#শিশু #সুস্থতা #উচ্চতা #বৃদ্ধি
শিশুর সুস্থতা ও উচ্চতা বৃদ্ধিতে করণীয়
প্রতিটি শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশের সঙ্গে ডায়েটের সম্পর্ক আছে। তাদের খাবারের মেন্যু সাজাতে হবে সুষম খাবার দিয়ে।

খাবারের মেন্যু ও রুটিন যেমন হবে—

* খাবার পরিবেশনে বৈচিত্র্য রাখতে হবে। শিশুকে অভ্যস্ত করে তুলতে হবে ঘরোয়া খাবারে।
একই রেসিপি বারবার অনুসরণ না করে ভিন্নতা আনতে হবে।

* শিশুর ক্ষুধা লাগলে তবেই খেতে বলুন। বাসায় সবাই মিলে সবজি খাওয়ার অভ্যাস করুন। ঘরের খাবারের মধ্যে মাছের পদকে প্রাধান্য দিন।
সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন শিশুকে সামুদ্রিক মাছ খেতে দেওয়া উচিত।

* খাবারের মেন্যুতে আয়রন জাতীয় খাবার রাখা উচিত। যেমন—মাংস, ডিম, দুধ, বিচি জাতীয় খাবার, বাদাম, পালংশাক, বিট, আনার, খেজুর, কিশমিশ ইত্যাদি। আর অবশ্যই আয়রন জাতীয় খাবার খাওয়ানোর পর এক টুকরা লেবু দেবেন শিশুকে।
কমলার রস বা মাল্টার রসও দিতে পারেন, এতে আয়রন ভালোভাবে শোষিত হবে।

* শিশুকে জিংক জাতীয় খাবার খেতে দিন। যেমন—সব ধরনের বাদাম, বিচি ও ডাল জাতীয় খাবার।

* এলার্জি হতে পারে এমন খাবার বাদ দিতে হবে। একেকটি শিশুর একেক ধরনের খাবারে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
এই প্রতিক্রিয়াই হলো অ্যালার্জি। শুধু গায়ে র‌্যাশ ওঠা বা চুলকানি অ্যালার্জি নয়। খাবার খেলে যদি পেট ব্যথা করে, পায়খানায় সমস্যা হয়, গ্যাস হয় আবার র‌্যাশ বা চুলকানি হয়, তবে সেগুলোও অ্যালার্জির অন্তর্ভুক্ত।

* শিশুকে দিনে দুই থেকে তিনবার ফল খাওয়ানোর অভ্যাস করাতে হবে। শিশু যেন প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ, একটা ডিম এবং ডাল বা বাদাম জাতীয় খাবার গ্রহণ করে, সেদিকে লক্ষ রাখা উচিত।

* গাজর, মিষ্টি আলু, টমেটো এ ধরনের ফল বা অন্যান্য শক্ত ফলও ফিঙ্গার ফুড হিসেবে শিশুকে খাওয়ানো শেখাতে হবে।

* সপ্তাহে একদিন শিশুর পছন্দের মেন্যু রান্না করুন। তবে মনে রাখবেন, বাইরের মতো জাংকফুড বাসায় তৈরি করলেও সেটা পরিপূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত হবে না।

* বাইরের খাবার খাওয়ার ব্যাপারে রুটিন করে দিন। সপ্তাহে এক দিনের বেশি বাইরে না খাওয়ানোই ভালো।

ডায়েটের বাইরে যা মানবেন-

প্রতি মাসে শিশুর ওজন ও উচ্চতা মেপে দেখুন। বয়স দুই বছরের চেয়ে বেশি হলে প্রতি তিন থেকে ছয় মাস পর পর কৃমির ওষুধ খেতে দিন। পুরো পরিবারকে একসঙ্গে কৃমির ওষুধ খেতে হবে। প্রতিদিন বিকেলে এক থেকে দুই ঘণ্টা দৌড়াদৌড়ি করে খেলাধুলা করতে দিন। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টার ভেতরে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রোদে থাকতে বলুন। প্রয়োজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত পানি পান করার দিকে লক্ষ রাখুন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

image

#ইনডোর #প্ল্যান্ট
যে ৫টি ইনডোর প্ল্যান্ট শুধু পানিতেও ভালো হয়
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। বাড়িতে পরিবার নিয়ে ঈদ কাটানোর যে আনন্দ, তার তুলনা চলে না। তবে এই আনন্দের মধ্যেও অনেকের মন খচখচ করবে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরের গাছের জন্য। কারণ, লম্বা ছুটিতে গাছে পানি দেওয়ার যে কেউ নেই! তবে কেমন হয় যদি গাছটিই বসানো থাকে কোনো পানির পাত্রে? গাছ মাটিতেই হয়, তবে কিছু প্রজাতি আছে, যেসব শুধু পানিতে রাখতে পারেন বছরজুড়ে। পানিতে হয়, এমন পাঁচটি ইনডোর প্ল্যান্ট ও সেসবের যত্নআত্তি জেনে নিন আজ—
১. পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট-
পোথোস অতিপরিচিত ইনডোর প্ল্যান্ট। একে আমরা মানি প্ল্যান্ট নামেই বেশি চিনি। বেশির ভাগ ইনডোর বাগানের শুরুই হয় এই লতানো পোথোস দিয়ে। মাটি বলুন, পানি বলুন—যেকোনো জায়গায় স্বাভাবিকভাবে বেঁচে থাকতে পারে বলে এর কদর অনেক। লতানো এই গাছের প্রতি পর্বে পর্বে সবুজ পাতার সৌন্দর্য। পানিতে রাখা পোথোসে যেমন থাকে ছোট আকৃতির পানপাতার মতো পাতা, মাটিতে লাগানো হলে ওই একই পোথোসের পাতা হতে পারে বেশ বড়।
২. লাকি ব্যাম্বু-
প্রতি পর্বে একটি করে পাতা নিয়ে সোজা বেড়ে ওঠে লাকি ব্যাম্বু। পাতা গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ, হলদেটে সবুজ ও সবুজের মাঝে সাদা কিংবা হলুদ দাগের উপস্থিতিও দেখা যায়। এর সৌন্দর্য ধরা পড়ে মূলেও। স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এর কমলা রঙের শিকড়গুচ্ছ এককথায় নয়নাভিরাম। নার্সারি কিংবা বৃক্ষমেলায় বিশেষ কৌশলে প্যাঁচানো লাকি ব্যাম্বুও বিক্রি হয়। চাইলে আপনিও লাকি ব্যাম্বুকে এমন আকৃতি দিতে পারেন।
৩. অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়াম-
অ্যারোহেড প্ল্যান্ট বা সিঙ্গোনিয়ামকে নিশ্চিন্তে এনে ঠাঁই দিতে পারেন ঘরে। শুধু পানিতেই রাখতে পারবেন, তবে পাতার কাণ্ডটি একটু লম্বাটে হওয়ায় একটু বড় পানির পাত্র ব্যবহার করা ভালো। লম্বাটে কাচের গ্লাস, ছোট অ্যাকুয়ারিয়ামের পাত্র বা স্রেফ প্রয়োজনে ফুরিয়ে যাওয়া কফির বয়াম, মধু কিংবা আচারের বয়ামও পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে পারেন। উজ্জ্বল সাদাটে সবুজ রঙের পাতার গঠন অনেকটা কচুপাতার মতোই। এর আছে ঘরের অভ্যন্তরীণ বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার ক্ষমতা।
৪. স্পাইডার প্ল্যান্ট-
অল্প যত্নেই বাঁচে, এমন গাছের তালিকায় থাকা এই স্পাইডার প্ল্যান্টকেও দিব্যি পানিতে বসিয়ে রাখতে পারেন। তবে সরাসরি সূর্যালোকে রাখবেন না। এই গাছের চিরল সবুজ পাতার কিনারা সাদা রঙের। হঠাৎ দেখলে মনে হবে, যেন সবুজ চুলে পাক ধরছে! ঝোপাল এই গাছের গোড়া থেকে লতার মতো চিকন ও বাঁকানো কাণ্ড বেরোয়। এই কাণ্ডের মাথা থেকে ছোট একগুচ্ছ চুলের মতো নতুন চারা বের হয়ে ঝুলতে থাকে চারপাশে। ঝুলতে ঝুলতে একসময় মাটির স্পর্শ পেয়ে শিকড় ছেড়ে নতুন গাছে পরিণত হয়। চাইলে আপনি এখান থেকে কেটে নিয়ে অন্যত্র রোপণ করে নতুন গাছের দেখা পেতে পারেন। তবে এই গাছ পানিতে রাখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে, যেন শুধু গোড়া পানিতে ডুবে থাকে, পাতা যেন পানির স্পর্শ না পায়। পাতা পানিতে ডুবে গেলে পচে যাবে। এ ক্ষেত্রে বেটেখাটো কাচের পাত্র বেছে নিন। প্রয়োজনে পাত্রের নিচে নুড়িপাথর দিয়ে অনেকটা অংশ পূর্ণ করে তারপর স্পাইডার প্ল্যান্ট স্থাপন করুন। আর সপ্তাহে অন্তত এক দিন রোদে রাখার ব্যবস্থা করুন।
৫. স্নেক প্ল্যান্ট-
সাপের মতো এঁকেবেঁকে বেড়ে ওঠে বলে একে ডাকা হয় স্নেক প্ল্যান্ট। কোনোটা সবুজ, গাঢ় সবুজ, কোনটা সাদাটে সবুজ; কোনটার পাতায় দেখা যায় শাড়ির পাড়ের মতো হলুদ রঙের ডোরা। পুরু ও রসাল পাতার দিকে তাকালে মনে হবে, যেন মোজাইক করা। পুরো গাছ বা স্রেফ পাতা কেটে এনে বসিয়ে দিন পানিতে, ঠিকই শিকড় বের করে টিকে যাবে।
#পানির গাছের যত্নে কিছু পরামর্শ
=>স্বচ্ছ কাচের গ্লাস, পানির পাত্র, অ্যাকুয়ারিয়াম, টেস্টটিউবেও বসাতে পারেন এসব গাছ। স্বচ্ছ কাচে ছড়ানো শিকড়ের সৌন্দর্য চোখে পড়বে।
=>যে গাছটি পানিতে রাখবেন, তার নিচের ২-৩টি পর্বের পাতা পরিষ্কার করে পানিতে বসান। নুড়িপাথর, পোড়ামাটির ক্লে বল বা স্রেফ ইটের খোয়াও ছোট ছোট টুকরা করে গাছের চারপাশে ঘিরে দিতে পারেন। এতে গাছটি কোনো একপাশে ঢলে না পড়ে স্থির দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে।
=>ইনডোর প্ল্যান্ট বলে ঘরের যেকোনো জায়গায় রাখা গেলেও চেষ্টা করুন এমন জায়গায় রাখতে, যেখানে উজ্জ্বল থেকে মাঝারি পরোক্ষ সূর্যের আলো পায়।
=>সপ্তাহে অন্তত এক দিন সরাসরি সূর্যের আলোতে দিন।
=>পানির নিচে যেন পাতা ডুবে না যায়, তা খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে পানির সংস্পর্শে থাকা পাতাগুলো ছেঁটে দিতে পারেন।
=>নিয়মিত বিরতিতে পানি পাল্টে দিন। মশার ঘরবসতি ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন পানি পাল্টে দেওয়া জরুরি।
=>পানিতে রাখা যে গাছটার অবস্থান জানালার কাছে এবং তুলনামূলকভাবে বেশি সূর্যালোক পায়, সেই গাছের পানিতে দ্রুত শেওলা জমতে পারে। পানিতে সবুজ শেওলার উপস্থিতি দেখামাত্রই দ্রুত পানি পরিবর্তন করে দিন।

imageimage
+4

#রোনালদোর হ্যাটট্রিকে আল নাসরের জয়
ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিকে আল নাসর জয় পেয়েছে। সৌদি প্রো লিগে আল তাইয়ের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছেন পর্তুগিজ তারকা। ফুটবলের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে ৬৪তম হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি।

আর রোনালদোর হ্যাটট্রিকে আল তাইকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে ৫-১ এ ব্যবধানে জয় পেয়েছে আল নাসর। এই জয়ে আল নাসরের পয়েন্ট হলো ৫৯। শীর্ষে থাকা আল হিলালের পয়েন্ট ৭১।

খেলার শুরু থেকেই আধিপত্য বিস্তার করে আল নাসর। ২০ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন ওটাভিও। দুই মিনিট পর আল তাইয়ের হয়ে সমতা ফেরান ভার্জিল মিসিডজান। ৩৬ মিনিটে লালকার্ড দেখলে দশজনে পরিণত হয় আল তাইয়ে।

সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বিরতির আগেই আবার ম্যাচে এগিয়ে যায় আল নাসর। রোনালদো গোল উত্সবের শুরু করেন খেলার ৬৪ মিনিটে। মিনিট তিনেক পরে করেন দ্বিতীয় গোল। আর খেলার শেষ বাঁশি বাজার কয়েক মিনিট আগে করেন হ্যাটট্রিক।

সৌদি প্রো লিগে ২৩ ম্যাচে রোনালদোর এটা ২৬তম গোল।

image