image

imageimage

মেঝেতে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ?

তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ সময়ে একটু স্বস্তির জন্য অনেকেই আরামের নরম বিছানা ছেড়ে মেঝেতে ঘুমাচ্ছেন। কেননা, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিছানায় ঘুমানো মুশকিল। মেঝের ঠান্ডায় দিব্যি ঘুমিয়ে যান। তবে আপনি জানেন কি মেঝেতে ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি খারাপ? চলুন জেনে নিই মেঝেতে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে–

পিঠে ব্যথা কমে:
মেঝেতে ঘুমালে মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকে। ফলে যাদের পিঠে ব্যথার মতো সমস্যা আছে, তাদের ক্ষেত্রে উপকার মেলে। কারণ, মেরুদণ্ড সোজা হয়ে থাকলে পিঠে আরাম পাওয়া যায় আর সমস্যাও অনেকটা কমে আসে। এ ছাড়াও মেঝেতে ঘুমানোর ফলে আপনার কোমরের ব্যথাও কমতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা মেঝেতে ঘুমানোর অভ্যাসকে স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলছেন।

ঘাড়ের ব্যথা কমায়
ঘুমের সময় ঘাড় সোজা করে না রাখলে ঘাড় ও পিঠে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে আপনি যদি আঁকাবাঁকা হয়ে ঘুমান তাহলে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। তবে মেঝেতে ঘুমালে এ ধরনের সমস্যা এড়ানো যায়। কারণ, এ ক্ষেত্রে ঘাড় সোজা রাখা সহজ হয়।

রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়
শরীর সুস্থ রাখার জন্য রক্ত সঞ্চালন ভালো হওয়া জরুরি। আপনি যদি মেঝে বা শক্ত জায়গায় ঘুমান তাহলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। তাই মেঝেতে ঘুমালে উপকার পাওয়া যাবে। তবে আপনার যদি ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা থাকে, তাহলে মেঝেতে না ঘুমানোই ভালো।

ঘুমের সমস্যা দূর হয়
গরমের সময় অনেকেই অনিদ্রার সমস্যায় ভোগেন। গরমের ফলে বারবার ঘুম ভেঙে যেতে পারে বা ভালোভাবে ঘুম না-ও হতে পারে। এ ক্ষেত্রে মেঝেতে ঘুমালে আরামে ঘুমানো সম্ভব।


তবে মেঝেতে ঘুমালে শরীরে কিছু সমস্যাও হতে পারে। সেই বিষয়গুলোতেও নজর রাখা উচিত। চলুন জেনে নিই সে সস্পর্কে বিস্তারিত–

অ্যালার্জির সমস্যা
মেঝেতে প্রায়ই বেশি ধুলো****ি ও ময়লা জমে। বিশেষ করে কার্পেটের ওপর ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে এর থেকে হাঁচি, সর্দি, চুলকানি, চোখ লাল হওয়া, শ্বাসকষ্ট ও কাশির মতো অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। তাই মেঝেতে ঘুমানোর ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করুন।

ঠান্ডা লেগে যেতে পারে
গরমে ঠান্ডা মেঝেতে ঘুমালে আরাম পেতে পারেন, তবে ঠান্ডায় ঘুমানোর কারণে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হতে পারেন। এ ক্ষেত্রে শরীরের তাপ দ্রুত কমতে পারে ও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হয়।

গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় রাতে ভাত নাকি রুটি খাবেন?

পুষ্টিবিদরা বলছেন, ১২০ গ্রাম ভাতে ১৪০ ক্যালরি রয়েছে। অন্যদিকে, দুটি রুটিতে রয়েছে ১৫০ ক্যালরি।
যদি সোডিয়ামের হিসাব করা হয় তবে দেখা যায়, সমপরিমাণ ভাতে ১২০ গ্রাম এবং রুটিতে ১৯০ গ্রাম সোডিয়াম রয়েছে। এছাড়া দুটি খাবারেই রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও গ্লুকোজ।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার বরাতে জানা যায়, ভারতের জনপ্রিয় ডায়েটেশিয়ান লাভলিন কোর বলছেন, ভাত এবং রুটি দুটি খাবারই সমান উপকারী। তবে যারা রাতে হালকা খাবার খেতে আগ্রহী তারা রুটির পরিবর্তে ভাতকেই বেছে নিন।

লাভলিন কোরের মতে, গরমের এ সময় রাতে রুটি খাওয়ার পর অস্বস্তিবোধ বেশিরভাগ মানুষের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, রুটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। অন্যদিকে, ভাত শরীরে দ্রুত হজম হয়। যদি পেটে গ্যাস কিংবা অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকে তবে রাতের খাবারে রুটি নয় বরং ভাতকেই প্রাধান্য দিতে বলছেন তিনি।

image

গরমে র‌্যাশ বা চুলকানিতে করণীয় কী?

করণীয়

১। ত্বকে চামড়ার ভাঁজে এই সমস্যা বেশি হতে দেখা যায়। এ ধরনের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে প্রথমেই আপনাকে যেটি নিশ্চিত করতে হবে তা হলো শরীরকে শুকনো রাখা। গোসলের পর কিংবা কোনো কারণে ঘামে শরীর ভিজে গেলে দ্রুত তা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।

২। নিয়মিত পোশাক পরিচ্ছন্ন রাখুন। জীবাণু সংক্রমণ এড়াতে কাপড় ধোয়ার পর ডেটল পানিতে তা জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। ত্বকের সুরক্ষায় কাপড়ে প্রাধান্য দিন সুতি বস্ত্রকে।

৩। পোশাকের সঙ্গে চামড়ার অধিক ঘর্ষণের ফলে অনেক সময় ত্বকে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। তাই গরমে আঁটসাঁট পোশাক পরার পরিবর্তে বেছে নিন ঢিলেঢালা পোশাককে।

৪। একই প্রসাধনী, চিরুনি, তোয়ালে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে ব্যবহার করার অভ্যাস থাকলে এখনই তা পরিবর্তন করুন।

৫। ত্বকে র‌্যাশ বা চুলকানি এড়াতে নিয়মিত হাত পায়ের নখ ছোট রাখুন। কেন না বড় নখে জীবাণুর সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়। কোনো স্থানে চুলকানি বা জ্****াপোড়া দেখা দিলে সেখানে হাত স্পর্শ বা ঘষাঘষি না করে আক্রান্ত স্থানে বরফ দিতে পারেন।

৬। ত্বকের যেকোনো সংক্রমণে ত্বকে ক্রিম, লোশন বা যে কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে নিতে পারেন চিকিৎসকের পরামর্শ।

image

২০০ বছরের পুরোনো জামাই মেলা
প্রায় দেড় শ বছর ধরে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এই মেলা। মেলাকে কেন্দ্র করে নানা বয়সীরা ঘুরতে আসেন।

মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের প্রায় ৩০টি গ্রামের জামাইরা শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন। তারাই এ মেলার মূল আকর্ষণ। মেলার দিন শাশুড়ির দেওয়া টাকায় জামাই বাজার করে শ্বশুরবাড়ির লোকদের খাওয়ান। এ কারণেই মেলাটি জামাইমেলা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

জামাইকে মেলা উপলক্ষে বরণ করে নেওয়ার জন্য শ্বশুর-শাশুড়িরা বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিতে থাকেন। জামাইরাও প্রতি বছর এই দিনের অপেক্ষায় থাকেন। একে অপরের সঙ্গে দেখা হয়ে তারাও আনন্দে মেতে ওঠেন। প্রতিবছর এই দিনে পুরো এলাকায় উৎসব বিরাজ করে। ৩ দিনব্যাপী এ মেলায় রসুলপুরসহ আশপাশের গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।প্রথম দিকে বৈশাখী মেলা হিসেবে শুরু হলেও কালের পরিক্রমায় জামাই মেলা হিসেবেই বেশি পরিচিতি পায়। স্থানীয়দের কাছে ঈদ বা পূজাপার্বণের মতোই এই মেলা উৎসব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রচণ্ড গরমেও বাসা বাড়িতে নারীদের রান্নার কাজ থেমে নেই। রান্নাঘরের উত্তাপকে সঙ্গী করেই কঠিন এই কাজটি প্রতিনিয়ত করছেন গৃহিনীরা। গরম থেকে বাঁচতে তারা বেছে নিয়েছেন নানা কৌশল।

International Labour Day 2024
Ensure workplace safety and health amidst climate change.
#mayday #internationallabourday #newtew #bangladesh

Good job😎

image