ড্রিম ক্যাচার | অল্প উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নিজেই

ঘর সাজানোর জন্য দোকান ঘুরে ঘুরে নানা জিনিস কিনলেও হাতে বানানো জিনিসের প্রতি ভালোলাগা অন্যরকম। নানা ধরনের শো পিসের পাশাপাশি ইদানিং ড্রিম ক্যাচার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কী এই ড্রিম ক্যাচার? আর কীভাবেই বা হোম ডেকোরে জায়গা করে নিয়েছে এই আইটেমটি? এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার সাথে সাথে আজকের আর্টিকেলে আমরা শিখবো কীভাবে খুব সহজে অল্প উপকরণ দিয়ে ড্রিম ক্যাচার বানিয়ে নেওয়া যায়।

ড্রিম ক্যাচার কী?
ড্রিম ক্যাচার সকলের কাছে প্রথম পরিচিত হয়ে ওঠে নেটিভ আমেরিকানদের মাধ্যমে। তাদের বিশ্বাস ছিলো ড্রিম ক্যাচার বা স্বপ্ন ধারকে খারাপ স্বপ্ন আটকে গিয়ে সকালের প্রথম আলোয় নষ্ট হয়ে যায়। আর ভালো স্বপ্নগুলো এর জাল ভেদ করে চলে যায়। তাই ড্রিম ক্যাচার ঝোলানো হতো এমন জায়গায় যেখানে ঘুমের সময় মাথা দেয়া হয় এবং সকালে সূর্যের প্রথম আলো এসে পড়ে।
সে যুগ চলে গিয়েছে বহু আগে। যুগের বদলের সাথে সাথে বর্তমানে কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে শৌখিন সকল বয়সী মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ঘর সাজানোর অংশ হয়ে উঠেছে ড্রিম ক্যাচার। সাধারণত কাঠের গোল ফ্রেম, সুতা, রঙিন পালক, পুঁথি দিয়েই ট্র্যাডিশনাল ড্রিম ক্যাচার বানানো হতো। নেটিভ আমেরিকানরা উইলো গাছের ডাল দিয়ে এ গোল ফ্রেম বানাতো। বর্তমানে বিভিন্ন আকারের ফ্রেম, আর্টিফিশিয়াল ফুল, নানারকম চার্ম ইত্যাদি দিয়ে আরো আধুনিক ও নান্দনিকভাবে ড্রিম ক্যাচার সাজানো হয়। স্বপ্ন ধরতে পারুক বা না পারুক একটি ড্রিম ক্যাচার অবশ্যই মনের কোণে এক চিলতে ভালো লাগার দোলা দেয়। আর মন ভালো থাকলে ভালো থাকে শরীরও।

যেভাবে হাতেই বানাবেন ড্রিম ক্যাচার-
ড্রিম ক্যাচারের উপকরণগুলো সাধারণত আমাদের বাড়িতেই থাকে। তাই ঘর সাজাতে এই উপকরণটি হাতেই বানিয়ে নেওয়া যায়। চলুন বানানোর নিয়মগুলো জেনে নেই-

যা যা লাগবে-
মোটা সুতা/ উল/ পাটের সুতা/ ম্যাক্রেম দড়ি পছন্দমতো রঙের
কাঠের/ প্লাস্টিকের গোল ফ্রেম
চিকন সুতা (পছন্দমতো রঙের)
পালক/ পুঁথি/ চার্মস
কেঁচি, আঠা, সুঁচ, রিবন ক্লাম্প

যেভাবে বানাবেন-
১) প্রথমে গোল ফ্রেমটি নিয়ে এর যে কোনো একদিকে মোটা সুতা বা উল দিয়ে একটি গিঁট দিন। এবার সুতাটি দিয়ে পুরো ফ্রেম পেঁচিয়ে ফেলুন। শেষ প্রান্তে ভালো করে গিঁট দিয়ে সিকিউর করে নিন। আঠা দিয়ে গিঁটটি আটকে ফেলুন যেন ছুটে না যায়।

২) চিকন সুতা নিয়ে প্রথমে ফ্রেমের সাথে একটি গিঁট দিন। এবার একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব মেপে একবার পেঁচিয়ে নিন। আবারও একই দূরত্ব মেপে পেঁচিয়ে নিন। এভাবে ফ্রেমের সাইজ অনুযায়ী ৬/৮টি বা তার বেশি লুপ তৈরি করতে পারেন। এভাবে পেঁচিয়ে ফ্রেমের সাথে একটি রাউন্ড তৈরি করুন।
৩) একবার পেঁচানো শেষ হলে প্রথম লুপের ভেতর থেকে সুতা ঢুকিয়ে নিন এবং প্রথম লুপের সুতার সাথে লুপ তৈরি করুন একইভাবে। এভাবে পরের কয়েকটি রাউন্ড তৈরি করুন। জায়গা ছোট হয়ে আসলে সুঁচের সাহায্যে সুতা পেঁচিয়ে নিন। এই পদ্ধতিকে স্পাইডার ওয়েব বা মাকড়সার জাল পদ্ধতি বলে।

৪) প্রতিটি লুপের মাঝে একটি করে পুঁথি ঢোকাতে পারেন। মাঝের গোল ফাঁকা স্পেসে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ছোট চার্ম অথবা পালক।
৫) পছন্দমতো দৈর্ঘ্য মেপে নিয়ে কয়েকটি চিকন সুতা কেটে নিন। পালকের মাথায় সুতা গিঁট দিয়ে অথবা রিবন ক্লাম্প দিয়ে পালক লাগিয়ে নিন সুতার এক প্রান্তের সাথে। উপরে পছন্দমতো পুঁথি দিয়ে সাজিয়ে নিন।

৬) পালকসহ সুতাগুলোকে গোল ফ্রেমের সাথে গিঁট দিয়ে আটকে দিন। আঠা দিয়ে গিঁটগুলো শক্ত করে নিন। এগুলোর উপর দিকে সুতা দিয়ে ঝোলানোর জন্য একটি লুপ তৈরি করুন।

ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো আকর্ষণীয় একটি ড্রিম ক্যাচার। গোল ফ্রেমের এক সাইডে আর্টিফিশিয়াল ফুল লাগিয়ে দিতে পারেন আঠা দিয়ে। নিচে আপনার পছন্দমতো পালক ও পুঁথির বদলে সুতার টাসেল বা পমপমও লাগাতে পারেন। খুব সহজলভ্য এবং হাতের কাছে থাকা অল্প উপকরণ দিয়ে এভাবেই তৈরি করে নিতে পারেন মনের মতো ড্রিম ক্যাচার।

image

ড্রিম ক্যাচার | অল্প উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন নিজেই

ঘর সাজানোর জন্য দোকান ঘুরে ঘুরে নানা জিনিস কিনলেও হাতে বানানো জিনিসের প্রতি ভালোলাগা অন্যরকম। নানা ধরনের শো পিসের পাশাপাশি ইদানিং ড্রিম ক্যাচার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কী এই ড্রিম ক্যাচার? আর কীভাবেই বা হোম ডেকোরে জায়গা করে নিয়েছে এই আইটেমটি? এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার সাথে সাথে আজকের আর্টিকেলে আমরা শিখবো কীভাবে খুব সহজে অল্প উপকরণ দিয়ে ড্রিম ক্যাচার বানিয়ে নেওয়া যায়।

ড্রিম ক্যাচার কী?
ড্রিম ক্যাচার সকলের কাছে প্রথম পরিচিত হয়ে ওঠে নেটিভ আমেরিকানদের মাধ্যমে। তাদের বিশ্বাস ছিলো ড্রিম ক্যাচার বা স্বপ্ন ধারকে খারাপ স্বপ্ন আটকে গিয়ে সকালের প্রথম আলোয় নষ্ট হয়ে যায়। আর ভালো স্বপ্নগুলো এর জাল ভেদ করে চলে যায়। তাই ড্রিম ক্যাচার ঝোলানো হতো এমন জায়গায় যেখানে ঘুমের সময় মাথা দেয়া হয় এবং সকালে সূর্যের প্রথম আলো এসে পড়ে।
সে যুগ চলে গিয়েছে বহু আগে। যুগের বদলের সাথে সাথে বর্তমানে কিশোর কিশোরী থেকে শুরু করে শৌখিন সকল বয়সী মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ঘর সাজানোর অংশ হয়ে উঠেছে ড্রিম ক্যাচার। সাধারণত কাঠের গোল ফ্রেম, সুতা, রঙিন পালক, পুঁথি দিয়েই ট্র্যাডিশনাল ড্রিম ক্যাচার বানানো হতো। নেটিভ আমেরিকানরা উইলো গাছের ডাল দিয়ে এ গোল ফ্রেম বানাতো। বর্তমানে বিভিন্ন আকারের ফ্রেম, আর্টিফিশিয়াল ফুল, নানারকম চার্ম ইত্যাদি দিয়ে আরো আধুনিক ও নান্দনিকভাবে ড্রিম ক্যাচার সাজানো হয়। স্বপ্ন ধরতে পারুক বা না পারুক একটি ড্রিম ক্যাচার অবশ্যই মনের কোণে এক চিলতে ভালো লাগার দোলা দেয়। আর মন ভালো থাকলে ভালো থাকে শরীরও।

যেভাবে হাতেই বানাবেন ড্রিম ক্যাচার-
ড্রিম ক্যাচারের উপকরণগুলো সাধারণত আমাদের বাড়িতেই থাকে। তাই ঘর সাজাতে এই উপকরণটি হাতেই বানিয়ে নেওয়া যায়। চলুন বানানোর নিয়মগুলো জেনে নেই-

যা যা লাগবে-
মোটা সুতা/ উল/ পাটের সুতা/ ম্যাক্রেম দড়ি পছন্দমতো রঙের
কাঠের/ প্লাস্টিকের গোল ফ্রেম
চিকন সুতা (পছন্দমতো রঙের)
পালক/ পুঁথি/ চার্মস
কেঁচি, আঠা, সুঁচ, রিবন ক্লাম্প

যেভাবে বানাবেন-
১) প্রথমে গোল ফ্রেমটি নিয়ে এর যে কোনো একদিকে মোটা সুতা বা উল দিয়ে একটি গিঁট দিন। এবার সুতাটি দিয়ে পুরো ফ্রেম পেঁচিয়ে ফেলুন। শেষ প্রান্তে ভালো করে গিঁট দিয়ে সিকিউর করে নিন। আঠা দিয়ে গিঁটটি আটকে ফেলুন যেন ছুটে না যায়।

২) চিকন সুতা নিয়ে প্রথমে ফ্রেমের সাথে একটি গিঁট দিন। এবার একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব মেপে একবার পেঁচিয়ে নিন। আবারও একই দূরত্ব মেপে পেঁচিয়ে নিন। এভাবে ফ্রেমের সাইজ অনুযায়ী ৬/৮টি বা তার বেশি লুপ তৈরি করতে পারেন। এভাবে পেঁচিয়ে ফ্রেমের সাথে একটি রাউন্ড তৈরি করুন।
৩) একবার পেঁচানো শেষ হলে প্রথম লুপের ভেতর থেকে সুতা ঢুকিয়ে নিন এবং প্রথম লুপের সুতার সাথে লুপ তৈরি করুন একইভাবে। এভাবে পরের কয়েকটি রাউন্ড তৈরি করুন। জায়গা ছোট হয়ে আসলে সুঁচের সাহায্যে সুতা পেঁচিয়ে নিন। এই পদ্ধতিকে স্পাইডার ওয়েব বা মাকড়সার জাল পদ্ধতি বলে।

৪) প্রতিটি লুপের মাঝে একটি করে পুঁথি ঢোকাতে পারেন। মাঝের গোল ফাঁকা স্পেসে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ছোট চার্ম অথবা পালক।
৫) পছন্দমতো দৈর্ঘ্য মেপে নিয়ে কয়েকটি চিকন সুতা কেটে নিন। পালকের মাথায় সুতা গিঁট দিয়ে অথবা রিবন ক্লাম্প দিয়ে পালক লাগিয়ে নিন সুতার এক প্রান্তের সাথে। উপরে পছন্দমতো পুঁথি দিয়ে সাজিয়ে নিন।

৬) পালকসহ সুতাগুলোকে গোল ফ্রেমের সাথে গিঁট দিয়ে আটকে দিন। আঠা দিয়ে গিঁটগুলো শক্ত করে নিন। এগুলোর উপর দিকে সুতা দিয়ে ঝোলানোর জন্য একটি লুপ তৈরি করুন।

ব্যস, তৈরি হয়ে গেলো আকর্ষণীয় একটি ড্রিম ক্যাচার। গোল ফ্রেমের এক সাইডে আর্টিফিশিয়াল ফুল লাগিয়ে দিতে পারেন আঠা দিয়ে। নিচে আপনার পছন্দমতো পালক ও পুঁথির বদলে সুতার টাসেল বা পমপমও লাগাতে পারেন। খুব সহজলভ্য এবং হাতের কাছে থাকা অল্প উপকরণ দিয়ে এভাবেই তৈরি করে নিতে পারেন মনের মতো ড্রিম ক্যাচার।

image
image
image
image
image

গরমে আরাম ও স্বস্তি পেতে কোন ফেব্রিকগুলো বেছে নিবেন?

লাদেশ নাতিশীতোষ্ণ – ছোটবেলায় পড়া এই কথা বোধহয় ভুলে যাওয়ার সময় এসে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দিন দিন গরমের দাপট বাড়ছে, কমছে বৃষ্টির পরিমাণ। দিনকালের হিসেবেও দেখা দিচ্ছে গোলমাল। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আমাদের ব্যস্ততা। প্রতিদিন ছুটে চলা, জ্যাম-ভিড় ঠেলে চাকরি-ব্যবসা কিংবা পড়াশোনার জন্য দিনের বড় একটা সময় বাইরে কাটাতে হয় এ দেশের বর্তমান প্রজন্মের নারীদেরও। তাই পোশাকের আরামে গুরুত্ব দিচ্ছেন সবাই। একইসাথে ফাংশনাল বা কাজে আরাম এবং দেখতে ফ্যাশনেবল এমন ফেব্রিকে তৈরি পোশাকই সবার পছন্দের শীর্ষে। তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ঠিকঠাক ম্যাটারিয়াল বা ফেব্রিক সংক্রান্ত বিষয়গুলো বুঝে উঠতে পারেন না। তাদের কথা মাথায় রেখেই আজকে গরমে আরাম পেতে প্রতিদিনের পোশাকের জন্য উপযোগী কিছু ফেব্রিকের কথা জানাবো আজ।

গরমে আরাম ও স্বস্তি দিবে যে ফেব্রিকগুলো
যে কোনো সিজনেই আরামের জন্য ফেব্রিক চুজ করা খুব ইম্পরট্যান্ট। বিশেষ করে গরমে আরাম দিবে এমন ফেব্রিক চুজ না করতে পারলে বাইরে বের হলেই অস্বস্তি লাগা শুরু হয়। এই সিজনে কোন ফেব্রিক দিয়ে তৈরি পোশাকগুলো পরলে মেয়েরা কমফোর্ট পাবেন চলুন জেনে নেয়া যাক।

#কটন বা সুতি:-
আমাদের দেশের আবহাওয়ায় সবচেয়ে প্রচলিত এবং আরামদায়ক হচ্ছে কটন বা সুতি কাপড়। তুলা থেকে তৈরি এই তন্তু বিভিন্ন উপায়ে বাহারি বুননে বেশ কয়েক ধরনের তৈরি হয়ে থাকে। সুতি বা কটন ন্যাচারাল ফেব্রিক যার মধ্যে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে, আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। ফলে আমাদের মতো উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় এটি খুব কমফোর্টেবল। ১০০ ভাগ সুতির কাপড় সাধারণত কম চকচকে হয়। আগুনে পোড়ালে গলে যায় না। তাছাড়াও হাতে নিলে নরম ও আরামদায়ক অনুভূতি দেয়। বাজারে প্রচলিত ভয়েল কাপড় সাধারণত ১০০% কটন হয়ে থাকে।
তীব্র গরমে ঘরের পোশাক, বাইরে পরার সালোয়ার কামিজ, কুর্তি কিংবা টিউনিকের জন্য ভয়েল কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। তবে হালকা রঙ (যেমন: সাদা, হালকা সবুজ, আকাশি কিংবা গোলাপি) রঙগুলো সি থ্রু বা বাইরে থেকে স্কিন দেখা যায় এমন হয়। তাই যারা এই ব্যাপারে আনকমফোর্টেবল তারা একই রঙের ইনার ব্যবহার করতে পারেন।

তাছাড়াও বাড়ির ছোট্ট সদস্যদের জন্য সুতি জামা সবচেয়ে আরামদায়ক। বাচ্চারা যেহেতু সহজেই গরমে ঘেমে যায়, তাই এই কাপড়ে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে বলে গরমে তাদের অস্বস্তি কম হয়। ধোয়া ও শুকানো সহজ বলে অভিভাবকদের জন্যেও কাজ সহজ হয়ে যায়। তবে সুতির জামা প্রতিবার ধোয়ার পর আয়রন করে পরতে হয় বলে অনেকের কাছেই বেশ ঝক্কির মনে হয়। লন্ড্রি ছাড়াই বাসায় কিন্তু চাইলে সহজেই সুতি বা কটন ফেব্রিকের পোশাক আয়রন করা যায়। খুব বেশি সতর্কতার প্রয়োজন নেই এতে।

#লিনেন:-
ফ্ল্যাক্স নামক প্রাকৃতিক ফাইবার থেকে লিনেন কাপড় তৈরি হয়ে থাকে। পৃথিবীর প্রাচীন সব ফেব্রিকের একটি লিনেন। লিনেন কাপড় টেকসই, সহজে আর্দ্রতা শুষে নেয় এবং তাপ কুপরিবাহী হিসেবে কাজ করে। সে কারণেই প্রাচীনকাল থেকেই প্রাত্যহিক জীবনের পোশাক যাকে আমরা রেগুলার ওয়্যার বলি, সেসবের তৈরি হতো লিনেন থেকে। এমনকি মেসোপটেমীয়, মিশরীয় সভ্যতার মতো সুপ্রাচীন ইতিহাসেও এই কাপড়ের উল্লেখ পাওয়া যায়।

লিনেন কাপড় চেনার সহজ উপায় হলো, এতে অল্প পানি পড়লেই তা চোখের পলকেই শুষে নিবে। সহজে আর্দ্রতা শোষণের এই ক্ষমতার কারণেই সারাদিন বাইরে পরার পোশাক হিসেবে লিনেন ফেব্রিক বেছে নিলে ঘামে অস্বস্তি হয় না।
রেডিমেড পোশাক ছাড়াও লিনেন কাপড় এক রঙা কিংবা নানা ধরনের প্যাটার্নে বাজারে পাওয়া যায়। সেসব কাপড় কিনে নিজেই বানিয়ে নিতে পারেন প্রতিদিন পরার মতো কামিজ, কুর্তি, শার্ট। ম্যাক্সি ড্রেস বা লং ড্রেস এর ফেব্রিক হিসেবেও এটি বেশ মানিয়ে যায়। সি থ্রু না বলে সমুদ্রে বেড়াতে গেলে বিচ ড্রেস হিসেবে আমাদের মতো রক্ষণশীল দেশে লিনেন হতে পারে ভালো অপশন। এমনকি লিনেনের প্যান্ট ফরমাল ওয়্যার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া এই ফেব্রিক দিয়ে তৈরি শাড়িও বেশ আরামদায়ক। লিনেন সহজেই হ্যান্ড ওয়াশ এবং মেশিন ওয়াশ করা যায়। বারবার ধোয়া হলেও তা নষ্ট হওয়ার ভয় কম।

#খাদি:-
খাদি বা খদ্দর কাপড় আমাদের একান্ত দেশীয়। আগে খুবই সাদামাটাভাবে তৈরি হলেও বর্তমানে সুন্দর সব প্যাস্টেল রঙে পাওয়া যায়। এই ফেব্রিক তুলনামূলক ওজনেও হালকা। খাদি কাপড় ভালো তাপ কুপরিবাহী হওয়ায় তীব্র গরমেও শরীর ঠান্ডা রাখে। তাছাড়াও এই কাপড় টেকে যুগ যুগ। টেকসই এই কাপড় দিয়ে তৈরি শার্ট, কামিজ কিংবা ফতুয়া বেছে নিতে পারেন। খাদি কাপড়ের প্যান্টও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যের। এই কাপড় সাধারণত কম চকচকে হয়, সেজন্য যারা উজ্জ্বল রঙ পরতে অস্বস্তি বোধ করেন তাদের জন্য ভালো অপশন হতে পারে খাদি।

ক্রেপ জর্জেট
ক্রেপ জর্জেট বা ট্র্যাডিশনাল জর্জেট কাপড় সাধারণত সিনথেটিক এবং ন্যাচারাল ফাইবারের মিশ্রণে তৈরি হয়ে থাকে। হাতে নিলে হালকা দানাদার অনুভূতি হয় এবং ওজনে অনেক হালকা। ভালো কোয়ালিটির ক্রেপ জর্জেট তুলনামূলক নরম হয়ে থাকে। এই পোশাকের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে ফুলে থাকে না, ফলে যারা বাড়তি মেদ নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য এটি বেশ ভালো অপশন। জর্জেট সাধারণত টেকসই হয় এবং নানা রঙ ও প্যাটার্নে পাওয়া যায়। তাছাড়াও সহজেই ধুয়ে নেয়া যায় এবং দ্রুত শুকায়। শুকানোর পর ইস্ত্রির ঝামেলাও নেই।

এছাড়া জর্জেট এর কামিজ, শাড়ি আগে থেকেই প্রচলিত। হালফ্যাশনের সাথে তাল মিলিয়ে এই কাপড়ের লং ড্রেস, টপস কিংবা শার্ট বানাতে পারেন। খুব সহজেই ভার্সিটি কিংবা অফিসওয়্যার হিসেবে মানিয়ে যাবে।

এইতো জেনে নিলেন গরম আরাম দিবে এবং একইসাথে আর্দ্র আবহাওয়া উপযোগী ফেব্রিকের গুণাগুণ। এবার আপনার সুবিধা অনুযায়ী বেছে নেয়া ফেব্রিকে থাকুন একইসাথে কমফোর্টেবল ও স্টাইলিশ।

image

ফরমাল লুকের জন্য পারফেক্ট মেকআপ ও আউটফিট কেমন হতে পারে?
বিয়ে কিংবা দাওয়াতের মতো অকেশনগুলোতে নিজেকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে এখন কম-বেশি সবাই জানেন। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে ফরমাল লুকের ক্ষেত্রে! ইন্টারভিউ, প্রেজেন্টেশন বা রেগুলার অফিসের জন্য কীভাবে ফরমাল লুক ক্রিয়েট করা যায় তা নিয়ে আমাদের কনফিউশনের কোনো শেষ নেই। তাই আজকের ফিচারে আপনাদের জানাবো যেকোনো ফরমাল লুকের জন্য পারফেক্ট মেকআপ ও আউটফিট কেমন হতে পারে তা সম্পর্কে বিস্তারিত।

ফরমাল লুকের জন্য পারফেক্ট মেকআপ ও আউটফিট কেমন হতে পারে?
অনেকেই রয়েছেন যারা খুব গর্জিয়াস ড্রেস, জুয়েলারি পরে এবং হেভি মেকআপ করে অফিসে যান অথবা জব ইন্টারভিউ অ্যাটেন্ড করেন। আসলে অফিসের এনভাইরনমেন্টের সাথে এ ধরণের গেটআপ কিন্তু একদমই মানানসই নয়। ফরমাল লুক যতটুকু সম্ভব সিম্পল ও মিনিমাল রাখতে হয়। কারণ যেহেতু অফিসে আমাদের অনেকটা সময় থাকতে হয়, তাই পোশাক যদি কমফোর্টেবল না হয় আর মেকআপ যদি সিম্পল না হয়, তাহলে সারাদিনের কাজে ফোকাস করতে স্ট্রাগল হতে পারে।

চলুন আর দেরি না করে জেনে আসা যাক ফরমাল লুকের জন্য উপযোগী কিছু দারুণ স্টাইলিং টিপস।

কেমন আউটফিট পরবেন?
অফিস বা ইন্টারভিউ যেটিই হোক না কেন, সবসময় এমন ম্যাটেরিয়ালের আউটফিট পরুন যা আরামদায়ক এবং যার ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। যদি অফিসের ড্রেসকোড শার্ট-প্যান্ট হয়, তাহলে অবশ্যই কটনের শার্ট পরুন। আর যদি দেশীয় আউটফিট পরতে চান তাহলে কটন, লিলেন বা তাঁতের আউটফিট পরতে পারেন। এক্ষেত্রে হালকা সুতা, জরির কাজ অথবা এমব্রয়ডারি করা কুর্তি, টিউনিক কিংবা সালোয়ার কামিজ বেছে নিন। আবার এখন কো-অর্ড সেট বেশ ট্****। চাইলে সেটিও পরতে পারেন নিশ্চিন্তে!

যদি প্রেজেন্টেশন বা ইন্টারভিউতে শাড়ি পরতে চান, তাহলে তাঁত, সুতি, জর্জেট, ভেজিটেবল ডাই অথবা হালকা কাজ করা জামদানী শাড়িও পরতে পারেন। তবে যদি শাড়ি পড়েন, তাহলে শাড়ির আঁচল ভাঁজ করে রাখতে ভুলবেন না। আউটফিটের রঙয়ের ক্ষেত্রে হালকা নীল, ল্যাভেন্ডার, পিচ, গোলাপী, অ্যাশ, অফ হোয়াইটের মতো হালকা রঙগুলোকে প্রাধান্য দিন। কারণ এ রঙগুলোই ফরমাল লুকে সবচেয়ে বেশি স্যুট করে।

কীভাবে মেকআপ করবেন?
অফিসের জন্য মেকআপ করা একটু ট্রিকি। কারণ এমনভাবে মেকআপ করতে হয়, যাতে করে দেখতে প্রেজেন্টেবল লাগে এবং একইসাথে এটিও মনে না হয় যে আপনি অনেক মেকআপ করেছেন। অর্থাৎ “নো-মেকআপ” মেকআপ লুক এক্ষেত্রে একদম পারফেক্ট। কীভাবে এই মেকআপ লুক ক্রিয়েট করবেন? বলছি!

ফেইস মেকআপ-

১) প্রথমেই ফেইস ভালোভাবে ক্লিন করে ময়েশ্চারাইজার ও সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।

২) অফিসের জন্য মেকআপের বেইজ হতে হবে একদম ন্যাচারাল। তাই আপনার স্কিনটোনের সাথে ম্যাচ করে এমন একটি কনসিলার নিয়ে চোখের নিচে এবং আপনার ফেইসের যে এরিয়াগুলোতে পিগমেন্টেশন অথবা একনে মার্ক রয়েছে, শুধুমাত্র সেসব এরিয়াতে অ্যাপ্লাই করুন এবং একটি ভেজা বিউটি স্পঞ্জ অথবা ব্রাশের সাহায্যে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিন। ফাউন্ডেশন ইউজ না করে শুধুমাত্র এভাবে কনসিলার অ্যাপ্লাই করলে মেকআপের বেইজ লাইটওয়েইট এবং অনেক লং-লাস্টিং হয়।

৩) একটি কমপ্যাক্ট পাউডারের সাহায্যে ফেইসে কনসিলার সেট করে নিন। তবে খুব বেশি পাউডার অ্যাপ্লাই করবেন না, কারণ এতে ফেইস কেকি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৪) নিজের পছন্দের যেকোনো হালকা রঙের ব্লাশ নিন এবং ব্রাশের সাহায্যে দুই গালে অ্যাপ্লাই করুন।

৫) হালকা পিংক, ম্যভ বা ব্রাউন টোনের ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটে অ্যাপ্লাই করুন।
আই মেকআপ
১) শুরুতেই একটি আইব্রো পেন্সিলের সাহায্যে আপনার আইব্রোর শেইপ ডিফাইন করে নিন। এতে করে আপনার পুরো ফেইস অনেক আপলিফটেড মনে হবে।

২) হালকা ব্রাউন কালারের ম্যাট আইশ্যাডো নিয়ে একটি ফ্লাফি ব্লেন্ডিং ব্রাশের সাহায্যে আই লিডে অ্যাপ্লাই করে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিন। এতে চোখের শেইপ আরো সুন্দরভাবে বোঝা যাবে। তবে শিমারি বা গ্লিটার আইশ্যাডো ইউজ করা থেকে বিরত থাকাই ভালো।

৩) ফরমাল লুকের সাথে ড্রামাটিক আইলাইনার একেবারেই মানায় না। তাই যদি আইলাইনার দিতে চান, তাহলে যতটুকু সম্ভব চিকন করে দেয়ার চেষ্টা করুন।

৪) সবশেষে চোখের পাঁপড়িগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে দুই কোট ওয়াটারপ্রুফ মাশকারা ইউজ করতে ভুলবেন না।

কোন ধরনের জুয়েলারি পরা উচিত?
যেকোনো ফরমাল লুককে কমপ্লিট করতে আউটফিট ও মেকআপের পাশাপাশি মানানসই জুয়েলারি পরাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে কখনোই খুব ভারী কোনো জুয়েলারি পরবেন না। বরং ওজনে হালকা ও একদম সিম্পল ডিজাইনের জুয়েলারি সিলেক্ট করুন।

যেকোনো ফরমাল লুকের সাথেই পার্ল জুয়েলারি খুব ভালো ম্যাচ করে। আবার মিনিমাল ডিজাইনের গোল্ড, সিলভার অথবা স্টোনের জুয়েলারিও মানিয়ে যায় সহজেই। ফরমাল লুকে জুয়েলারি হিসেবে আপনারা কানে ছোট্ট একজোড়া টপ বা ইয়ার স্টাড পরতে পারেন। গলায় একটি সিম্পল পেনডেন্ট পরলেও এলিগ্যান্ট লাগবে। সেই সাথে এক হাতে ঘড়ি পরুন এবং যদি ব্রেসলেট পরার অভ্যাস থাকে, তাহলে অন্য হাতে সিম্পল ডিজাইনের একটি ব্রেসলেটও পরতে পারেন।

মনে রাখবেন, ফরমাল লুকের জন্য পারফেক্ট মেকআপ ও আউটফিট এর পাশাপাশি নিজেকে পারফেক্টলি প্রেজেন্ট করার জন্য কনফিডেন্সের কিন্তু কোনো বিকল্প নেই। তাই ইন্টারভিউ, প্রেজেন্টেশন বা অফিস যেটিই থাকুক না কেন, সবসময় কনফিডেন্ট থাকুন।

image
Shareez Lover added new product for sell.
52 w
image

0 Reviews
In stock· New

Half Silk Embroidery Saree Emb-0114

৳2.250.00 (BDT)

❤️ সেমি মসলিন, সুতার কাজের এম্ব্রডারী শাড়ি ❤️
✅ ১৩.৫ হাত এমব্রয়ডারি করা শাড়ির চারদিকে এক্সটা কাপড় ও টার্সেল লাগানো ।

image

শ্রীলঙ্কার ইয়ালা ন্যাশনাল পার্কে শোভা বর্ধন করছে চিত্রা হরিণ

image
Nadim Mahmud changed his profile picture
52 w

image
UKULELE added new product for sell.
52 w
image

0 Reviews
In stock· New

Brilliant Acoustic Guitar

৳10.000.00 (BDT)

Brilliant acoustic guitar with marvelous sound quality and body.

The sight is really great.

Depth of sound is marvelous.

Good for beginners and expert level too.

High Configure body materials

মাঝরাত্তিরের আড্ডা ও ভালো কাজ।

image