চুলায় পিৎজা বানানোর সহজ পদ্ধতি
পিৎজা খেতে তো ছোট-বড় সবাই পছন্দ করেন। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফাস্টফুড আইটেমের মধ্যে পিৎজা অন্যতম। সাধারণত বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট কিংবা পিৎজা হাউজ থেকেই কিনে খাওয়া হয় এই লোভনীয় খাবার।

আবার অনেকে শখের বশে ঘরেও তৈরি করেন। বেশ ঝক্কির কাজ পিৎজা তৈরি করা। আবার উপকরণও লাগে অনেক। তবে কম সময়ে ও অল্প উপকরণে যদি পিৎজা তৈরি করতে চান তাহলে স্বাদ নিন সসেজ কার্নিভাল পিৎজার। রইলো রেসিপি-

উপকরণঃ-

১. ময়দা ৩ কাপ
২. চিনি ১ টেবিল চামচ
৩. গুঁড়া দুধ আধা কাপ
৪. লবণ স্বাদমতো
৫. তেল আধা কাপ
৬. ইস্ট ১ টেবিল চামচ
৭. ডিম ১টি
৮. লিকুইড দুধ কুসুম গরম ও
৯. পানি পরিমাণমতো।

পদ্ধতিঃ-

প্রথমে তেলসহ উপরের শুকনো উপকরণগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণে ডিম মিশিয়ে এরপর দুধ দিয়ে মেখে একটি শক্ত ডো তৈরি করুন।

অনেকটা পরোটার মতো ডো হবে। অনেকক্ষণ ধরে ডো ময়ান দিন। যেন চিনি গলে ডো নরম হয়ে যায়। এবার একটি বাটিতে ডো রেখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে গরম জায়গায় রেখে দিন ২-৩ ঘণ্টা অথবা ডো ফুলে ওঠা পর্যন্ত।

ডো ফুলে দ্বিগুণ হলে বুঝতে হবে পিৎজা তৈরির জন্য ডো তৈরি হয়ে গেছে। এবার কিছুটা ডো নিয়ে হালকা করে বেলে মোটা রুটি বানিয়ে নিন। অন্যদিকে একটি স্টিলের প্লেটে তেল ব্রাশ করে এর উপর রুটি রাখুন।

কাটা চামচ দিয়ে রুটির মাঝখানে একটু একটু করে গেঁথে দিন। তাতে পিৎজা ভালো হবে ও মাঝখানে অতিরিক্ত ফুলে যাবে না। এবার টমেটো সস রুটির ওপর ভালো করে লাগিয়ে দিন।

তারপর আপনার পছন্দমতো টপিং দিন। আর উপরে চিজ দিয়ে দিন। চুলায় বড় পাতিল অথবা কড়াই বসিয়ে তাতে ****ু বা লবণ দিতে হবে। তার ওপর একটি পাতিল রাখার স্ট্যান্ড রাখতে হবে।

স্ট্যান্ডের ওপর এবার পিৎজার প্লেট রেখে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন। খেয়াল রাখবেন যেন ঢাকনার ফাঁকা দিয়ে বাতাস বের হতে অথবা ঢুকতে না পারে।

১০-১৫ মিনিট রেখে ঢাকনা সরিয়ে যদি দেখেন চিজ গলে গেছে পিৎজা ফুলে উঠেছে তাহলে বুঝবেন পিৎজা তৈরি হয়ে গেছে। তখনই চুলা থেকে নামিয়ে নিন সসেজ কার্নিভাল পিৎজা।

image

#শিশু #পেটব্যথা
শিশুদের পেটব্যথার নানা কারণ ও সমাধান
নবজাতক থেকে শুরু করে স্কুলগামী বেশিরভাগ শিশুই জীবনের কোনো না কোনো সময় পেটব্যথায় ভোগে। পেটব্যথা বিভিন্ন কারণে হয়। যেমন, খাদ্যনালিতে জীবাণু সংক্রমণ ও ডায়রিয়া বা আমাশয়, প্রস্রাবে সংক্রমণ, গ্যাস ও অ্যাসিডিটি, খাবারে অ্যালার্জি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম এবং কৃমি সংক্রমণ। এ ছাড়া টিউমার, অ্যাপেন্ডিসাইটিসসহ কিছু সার্জিক্যাল সমস্যায়ও শিশুর পেটব্যথা হতে পারে।


#অকারণে পেটব্যথা

৩ থেকে ১০ বছর বয়সি শিশুর ঘন ঘন পেটব্যথার প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশই কোনো রোগের জন্য হয় না। এটাই হলো অকারণে পেটে ব্যথা বা ‘ফাংশনাল এবডোমিনাল পেইন’। এ ধরনের ব্যথার নির্দিষ্ট কোনো চরিত্র নেই। মানসিক কারণে সাধারণত এমন সমস্যা হয়ে থাকে। এ ধরনের পেটব্যথায় শিশুরা অত্যধিক মানসিক চাপে ভোগে, কিছুটা সিরিয়াস প্রকৃতির হয়ে থাকে। শিশু স্কুলে যেতে না চাইলে, পড়া ভালো না লাগলে, পরিবারে অশান্তি থাকলে, বন্ধুরা কোনো বিষয় নিয়ে উত্ত্যক্ত করলে, হঠাৎ বাসা পরিবর্তন বা বন্ধু বিচ্ছেদ ইত্যাদির কারণে পেটব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ ব্যথা কিন্তু ইচ্ছাকৃত নয়, বরং তার মনের ভেতরের মানসিক দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটে পেটব্যথার মাধ্যমে।

#মানসিক ও শারীরিক কারণে ব্যথার মধ্যে পার্থক্য

* তিন বছরের নিচে শিশুর পেটব্যথা হলে তা সাধারণত রোগের কারণেই হয়ে থাকে।

* রোগের কারণে ব্যথা হলে শিশুরা সুনির্দিষ্টভাবে ব্যথার জায়গাটা দেখাতে পারে আর মানসিক কারণে হলে সেভাবে দেখাতে পারে না বা একেকবার একেক স্থানে দেখায়।

* ব্যথার সঙ্গে জ্বর, র‌্যাশ, হাড়ে ব্যথা, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা হলে বুঝতে হবে অবশ্যই সেই ব্যথার নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে।

* ঘুমের মধ্যে ব্যথা হলে এবং ব্যথার কারণে শিশুর ঘুম ভেঙে গেলে কখনোই তা মানসিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

#গ্যাসজনিত ব্যথা

বড়দের মতো শিশুদেরও পেটে গ্যাস হয়। নবজাতকের পেটে গ্যাস হয় মায়ের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতির ত্রুটির কারণে। এতে বাচ্চারা বাতাস খেয়ে ফেলে, তাই পেটে গ্যাস হয়। বাচ্চাদের মধ্যে কান্না খুব স্বাভাবিক কারণ। কান্নার মাধ্যমে শিশুরা তাদের অস্বস্তি প্রকাশ করে এবং তাদের প্রয়োজনীয়তার প্রতি পিতামাতার মনোযোগ আকর্ষণ করে। যদি শিশু কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই ক্রমাগত অস্বাভাবিক ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে কাঁদতে থাকে তবে সেটা উপেক্ষা করা উচিত নয়।

#তিন মাসের অধিক পেটব্যথা

তিন মাসের অধিক পেট ব্যথা সাধারণত কোনো গুরুতর অসুস্থতা বা রোগের কারণে হয় না। তিন থেকে চার মাসের কম বয়সি শিশুরা তিন সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে কাঁদতে থাকলে এবং প্রতিদিন বা সপ্তাহে চার-পাঁচ দিন সন্ধ্যার পর থেকে এবং প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা ধরে অবিরত কাঁদতে থাকলে তবে তা সাধারণত এ ধরনের পেটব্যথা হয়। এটি সাধারণত জন্মের দুই থেকে তিন সপ্তাহ পরে দেখা যায় এবং তিন থেকে চার মাস বয়স হলে আর থাকে না। পরিপাকনালিতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ‘গাট মাইক্রোবায়োম’ নামক ব্যাক্টেরিয়াল কলোনি গড়ে ওঠা সম্পূর্ণ হওয়ার আগে এ সমস্যা দেখা দিতে পারে যা পরিপাকনালির অপরিপক্বতা নামে পরিচিত। এ ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে বুকে ও পিঠে হাত দিয়ে মালিশ করলে, তলপেটের দিকে চেপে ধরলে শিশুর আরামবোধ হয়।

#গ্যাসজনিত ব্যথা

শিশুদের একইসঙ্গে নানা রকমের খাবার খাওয়ানো শুরু করলে গ্যাসজনিত ব্যথা দেখা দেয়। এ ছাড়া, বড় শিশুরা অতি ভোজন, মসলাযুক্ত বা তৈলাক্ত কিংবা ঝাল খাবার, আচার ইত্যাদি খেলে পেটে এসিডিটি হয়ে ব্যথা হয়। এ ক্ষেত্রে এসিডিটির ওষুধ খেতে হবে। তবে ব্যথা প্রকট হলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে।

#কোষ্ঠকাঠিন্য

যেসব শিশু গরুর দুধ বা বোতলের দুধ খায়, পাশাপাশি ৬ মাসের পর অপরিকল্পিতভাবে অন্য কঠিন খাবার খেতে শুরু করে বা শুধু সুজি, চালের গুঁড়ার খাবার খায়-তাদের পেটে ব্যথার অন্যতম কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য। দুই কিংবা তিন দিন ধরে ঠিকমতো পায়খানা না হলে তা পেটের ভেতর জমে থেকে ব্যথার সৃষ্টি করে। এজন্য শিশুকে নরম খাবার দিতে হবে। অবস্থা জটিল হলে শক্ত খাবারের পরিবর্তে তরলজাতীয় খাবার যেমন সাগুদানা, মাতৃদুগ্ধ বেশি বেশি খাওয়াতে হবে। এ ছাড়া কিছু ব্যায়াম করানো যেতে পারে যেমন সাইকেলের মতো শিশুর পা দুটোকে চালনা করা। বড় শিশুদের শাক-সবজি, আঁশযুক্ত খাবার ও ফল-মূল খাওয়ানোর পাশাপাশি নিয়মিত মলত্যাগ করায় অভ্যস্ত করতে হবে।

#খাবার কিংবা দুধে অ্যালার্জি

শিশুর কোনো খাবারে অ্যালার্জি থাকলে তা খাওয়ানোর ফলে পেট ব্যথা, ডায়রিয়া, বমি ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেক শিশুর ক্ষেত্রে গরুর দুধ বা গুঁড়াদুধের casein-lactalbumin and μ¦ lactoglobulin প্রতি অ্যালার্জি থেকে থাকে। অ্যালার্জি আছে বিষয়টি সন্দেহ হলে বা নিশ্চিত হলে তা খাওয়ানো বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এ ধরনের জটিলতায় অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

#কৃমি

কৃমি হলে বমি বমি ভাব, পেটব্যথা, পেট মোটা বা ভারি হওয়া, খাবারে অরুচি, মুখে থুথু ওঠা এবং কোনো কোনো কৃমিতে পায়ুপথের আশপাশে চুলকানি হতে পারে। কৃমি হলে সাধারণত অপুষ্টি ও রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। নোংরা পরিবেশ, অনিরাপদ পানি পান, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, খালি পায়ে হাঁটা কৃমি সংক্রমণের জন্য দায়ী। ওষুধ নিয়ম মেনে খেলে আর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সহজেই কৃমি দূর করা যায়। প্রতি তিন মাস পরপর পরিবারের সবাই একটি করে অ্যালবেনডাজল বড়ি সেবন করলে অথবা মেবেনডাজল পরপর তিন দিন খেতে হয়। সাত দিন পর দ্বিতীয় ডোজ খেতে হয়। শিশুদেরও একইভাবে সিরাপ খাওয়াতে হবে। তবে, দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে খাওয়াতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

image

#চিকেন পকেট
এই রমজানে ইফতারিতে হরেক রকম আয়োজনের সাথে টেবিলে রাখুন চিকেন পকেট। কীভাবে বানাবেন রেসিপি দেখে নিন -

উপকরণঃ-
স্যান্ডউইচ ব্রেড, হাড় ছাড়া মুরগির মাংস, আদা বাটা, রসুন বাটা, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, সেদ্ধ সুইট কর্ন, টমেটো কেচাপ, ক্রিম, মোজারেলা চিজ, বাটার, ব্রেডক্রাম্ব ও ভাজার জন্য তেল।

প্রস্তুত প্রণালিঃ-
হাড়ছাড়া মুরগির মাংস ছোট করে টুকরো করে নিতে হবে। তারপর একটা প্যানে বাটার দিয়ে তাতে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে বেশ খানিকক্ষণ ভাজতে হবে।

ভাজা হয়ে গেলে এর সঙ্গে দিয়ে দিতে হবে ছোট টুকরো করে রাখা মুরগির মাংস। মাংস যখন সেদ্ধ হয়ে আসবে তখন সুইটকর্ন দিতে হবে। এরপর টমেটো কেচাপ, গোলমরিচের গুঁড়ো ও ক্রিম দিয়ে কিছুক্ষণ নাড়তে হবে। চুলা বন্ধ করে এতে মেশাতে হবে গ্রেট করে রাখা মোজারেলা চিজ। এতে করে ফিলিংটাতে একটা ক্রিমি টেক্সচার আসবে।
এবার স্যান্ডউইচ ব্রেডের চারপাশের বাদামি অংশ কেটে ব্রেডটাকে একটু বেলে নিতে হবে। এর ভেতর দিয়ে দিতে হবে আগে থেকে বানিয়ে রাখা মুরগির ফিলিং। তারপর হালকা পানি দিয়ে পকেটের মতো করে ভাঁজ করে নিতে হবে। তৈরি করা চিকেন পকেট ডিমের মধ্যে গড়িয়ে, ব্রেডক্রাম্ব দিয়ে কোট করে নিতে হবে। চাইলে এইভাবে অনেকগুলো বানিয়ে ফ্রোজেন করে রাখা যেতে পারে।

এবার চিকেন পকেটগুলো চুলার মাঝারি আঁচে ডুবো তেলে ভেজে নিতে হবে।

image
Kurtibari added new product for sell.
51 w
image

0 Reviews
In stock· New

Three Piece Collection KM3P-019

৳2.250.00 (BDT)

থ্রি-পিস কালেকশন।

সাইজ : ৩৮/৪২/৪৬

ফেব্রিক্স : পিওর কটন।

মাইগ্রেন থেকে মুক্তি পেতে করণীয়
অনেক কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে। দৃষ্টিস্বল্পতা, মস্তিষ্কের টিউমার বা সর্দিজ্বর ইত্যাদিও মাথা ব্যথার সাধারণ কারণ হিসেবে ধরা হয়। তবে মাইগ্রেনের কারণেও প্রচণ্ড মাথা ব্যথায় ভোগেন অনেকেই। সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক মাথা ব্যথার মধ্যে মাইগ্রেনজনিত মাথা ব্যথা অন্যতম।

এর পেছনে দৈনন্দিন আচার, অভ্যাসের যোগসূত্র থাকে। তবে খারাপ কিছু অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারলে এবং ভালো কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে যন্ত্রণাদায়ক মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কারণ

মাইগ্রেনের অনেক কারণের মধ্যে কিছু কারণ হলো :-

♦ অনিয়মিত ও অপরিমিত ঘুম।
♦ খুব বেশি বা খুব কম আলোয় কাজ করা।
♦ দীর্ঘ সময় টিভি বা কম্পিউটারের সামনে থাকা।
♦ সেলফোন বা ল্যাপটপে মাত্রাতিরিক্ত ব্রাইটনেস ব্যবহার করা।
♦ কড়া রোদ ও তীব্র ঠাণ্ডা পরিবেশে বেশি সময় অবস্থান করা ইত্যাদি।

করণীয়:-

মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কিছু করণীয় হলো :
♦ ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
♦ আলু ও বার্লি খান।
♦ বিভিন্ন ধরনের ফল, বিশেষ করে খেজুর ও ডুমুর খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার মাইগ্রেনের ব্যথা দ্রুত কমায়।
♦ সবুজ শাক-সবজি বেশি খান।
♦ ভিটামিন ‘ডি’ ও ক্যালসিয়ামের সমতা বজায় রাখুন।
♦ নিয়মিত আদার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলেও মাইগ্রেনের ব্যথা কমে।
♦ মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়ে গেলে বেশি বেশি পানি পান করুন। পুরোপুরি বিশ্রামে থাকুন। ঠাণ্ডা রুমাল মাথায় জড়িয়ে রাখুন। বরফভর্তি ****তি বা মগে হাত ডুবিয়ে রাখুন। এতে আশা করা যায় ব্যথা কিছুটা কমে আসবে।
♦ এত সবের পরও কাজ না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

image

গরমে স্বস্তি পেতে কাঁচা আমের ললি
তীব্র গরমের মধ্যেই এবার রোজা। তাই দিন শেষে ইফতারের পর খাওয়ার জন্য অথবা প্রচন্ড গরমে আরামের জন্য বানিয়ে ফেলতে পারেন কাঁচা অমের ললি আইসক্রিম। টক-মিষ্টি এই আইসক্রিম স্বাদে হবে অনন্য আর পুষ্টিতে হবে সেরা। খুব সহজে কাঁচা আম দিয়ে বানিয়ে ফেলা যায় এই আইসক্রিম।
কাঁচা আমে আছে প্রচুর ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা পূরণে সাহায্য করে, ফলে হাড় হয় শক্তিশালী। তাছাড়া ভিটামিন সি শরীরকে ইনফ্লামেশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে, নতুন রক্ত কণিকা সৃষ্টিতে সাহায্য করে, আয়রনের শোষণে এবং রক্তপাতের প্রবণতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বানাবেন এই ললি আইসক্রিম-


যা যা লাগবে-
কাঁচা আম- ১টা
চিনি- আধা কাপ
ব্ল্যাক সল্ট- ১ চা চামচ
পানি- ৮ কাপ
পুদিনা পাতা- আধা কাপ
সবুজ ফুড কালার

যেভাবে বানাবেন-

প্রথমে একটি কাঁচা আম ছোট টুকরা করে কেটে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। তারপর ৪ কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে চুলায় অল্প আঁচে বসিয়ে দিন। এখন আমের রং স্বচ্ছ না হওয়া পর্যন্ত ফুটাতে থাকুন। এরপর সেদ্ধ আমসহ পানি নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। তারপর পানিসহ আম ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। এখন যোগ করুন আধা কাপ পুদিনা পাতা, আধা কাপ চিনি, ১ চা চামচ ব্ল্যাক সল্ট। এবার মিশ্রণের সব উপকরণ দিয়ে মিহি ব্লেন্ড করে নিন।

সবশেষে আইসক্রিমের সুন্দর রঙের জন্য মেশান সবুজ ফুড কালার। মিশ্রণটি আইসক্রিম বসানোর ছাঁচে ঢেলে নিন। সারারাত রেখে পরদিন পরিবেশন করুন।

image

যুক্তরাষ্ট্রে প্রীতি ম্যাচে খেলা হচ্ছে না মেসির
যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে আসন্ন দু’টি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা হচ্ছে না অধিনায়ক লিওনেল মেসি। হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির কারণে তিনি দলের বাইরে থাকবেন বলে আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চিত করেছে।

ইন্টার মিয়ামির এই সুপারস্টারের আগামী শুক্রবার ফিলাডেলফিয়ায় এল সালভাদোর ও ২৬ মার্চ লস অ্যাঞ্জেলসে কোস্টা রিকার বিপক্ষে দু’টি প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টাইন দলে থাকার কথা ছিল। তবে গত সপ্তাহে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে নাশভিলের বিপক্ষে মিয়ামির ৩-১ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া ৩৬ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক এখনো সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি।

নাশভিলের বিপক্ষে জয়ের ম্যাচটিতে বিরতির পরেই বদলি বেঞ্চে চলে যান মেসি। এরপর শনিবার ওয়াশিংটনে ডিসি ইউনাইটেডের বিপক্ষে মিয়ামির জয়ী ম্যাচটিতে তিনি খেলতে পারেননি।

আর্জেন্টাইন ফেডারেশন এক্স’এ এক পোস্টে লিখেন, ‘আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে সামান্য ইনজুরির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের দু’টি প্রীতি ম্যাচে দলের বাহিরে থাকছেন। নাশভিলের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি এই ইনজুরিতে আক্রান্ত হন।’

মিয়ামি কোচ জেরাডো মার্টিনো শনিবার ওয়াশিংটনে জয়ের পর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মেসি মার্চের আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে হয়তো খেলতে পারবেন না।

একইসাথে তিনি বলেন, মিয়ামি চাচ্ছে আগামী মাসে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের আগে মেসি যাতে ফিট হয়ে উঠতে পারে, ‘একটি বিষয় স্পষ্ট যে কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আমাদের তাকে প্রয়োজন রয়েছে। তার আগে আমরা কোনো ধরনের ঝুঁকি নিতে চাই না।’

image

টেস্ট সিরিজের আগে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ, ইনজুরিতে খেলা হচ্ছে না মুশফিকের
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে মাঠে নামার আগে বড় ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন মুশফিকুর রহিম। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বাইরে রেখেই মাঠে নামতে হবে শান্ত-লিটনদের।

জানা গেছে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আঙুলে চোট পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেই চোট কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে তার জন্য। আঙুলের এই চোটের কারণে দুই টেস্টের সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন জাতীয় দলের এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার

মুশফিকের নিকটবর্তী সূত্র থেকে জানা গেছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার আঙুলে চিড় ধরা পড়েছে। যার ফলে সপ্তাহের বেশি সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে তাকে।

তামিম-সাকিব আগে থেকেই নেই দলে, মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েছেন অনেকদিন। এবার মুশফিকুর রহিমকে ছাড়াই টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ।

যদিও মুশফিকের ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। তবে যেকোনো মুহূর্তে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনতে পারে তারা। ঘোষণা হতে পারে বিকল্প ক্রিকেটারের নামও।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ মার্চ সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট সিরিজ। আর ৩০ মার্চ থেকে মার্চ থেকে সিরিজের শেষ টেস্টে মাঠে নামবে দুই দল। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। আর একই ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ।

image

রোদ চশমা বহন করে রুচিবোধেরও পরিচায়ক
পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন ও মানানসই রোদ চশমা বহন করে রুচিবোধেরও পরিচায়ক। এখন রোদ চশমার মধ্যে বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে লাল, নীল, বেগুনি, গোলাপি, সাদা, কমলা রঙের সানগ্লাস।

ফ্যাশন তো হয় বটেই, রোদ থেকে চোখ বাঁচায় রোদ চশমা। সৌন্দর্য আর স্মার্টনেসকেও বাড়িয়ে তোলে বহুলাংশে। এক সময় প্রচলিত ছিল, ‘সানগ্লাস কেবল গরমের দিনের অনুষঙ্গ’। সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে এসেছে মানুষ।

এখন শুধু গ্রীষ্মকালেই নয়, শীত এবং মেঘলা দিনেও ফ্যাশনিয়েস্তারা ব্যবহার করছেন রোদ চশমা, যা সূর্যের ইউভি রশ্মি থেকে চোখের সুরক্ষা দেয়। রক্ষা করে বাইরের ধুলো****ি থেকেও। ধুলো****ি আর খোলা বাতাসে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের শিকার হয় আমাদের চোখ। এসব থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে রোদ চশমা।
অনেকের অজানা যে, রোদ চশমা ব্যবহারেরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। কেনার আগে এমন সানগ্লাস কিনুন যা অন্তত ৯৯% থেকে ১০০% সূর্যের ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মি থেকে চোখকে বাঁচাতে সক্ষম। উইভি ৪০০-এর লেবেলযুক্ত রোদ চশমা মানব চোখকে সুরক্ষিত রাখে। সুতরাং কেনার আগে এসব দেখেশুনে কেনা উচিত।

এছাড়া পোলারাইজড লেন্সযুক্ত রোদ চশমা সূর্যের কড়া আলো থেকে শুধু বাঁচায় না, চারপাশকে অনেক বেশি পরিষ্কার দেখায়। তবে কেনার আগে নিজের প্রয়োজনীয়তা বুঝে কেনা উচিত।

পোলারাইজড লেন্স ওয়াটার, বরফ ও কাচ থেকে প্রতিফলিত আলোকরশ্মি কমাতে সাহায্য করে। সাধারণত চার ধরনের মুখের গড়ন বেশি দেখা যায়। তন্মধ্যে গোলাকার, ডিম্বাকৃতি, চারকোনা ও পানপাতার মতো বা হৃদয়াকৃতি মুখের গড়ন। মুখের গড়ন বুঝে বেছে নিন। বড় ফ্রেমের রোদ চশমা নিঃসন্দেহে আজকালকার ফ্যাশন। তবে মুখের গড়ন বুঝে রোদ চশমা বেছে নেওয়া উচিত।

রোদ চশমা ফ্যাশনে এখন গাঢ় রং খুব ট্****। নীল, সবুজ, বেগুনি, সাদা, লাল এবং কমলার মতো রঙের প্রাধান্য দেখা যায়। চাইলে কয়েকটা শেডের সানগ্লাসও পাবেন। ক্লাব মাস্টার ফ্রেম, ফরমাল বা ঘরোয়া দুই ধরনের অনুষ্ঠানেই মানিয়ে যায়। আর এভিয়েটর ফ্রেম ফরমাল পোশাকে বেশি মানানসই। ট্রেন্ড অনুযায়ী এখন ফ্যাশনে ইন ওভারসাইজড সানগ্লাস, রেট্রো স্টাইল আর সেমি রিমলেস সানগ্লাস। তাছাড়া, উজ্জ্বল রঙের শেডের সানগ্লাসেও স্মার্ট দেখাবে।

image

মহাকাশে জটিল রাসায়নিকের সন্ধান
মহাকাশে দুটি তারার চারপাশে অদ্ভুত রাসায়নিক উপাদানের খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছে বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারা এই পদার্থের খোঁজ পায়।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ লাখ মাইল দূরে থাকা তারাগুলো বয়সে অনেকটা তরুণ। আর এ কারণেই তারাগুলোর আশপাশে কোনো গ্রহ নেই। তবে চারপাশে বেশ কিছু জটিল জৈব অণুর সন্ধান মিলেছে। বিজ্ঞানীদের ধারণা, যার মধ্যে ইথানলসহ ভিনেগার তৈরির উপাদানও রয়েছে।

এই উপাদানগুলো ভবিষ্যত ধূমকেতু বা গ্রহাণুর অংশ হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
লেইডেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ইওয়াইন ভ্যান ডিশোইক জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে এই জৈব অণুগুলো পর্যবেক্ষণে রাখবেন তারা। তার মতে এ অণু ধূমকেতু ও গ্রহাণুর অংশ হতে পারে ভবিষ্যতে।

এই গবেষক আরো জানিয়েছেন, ইথানল ছাড়াও ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে তারাগুলোর চারপাশে ফরমিক অ্যাসিড, মিথেন ও অ্যাসিটিক অ্যাসিড শনাক্ত করা হয়েছে। এসব রাসায়নিক উপাদানকে বাসযোগ্য বিশ্ব তৈরির মূল উপাদান বলা যায়। একটি বাসযোগ্য গ্রহ বলতে সেখানে প্রাণ থাকবে এমনটি বোঝায় না। প্রাণ টিকে থাকতে পারে বা বাস করতে পারে, তা বোঝানো হয়।

image