লেন্ড করতে অসুবিধা হবে।

#ব্লাশ অ্যাপ্লিকেশনের কিছু টিপস-
ব্লাশ হলো মেকআপের আল্টিমেট গেইম চেঞ্জার। তাই সঠিকভাবে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে ফ্ললেস মেকআপ লুক ক্রিয়েট করতে ফলো করুন এই টিপসগুলো।

১) কখনোই একবারে বেশি পরিমাণে ব্লাশ অ্যাপ্লাই করবেন না। বরং ধীরে ধীরে ব্লাশের কভারেজ বিল্ড আপ করুন।

২) পাউডার ব্লাশের বেস্ট কভারেজ পেতে ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাইয়ের আগে একটু সিমিলার শেইডের ক্রিম ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে নিন।

৩) ভুল করে বেশি ব্লাশ অ্যাপ্লাই করে ফেললে একটা ফ্লাফি ব্রাশে লুজ পাউডার নিয়ে ফেইসে হালকাভাবে ডাস্ট করে নিন।
৪) ফেইস আপলিফটেড ও ফ্রেশ দেখাতে গাল থেকে চিকবোনের কিছুটা ওপর পর্যন্ত ব্লাশ অ্যাপ্লাই করুন।

৫) ভালো কোয়ালিটির একটি ব্লাশ ব্রাশে ইনভেস্ট করুন, এতে প্রোপারলি অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।

আশা করি এখন থেকে আপনারা নিজেদের স্কিনটোন অনুযায়ী সঠিক ব্লাশ শেইড পারচেস করতে আর কোন সমস্যা হবে না।

image

#অরেঞ্জ #চিকেন
ভিন্ন স্বাদের অরেঞ্জ চিকেন
সারাদিন রোজা রেখে ইফতারিতে অতিরিক্ত তেলযুক্ত খাবার না খেয়ে স্বাস্থকর খাবার খাওয়া উচিত। এ সময়টাতে বাহিরের খাবার না খেয়ে ঘরে তৈরি খাবার খেতে পারেন। অনেকেই ইফতারিতে ভিন্নরকম খাবার খেতে পছন্দ করেন, তারা কমলা দিয়ে চিকেন রান্নার এই রেসিপি জেনে নিতে পারেন। চলুন অরেঞ্জ চিকেন বানানোর প্রস্তুতি নেই। স্বাদে ও গন্ধে অতুলনীয় এই পদ তৈরির সহজ রেসিপি জেনে নিন।

যা যা লাগবেঃ-
চিকেন, কমলা, টমেটো পেস্ট, টমেটো কেচাপ, পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, চিনি, তেল, ডিম, ভিনিগার, কর্নফ্লাওয়ার, সাদা তিল, লবণ

যেভাবে বানাবেনঃ-
প্রথমে চিকেনটা কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর এতে হলুদ, ভিনিগার, লবণ, ডিম ও টমেটো কেচাপ দিয়ে ম্যারিনেট করুন। অন্তত ২ ঘণ্টা রেখে দিন। ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। রান্নার ১৫ মিনিট আগে ফ্রিজ থেকে বের করুন। এবার একটি কড়াইয়ে তেল গরম করুন। এতে পেঁয়াজ, রসুন ও আদা বাটা দিন। একটু ভাজুন। আদা ও রসুনের ভাজা গন্ধ ছাড়বে। এরপর এতে টমেটো পেস্ট দিয়ে দিন। আবারও স্বাদমতো লবণ ও হলুদ, লাল মরিচের গুঁড়ো দিন। ভালোভাবে মশলা কষাতে থাকুন। মশলা কষে এলে বেশি করে কমলার রস দিন। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করবে। এরপর এতে ম্যারিনেট করা চিকেনটা দিয়ে দিন। আবারও ভালো করে কষিয়ে নিন। সামান্য গরম পানি দিন। এবার ঢাকনা দিয়ে রাখুন। মাংস সেদ্ধ হতে দিন। মাংস সেদ্ধ হয়ে গেলে ওপর থেকে সাদা তিল ও কমলালেবুর পাল্প ছড়িয়ে দিন। তৈরি হয়ে গেল অরেঞ্জ চিকেন। ইফতারে রুটি বা পরোটার সঙ্গে পরিবেশন করুন।

image
Shareez Lover added new product for sell.
1 y
image

0 Reviews
In stock· New

Semi Maslin Embroidery Saree Emb-010

৳2.250.00 (BDT)

❤️ সেমি মসলিন, সুতার কাজের এম্ব্রডারী শাড়ি ❤️
✅ ১৩.৫ হাত এমব্রয়ডারি করা শাড়ির চারদিকে এক্সটা কাপড় ও টার্সেল লাগানো

#শিশুর ক্ষুধা বাড়বে যেসব খাবারে
‘বাচ্চা ঠিকমতো খাবার খায় না’–এ অভিযোগ অনেক মা-বাবারই। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ না থাকলেও শিশু কেন খেতে চায় না, তার কারণ খুঁজে বের করেন না অনেকেই। পুষ্টিকর খাবারের চেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েই শিশু তার পেট ভরিয়ে রাখতে পছন্দ করে। এ অবস্থায় মা-বাবার করণীয় কী? আয়ুর্বেদশাস্ত্রে খুঁজে পাওয়া যায় এ সমস্যার সমাধান। চলুন, তা জেনে নেই আজকের আয়োজনে।
শুরু থেকেই শিশুর খাবারের ব্যাপারে আপনাকে একটি সঠিক পরিকল্পনা বা নিয়ম মেনে চলতে হবে। সন্তানকে খাবার খাওয়ায় আগ্রহী করে তুলতে কখনও আলাদা করে খাওয়াবেন না। বরং পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করতে দিন। এটি আপনার শিশুর রুচি বাড়িয়ে দেবে।


শিশুর খাবারে আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে খাওয়াতে পারেন বিশেষ কিছু খাবার।

১)কুমড়ার বীজ:- কুমড়ার বীজ ফেলে না দিয়ে তা শুকিয়ে সসপ্যানে ভেজে সন্তানকে খাওয়াতে পারেন। এ বীজ কোনো কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা তৈরি করতে পারে। এছাড়া এ বীজ হজমপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।

২)গাজর:- গাজরের উপকারিতা অসংখ্য। এটি ক্ষুধা বাড়ানোর প্রবণতার মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করেছে। এটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা অনেক পুরানো কৌশল। খাবারের প্রয়োজনে প্রায়ই ক্ষুধা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট আগে বাচ্চাকে গাজর খেতে দিন।

৩)আদা ও তুলসী:- ক্ষুধা বৃদ্ধির সঙ্গে একাধিক অসুখ নিয়ন্ত্রণ করে আদা ও তুলসী। বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও। তাই সন্তানকে নিয়মিত আদার রস তুলসীর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।

৪)তেঁতুল:- অগ্নিমান্দ্য দূর করে ক্ষুধা বাড়ায় তেঁতুল। তাই শিশুর ডায়েটে তেঁতুল বা এর চাটনি রাখতে পারেন।

৫)আমলকী:- আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। প্রতিদিন খালি পেটে আমলকী খেলে ক্ষুধা বাড়ে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও জোরদার হয়।

৬)দারুচিনি:- রান্নার কাজে ব্যবহৃত হলেও এ মসলা শিশুদের খিদে বাড়িয়ে তুলতে পারে। দারুচিনি পিষে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে দিন বাচ্চাকে। এতে দুধের স্বাদ ও শিশুর খিদে দুই-ই বাড়বে।

৭)লেবু:- লেবু দ্রুত ক্ষুধা বাড়াতে পারে। তাই আপনি আপনার সন্তানের জন্য লেবুপানি বা লেবুর রস তৈরি করতে পারেন। এ রস পান করার পর শিগগিরই বাচ্চার পাচক সিস্টেম সক্রিয় হওয়া শুরু হবে এবং সে খাবার চাইবে।

৮)দই:- পাচকতন্ত্রকে ভালো করে উদ্দীপক করে তোলে দই। তাই নিয়মিত শিশুর খাবারে রাখতে পারেন দই। এই দই ক্ষুধা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি শিশুর শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে।

৯)অষ্টচূর্ণম:- এটি একধরনের অক্টা হার্**** আয়ুর্বেদীয় গুঁড়ো, যা বেশ জনপ্রিয়। শিশুর ক্ষুধা বাড়িয়ে তুলতে ভাত ও ঘি দিয়ে এই গুঁড়ো মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে পারেন।

image

#পরমাণু ব্যাটারি তৈরি করল চীন, এক চার্জেই ফোন চলবে ৫০ বছর
নতুন এক ধরনের ব্যাটারি তৈরি করেছে চীন। নতুন এই ব্যাটারি হলো নিউক্লিয়ার বা পরমাণু ব্যাটারি। বলা হচ্ছে, এই ব্যাটারিতে এক চার্জেই ৫০ বছর চলবে ফোন।
ব্যাটারিটি তৈরি করেছে বেইজিংভিত্তিক কোম্পানি বিটাভোল্ট। তারা বলছে, পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে পরমাণু ব্যাটারি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে তারা। যা বিশ্বে প্রথম।
ধাতব মুদ্রার আকৃতির চেয়ে ছোট মডিউলের মধ্যে ৬৩টি পরমাণু আইসোটোপ বসিয়ে এই ব্যাটারি তৈরি করা হয়েছে।
ব্যাটারি যেভাবে কাজ করে-
ক্ষয়িষ্ণু আইসোটোপ যে শক্তি নির্গত হয় একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই শক্তিকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে এটি কাজ করে। এই প্রক্রিয়া গত শতকে প্রথম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল।
প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, এ ব্যাটারিতে আগুন ধরবে না। আঘাত করতে বা গুলি চালালেও এটি বিস্ফোরিত হবে না।

এই ব্যাটারিকে পরবর্তী প্রজন্মের ব্যাটারি হিসেবে উল্লেখ করে বিটাভোল্ট বলেছে, প্রকল্পটি এরই মধ্যে পাইলট পরীক্ষার পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। পরীক্ষা শেষে ফোন ও ড্রোনের মতো যন্ত্রের জন্য ব্যাপকভাবে উত্পাদন করা হবে।
ফোন ও ড্রোন ছাড়াও অন্যান্য যন্ত্রেও এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে বলে দাবি বিটাভোল্টের। কোম্পানির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিটাভোল্ট পারমাণবিক শক্তির ব্যাটারিগুলো মহাকাশ, এআই সরঞ্জাম, চিকিৎসা সরঞ্জাম, মাইক্রোপ্রসেসর, উন্নত সেন্সর, ছোট ড্রোন ও মাইক্রো-রোবটের মতো যন্ত্রে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে।

পরমাণু ব্যাটারি নিশ্চিতভাবেই নতুন প্রযুক্তি। তবে চীনের আগেই এই পরমাণু ব্যাটারি তৈরির দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও ইরান। তবে এই দেশগুলো ভিন্ন ভিন্নভাবে এই ব্যাটারির ব্যবহার করছে।
২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দেশটির ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধানের উপদেষ্টা আসকার জারেয়ান এক ঘোষণায় জানান, চিকিৎসা ও শিল্প খাতে ব্যবহার উপযোগী পারমাণবিক ব্যাটারি তৈরির প্রযুক্তি অর্জন করেছে ইরান।

image

নাক ডাকা কি কঠিন রোগ ডেকে আনে?
অল্প বয়সীদের মধ্যে ইদানীং হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়েছে। হৃদ্‌রোগের নেপথ্যে অন্যতম বড় কারণ হলো অপর্যাপ্ত ঘুম, জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষ করে যাদের স্লিপ অ্যাপনিয়া আছে, তাদের হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। স্লিপ অ্যাপনিয়া ডেকে আনে অ্যালঝাইমার্সের মতো জটিল রোগও। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মস্তিষ্কের কার্যকলাপ সচল থাকে না।

স্লিপ অ‍্যাপনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার নির্দিষ্ট কোনো বয়স নেই। যেকোনো বয়সেই স্লিপ অ‍্যাপনিয়া হতে পারে। তাই সতর্ক থাকার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। তবে বার্ধক‍্য এবং স্থূলতার সমস‍্যা থাকলে এই রোগের ঝুঁকি বেশি। এই রোগটি নিয়ে সচেতনতা অনেক কম। সে কারণেই স্লিপ অ‍্যাপনিয়ায় আক্রান্তের সংখ‍্যা ক্রমশ বাড়ছে।

অতিরিক্ত নাকডাকা এই সমস্যার প্রধান উপসর্গ। এ ছাড়া সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা, ঘুম ঘুম ভাব, ঝিমুনি, খিটখিটে মেজাজও স্লিপ অ্যাপনিয়ার লক্ষণ। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে ঘাড় ও গলার পেশি শিথিল থাকে। কিন্তু যাঁরা ‘স্লিপিং ডিজঅর্ডার’-এ ভোগেন তাদের ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়লে শ্বাসক্রিয়া বাধা পায়। এর ফলে শরীরের কোষগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ হ্রাস পায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার কারণে শ্বাস-প্রশ্বাস প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটে ঘুমের মাঝে মৃত্যুর আশঙ্কাও বেড়ে যায়।

কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন এই সমস্যা?

স্লিপ অ্যাপনিয়ায় ভুগলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। খাওয়ার পর খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। নিয়মিত যোগাসন করাটাও প্রয়োজন। চিত হয়ে শোওয়ার অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করে পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যাস করুন। সেইসাথে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

image

#পেঁয়াজ কেনার চিন্তা ছেড়ে বাড়িতে টবেই চাষ করুন, জেনে নিন পদ্ধতি-
পেঁয়াজ কিনবেন নাকি পেঁয়াজ ছাড়া অন্যভাবে রান্না করবেন, তা নিয়ে সন্দিহান মধ্যবিত্ত। কিন্তু পেঁয়াজ ছাড়া কি আর রান্না জমে? কিন্তু দামের সঙ্গে সত্যি পাল্লা দেওয়া বেশ কঠিন। এই পরিস্থিতিতে বরং বাজারে গিয়ে পেঁয়াজ কেনার ভাবনায় একটু বদল করুন। বাড়িতে টবেই পেঁয়াজ চাষ শুরু করতে পারেন। পদ্ধতি নিয়ে ভাবার প্রয়োজন নেই। আপনার জন্য রইল টিপস।
বাড়িতে পেঁয়াজ চাষের জন্য প্রয়োজন একটি মাঝারি আকারের টবের। একান্ত জায়গার অভাব থাকলে ছোট টবেও কাজ চালানো যেতে পারে। আলাদা একটি পাত্রে বেলে এবং দোআঁশ মাটি মিশিয়ে নিন। এবার টব ভর্তি করে মাটি দিন। বাজার থেকে পেঁয়াজ কিনে আনুন। শিকড় বেরনো এবং শিকড় না বেরনো দু’প্রকার পেঁয়াজই চলবে।

শিকড় না বেরনো পেঁয়াজ হলে তার মুখ এবং পিছনের দিকের সামান্য অংশ কেটে ফেলুন। শিকড় বেরনো পেঁয়াজের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন নেই। এবার টব ভর্তি মাটির মধ্যে আঙুল দিয়ে গর্ত করে ওই পেঁয়াজ ঢুকিয়ে দিন। উপর দিয়ে গুঁড়ো মাটির হালকা আস্তরণ দিতে পারেন। এবার হালকা হাতে অল্প করে জল ছড়িয়ে দিন। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হলে সূর্যের আলো লাগে এমনই একটি জায়গায় ওই টবটি সরিয়ে রাখুন।

৬ থেকে ১০দিন পর দেখবেন ওই টবে পুঁতে রাখা পেঁয়াজ থেকে পাতা বেরিয়েছে। পেঁয়াজ পাতা খাওয়ার ইচ্ছা হলে তা আপনি কেটে নিতে পারেন। নইলে দেখবেন ধীরে ধীরে পেঁয়াজ পাতা পেকে যাচ্ছে। সবুজ থেকে হলুদ রংয়ের হয়ে যাবে পাতাগুলি।

ওই গাছের গলা শুকিয়ে ভেঙে হেলে পড়লে বুঝতে হবে পেঁয়াজ উত্তোলনের সময় হয়ে গিয়েছে। পেঁয়াজ টবে পোঁতার ১১০-১২০ দিনের মধ্যে তা উত্তোলনের সময় চলে আসে। তাই দেরি না করে আজই বাড়ির টবে পেঁয়াজ গাছ লাগাতে পারেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির বাজারে দেখবেন আপনি হবেন সবচেয়ে লাভবান।

image

দারুণ জয়ে সিরিজে সমতা ফেরালো শ্রীলঙ্কা
সহজ সমীকরণে সিরিজ জেতা হলো না বাংলাদেশের। সব রোমাঞ্চ জমা রয়ে গেল শেষ ওয়ানডের জন্যেই। সোমবার শেষ ম্যাচেই নিশ্চিত হবে সিরিজ। সমান সুযোগ এখন দুই দলের সামনেই। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নিয়ে দাবী জানিয়ে রাখলো শ্রীলঙ্কাও।

image

একজিমার কারণ ও প্রতিকার-

একজিমা ত্বকের প্রদাহজনিত একটি রোগ। সাধারণত ত্বকের ওপরের স্তরের এপিডার্মিসের উপর আক্রান্ত হয়। প্রথমে একটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, তারপর ধীরে ধীরে আরো বিস্তৃত হয়। একজিমা হলে ত্বকের প্রদাহ কয়েক মাস বা বছর জুড়ে থাকতে পারে। রোগিটি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়।

লক্ষণঃ প্রথমে ত্বকে লালচে আবরণ পড়ে। এরপর আক্রান্ত স্থান ফুলে ওঠে এবং পরে ছোট ছোট দানা ও ফোস্কা বের হয়।
ফোস্কা ফেটে গিয়ে রস ঝরতে থাকে বা জীবাণুর দূষণের কারণে পুঁজ সৃষ্টি হয়।
কখনো কখনো ত্বক শুষ্ক খসখসে হয়।
কখনো দানাগুলো মিশে ত্বক পুরু ও শক্ত হয়ে যায়।
ত্বকে প্রদাহের কারণে চুলকানী হয়।
তীব্র চুকানির ফলে ত্বক ছিঁড়ে রক্ত বের হতে থাকে।

পারিবারিক ইতিহাস ও একজিমাঃ কিছু কিছু একজিমা যেমনঃ এটোপিক একজিমা, লাইকেন সিমপ্লেক্স বংশগত। পূর্বপুরুষদের মধ্যে এ্যাজমা, এলার্জির রাইনাইটিস বা একজিমার ইতিহাস থাকলে ও পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও হতে পারে। তবে হবেই এমন বাধ্যবাধকতা নেই। সংস্পর্শ একজিমা, ছত্রাকজনিত একজিমা বা স্ক্যাবিয়াস একজিমার মধ্যে সাধারণত বংশগত কোন সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় না।

কারণঃ
একজিমার কারণ এখনো পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে নি¤েœাক্ত কারণগুলো একজিমার জন্য দায়ী।
একজিমা হওয়ার কারণ বা প্রবণতা কিছুটা বংশগত।
বাইরের কোন বিশেষ বস্তুতে এলার্জির ফলেও একজিমা হতে পারে।
শরীরের ভেতরে বিক্রিয়াজনিত কারণে একজিমা হতে পারে।
থাইরয়েড হরমোনজিত কারণেও একজিমা হতে পারে।
হরমোন পরিবর্তন, বিশেষ করে মাসিকের সময় এবং গর্ভাবস্থায়।
রাসায়নিক দ্রব্য, ডিটারজেন্ট, সাবান বা শ্যাম্পু থেকে সংক্রমণ।
স্যাঁতসেতে আবহাওয়া, অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠান্ডা।

একজিমা কোথায় হয় ?

শরীরের বিভিন্ন অংশেই একজিমা হতে পারে। যেমন: হাত, হাতের কনুই, কান, চোখের পাতা, স্তন, শরীরের বিভিন্ন ভাঁজ, শিশুদের কুঁচকি ইত্যাদি।

চিকিৎসাঃ-
একজিমার লক্ষণগুলো দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতে চিকিৎসা নিতে হবে। একজিমা জটিল আকার ধারণ করলে সুস্থ হতে সময় লাগে। এজন্য ধৈর্য নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের নিকট চিকিৎসা নিলেও উপকার পাওয়া যায়।

প্রতিরোধঃ-
যেসব পরিবেশ বা খাবার একজিমার কারণ হতে পারে, তা যত সম্ভব পরিহার করা।
ধুলা****ি, রোদ, সিগারেটের ধোঁয়া এড়িয়ে চলা।
সুঁতি কাপড় পরিধান করা।
সাবান, স্যাভলন বা ডেটল পরিহার করা বা তম ব্যবহার করা বা কম ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে হবে বা সাবানের পরিবর্তে শরীরে শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।

গোসলে সবসময় হালকা গরম পানি ব্যবহার করা।একজিমা আক্রান্ত রোগীরা একটু সচেতন ও চিকিৎসকের পরামর্শমতে জীবনযাপন করলে, এ রোগ হতে দূরে থাকা যায়।

image

দারুণ রিফ্রেশিং তরমুজের সালাদ
তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে তাই তীব্র গরমেও শরীরকে পানিশূন্য হতে দেয় না।
সারাদিন রোজা শেষে শরীরে পানিশূণ্যতা দূর করতে পর্যাপ্ত পানি পানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফল খাওয়ার বিকল্প নেই।

বাজারে এখন তরমুজ বেশ সহজলভ্য। ইফতারে অনেকেই রাখেন এ ফল। সাধারণভাবে তরমুজ কেটে তো অনেকেই খান কিন্তু তরমুজের সালাদ বানিয়ে কি খাওয়া হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তাহলে আজই বানিয়ে ফেলতে পারেন তরমুজের সালাদ।সহজ রেসিপি, সময় সাপেক্ষ তাই ঝামেলাও কম।
জেনে নিন কিভাবে তৈরি করবেন-

যা যা লাগছে-
তরমুজ ২ কাপ
শসা ১ কাপ
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ১ টেবিল চামচ
তিল ১/২ চা চামচ
লেবুর রস ১ চা চামচ
সয়া সস ১/২ চা চামচ
গোলমরিচ গুঁড়া ১/৮ চা চামচ
লবন ১/৮ চা চামচ
বিটলবণ ১/৪ চা চামচ
গ্রেট করা আদা ১/৮ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুঁচি ১ টেবিল চামচ

যেভাবে তৈরি করবেন
তরমুজ ও শসা ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে নিয়ে কিউব করে কেটে নিন। আলাদা পাত্রে তিল বাদে বাকি সব উপকরন একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি আলাদা রেখে দিন।
এবার ইফতার শুরুর আগে আগে তরমুজ ও শসা কিউবের সঙ্গে মিশ্রণটি ভাল করে মিশিয়ে নিন। সবশেষে সালাদের উপর তিল ছিটিয়ে দিয়ে পরিবেশন করুন স্বাস্থ্যকর তরমুজের সালাদ।
বলে রাখা ভালো, তরমুজের সালাদ ইফতারে কেবল তৃপ্তি দিবে তা নয়, পাশাপাশি নানা উপকারিতাও বয়ে আনবে। তরমুজে আছে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার এবং এতে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে।
তাই এ ফল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, হজম প্রক্রিয়াকেও সহজ করে তোলে। কেবল তাই নয় এতে যেহেতু প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে তাই তীব্র গরমেও শরীরকে পানিশূন্য হতে দেয় না। এছাড়া ত্বক ভালো রাখতেও তরমুজের জুড়ি মেলা ভার। কেননা এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি।

image